কনার মিউজিক ভিডিও মানেই যেন অন্য কিছু। শুধু গান নয়, সারা বিশ্বেই গানের পাশাপাশি তারকা শিল্পীরা গুরুত্ব দিয়ে আসছেন মিউজিক ভিডিও-র ওপর। কনাও যেন সে পথেই হাঁটছেন। বৈচিত্রের অন্বেষণে হাঁটতে হাঁটতে কনা এবার পৌঁছেছেন এক দূর অতীতে। সেই ১৪ শতকের সেল্টিক যুগে, যখন গহীন জাদুময়ী জঙ্গলে এক রাজকন্যার সাথে ভালোবাসার দূত মিলিয়ে দেয় তার স্বপ্নের রাজকুমারকে! রাজকন্যার আগ্রহের অবসান ঘটে, সকল অপেক্ষার প্রহর শেষ করে সে কাছে গিয়ে দাঁড়ায় তার রাজকুমারের সামনে ।
তিনি বললেন শুটিং অভিজ্ঞতা, “গানের গল্পের থিম অনুযায়ী এই ধরনের বন-জঙ্গল বাংলাদেশে যদিও আছে কিন্তু সেখানে গিয়ে শ্যুটিং করা একেবারেই অসম্ভব। তাই আমরা গল্পের কনসেপ্ট মাথায় রেখে কোক ফ্যাক্টরিকেই বেছে নিয়েছিলাম আর সেট সাজিয়েছিলাম একদম অন্যভাবে- যেখানে প্রায় ছোট বড় সব মিলিয়ে ১০০০ গাছ আমাদেরকে ম্যানেজ করতে হয়েছিলো। আর ব্যাকগ্রাউন্ডে ক্রোমার সেটের দৈর্ঘ্য ছিলো ১৫০ ফিট! সবার আগে আমাদের মাথায় ছিলো এমন কিছু একটা বানাবো যা এর আগে বাংলাদেশের কোনও মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায়নি।”
গানটির ভিডিও চিত্রধারণ সম্পর্কে কনা বলেন, “আমার গানটি ছিলো একদম রোমান্টিক, তাই প্ল্যান করছিলাম একটু ডিফারেন্ট কিছু করতে। অনেকদিন ধরেই প্ল্যান করছিলাম একঘেয়ে মিউজিক ভিডিও থেকে বের হয়ে একটু হলিউড স্টাইলে, একটু অন্যরকম একটা মিউজিক ভিডিও করার। যেখানে গানের সাথে মিল রেখে থাকবে ভিএফএক্স এর চমৎকার খেলা, যা এর আগে কখনোই বাংলাদেশের কোনও মিউজিক ভিডিওতে দর্শকরা দেখেননি! অবশেষে তাই হলো। আমি বিষয়টি নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত।”
নির্মাতা জানান, এই মুহূর্তে ভিডিওটির ভিএফএক্স-এর কাজ চলছে, যা করছে ডটথ্রি প্রোডাকশনের সিস্টার কোম্পানি বিখ্যাত ভিএফএক্স স্টুডিও ‘স্টুডিও মনস্টার’। প্রযোজক এস কে সাহেদ আলী জানান, শিগগিরই ভিডিওটি মুক্তি পাচ্ছে সিএমভি’র অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে নজরুলগীতি ‘প্রিয় যাই যাই’ গানটির ভিডিও তৈরি করতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ করেন কনা। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ ব্যয়ের দিক থেকে এটিই ছিলো এতদিনের রেকর্ড। নতুন মিউজিক ভিডিও নির্মাণের মাধ্যমে ব্যয়ের দিক থেকে নিজের রেকর্ড ভাঙলেন কনা।