দুটি বই প্রকাশ উপলক্ষ্যে কলকাতার গোর্কি সদনে আয়েজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র ও নাটক সমালোচক শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্মাতা রাজা সেন, শৈবাল মিত্র প্রমুখ্।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বই দুটি নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। পরের পর্বে ‘সিনেমার আড়ালে’ শীর্ষক আলোচনায় উঠে আসে লেখকদের সোনালি অতীতের স্মৃতিচারণ।
চিত্রগ্রাহক সৌমেন্দু রায় তার বই নিয়ে বলেন, “লেখক হওয়ার কথা কোনোদিনই ভাবনার মধ্যে ছিল না। এখানে সেখানে পুরনো যা ছিল, তার স্মৃতি ধরে রাখতেই এই বই লেখা হয়েছে।”
নির্মাতা তরুণ মজুমদার বলেন, “অতীতের সবকিছু হারিয়ে গেছে বলে যাঁরা আক্ষেপ করেন, আমি তাদের কেউ নই। আমি জানি সবটা এত সহজে হারিয়ে যাওয়ার নয়। সম্ভাবনার বীজতলা পড়ে আছে। বীজ বপনের পর তার অঙ্কুরের প্রতি যত্নবান হলেই সম্ভাবনা ফুটে উঠবে।”
এসময় তিনি সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালি’ থেকে শুরু করে ‘গণদেবতা’ পর্যন্ত সিনেমা নির্মাণের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং সেসব মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রয়াসের নানা টুকরো অভিজ্ঞতার কথা শোনান।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তরুণ মজুমদারের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, “এখনকার চলচ্চিত্র নির্মাণশিল্পে যে সাংস্কৃতিক সম্পদ বা রুচিবোধের প্রকাশ ঘটেছে, তার অন্যতম স্থপতি ও স্তম্ভ হলেন এই মানুষটি।”
বন্ধুবর সৌমেন্দু রায় সম্পর্কে তিনি বলেন, “স্বয়ং সত্যজিৎ রায়ই বলেছেন, ‘রায় বাবু’র রুচিবোধ অনন্য।”
দুটি বইয়ের প্রকাশক কলকাতার দে’জ প্রকাশনা।