আমারতো শিক্ষক ছিলেন সুধীন দাশ। আমাদের শ্রদ্ধার ব্যক্তিত্ব, পথিকৃত। সোহরাব ভাই ছিলেন, লুৎফর ভাই ছিলেন, অঞ্জলি রায় ছিলেন সবাইতো চলে গেলো। একটু শূন্যতাবোধ তো থাকবেই। মুরুব্বিদের মধ্যে ফেরদৌসী আপা আছেন, রওশন আরা মুস্তাফিজ আছেন, খালিদ মান্নান ভাই আছেন।
চলে তো যাবেনই সবাই, কিন্তু সুধীন দাশ যে কাজ রেখে গেছেন তার তুলনা হয় না। নজরুলের গান থেকে স্বরলিপি লিখেছেন আদি সুর থেকে। আমি তো জানতামই না লালনের ওপরও তার বই আছে। চলে গেছেন ঠিকই কিন্তু আমাদের একটা অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। মাথার ওপর থেকে ছায়া সরে গেলো।
দেখা যাক, আমরাতো আমাদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবো। এর পরের প্রজন্ম কি করবে তা তারাই জানে। কেননা আমরা যেরকম ভক্তি, সম্মান-শ্রদ্ধা দিয়ে এসেছি সারাজীবন এমনকি এখনও কোনো প্রোগ্রাম করতে গেলে তাদের নাম উচ্চারণ করি। কিন্তু আমাদের যে নতুন প্রজন্ম তারা উচ্চারণ করবে কিনা জানি না। আর সবচেয়ে বড় কথা কি মিডিয়াকে অনেক দায়িত্বশীল হতে হবে।
প্রতিবছরই নজরুলের জন্মদিবস-মৃত্যুদিবস আসছে, চ্যানেলগুলোরও নানা আয়োজন চলছে। কিন্তু এমন গুরুজনদেরও স্মরণ করার আয়োজন চ্যানেলগুলোকে করতে হবে। তাহলেই তো তারা সবার মাঝে বেঁচে থাকবে।
আমাদের একটা সমস্যা কি, আমরা সবকিছু তাড়াতাড়ি ভুলে যাই। আমি জানি না বাঙালি কেন সবকিছু এমন তাড়াতাড়ি ভোলে। সোহরাব ভাই যে চলে গেলো, তার জন্মদিন আসছে মৃত্যুদিন আসছে কই কেউ তো স্মরণ করে না। নইলে এ মানুষগুলো কিভাবে বেঁচে থাকবে?
সংগীতজ্ঞ, স্বরলিপিকার ও নজরুল গবেষক সুধীন দাশ আর আমাদের মাঝে নেই। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সংগীতাঙ্গন। মৃত্যুদিনে তাকে স্মরণ করেছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য নজরুল সংগীতশিল্পী শাহীন সামাদ।
অনুলিখন: রুদ্র হক