২০০৮ সালে বিয়ে আর গতবছর সন্তান হওয়ার পরও কেন এতদিন সবকিছু গোপন রাখছেন অপু? এতদিন গোপন রাখার পর হঠাৎ কেন বোমা ফাটালেন তিনি? শাকিবই বা কেন সন্তানের দায়িত্ব নিতে চাইলেও বিয়ে নিয়ে একেক সময় একেক কথা বলছেন?
রনির পরিচালনায় আগামী সপ্তাহে ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রে শাকিব খানের সঙ্গে নতুন ছবিতে জুটি বাঁধছেন চিত্রনায়িকা বুবলি। এমন খবরে চটে গিয়েই সব ফাঁস করলেন অপু বিশ্বাস?
শবনম ইয়াসমিন বুবলির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোর কথা অপুও স্বীকার করেছেন। তবে তার ভাষ্য,বুবলি তার কাছে ‘ফ্যাক্ট’ না। শাকিবের কাছে এতদিন সব গোপন রেখেও প্রাপ্য সম্মানটুকু না পেয়েই তিনি সব প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আর শাকিব বলছেন, চক্রান্তের কথা; বলেছেন, তাকে ঠেকানোর জন্য বার বার ফাঁদ পাতা হচ্ছে।
শাকিব-অপু-বুবলির ঘনিষ্ঠ নির্মাতা রনিও চক্রান্তের কথা বলছেন। তবে তিনি অপুর দিকে আঙুল তুলছেন না। তার সন্দেহ- উসকানি দিচ্ছে ‘তৃতীয় কেউ’।
‘রংবাজ’ ছবিতে বুবলিকে নেয়ার পেছনে কারণ কি ছিল?
‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রে নায়িকা কে হবে তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিষয়টি ঝুলে ছিল। ফাইনালি সবকিছু মিলিয়ে ব্যাটে-বলে আমরা যাকে পারফেক্ট মনে করেছি তাকেই চূড়ান্ত করেছি। আমাদের কাছে বুবলিকেই মনে হয়েছে তিনিই সবকিছু মিলে পারফেক্ট। অফকোর্স আমরা দিদিকে (অপু বিশ্বাস) নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি চাই পারসোনালি।
এ খবরে তো চটেছেন অপু। সামনে এলেন শাকিব খানের সন্তান নিয়ে। দুজনের কাছের মানুষ হিসেবে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
জয় তো ভাইয়ারই ছেলে। এতদিন ধরে যে ব্যাপারটা হিডেন ছিল, এটা যদি তার কেরিয়ারের জন্যই হয়ে থাকে, তাহলে একটা মুভিতে হয়তো তাকে (অপু বিশ্বাস) সাইন করানো হলো না তার জন্য এমন রিঅ্যাকশান কেন?
আপনি ফেইসবুকে একটা পোস্ট দিয়েছেন, এটি একটি চক্রান্ত বলে…
কারা এ ধরনের চক্রান্ত করেছেন বলে আপনার মনে হয়?
কারো নাম আসলে বলার দরকার নাই। পলিটিক্সে যেমন আওয়ামী লীগ-বিএনপি আছে ফিল্মেও আছে, শাকিব খানকে নামানোর জন্য তার অপজিট যে গ্রুপটা, তার অ্যান্টিতে যারা আছে তারা ইন্ধন দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে শাকিব খানের মনোভাব কী, আপনি জানেন?
ভাইয়া (শাকিব খান) বলছেন, অবশ্যই জয় তার ছেলে। জয়ের সমস্ত দায় দায়িত্ব তার। যদি তা না হয়, তাহলে জয়ের যতো খরচ আছে এতদিন তো ভাইয়াই করেছে, টাকা পয়সা তো ভাইয়াই দেয়। ফলে বাবার দায়িত্ব যে তিনি পালন করেন নাই তা কিন্তু না। এসব কিন্তু উনি করেছেন।
একসঙ্গে ‘বসগিরি’ করছিলেন আপনি অপু-শাকিবকে নিয়ে। এর মধ্যে অন্তসত্ত্বা হওয়ায় অপু বিশ্বাস সিনেমা ছেড়ে চলে গেলেন। তিনি নিজেও বলেছেন এটা তার প্রাণের ছবি। কবে থেকে তাদের মধ্যে বোঝাপড়ার অমিল ঘটে?
এটা আমি ঠিক জানি না, তবে কেউ না কেউ তো অবশ্যই তাকে উসকে দিয়েছে। দিদিকে কেউ উসকে দিয়েছে। তৃতীয় কোনো পক্ষ সুযোগটা নিয়েছে।
অপু বিশ্বাস চলে যাওয়ার পর ‘বসগিরি’ সিনেমায় আপনার হাত ধরেই শাকিব খানের বিপরীতে বড়পর্দায় অভিষিক্ত হন বুবলি। দুজনের মধ্যে কোনো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কি আপনি আঁচ করতে পেরেছেন?
শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে উনার তেমন কিছুই নাই। স্রেফ একজন অ্যাক্ট্রেস, কাজ করেছেন এতটুকুই। স্টারদেরকে নিয়ে এ ধরনের কথা সবসময়ই হয়। এটা রাজ্জাক স্যারদের সময়েও ছিলো, আলমগীর, সালমান শাহদের সময়েও ছিলো মান্না ভাইয়ের সময়ে ছিলো। তার মানে না এটা ট্রু। বুবলির সঙ্গে শাকিব ভাইয়ের সম্পর্ক এতটুকুই তারা কলিগ, জুটি হয়ে কাজ করেছে। জুটি হয়ে কেন করেছে? অবশ্যই অডিয়েন্স পছন্দ করেছে বলেই করেছে। যেমন একসময় দিদিকে নিয়ে করতো।
তাহলে আপনি বলছেন ‘বুবলি ইস্যু’কে কাজে লাগিয়ে কেউ পেছন থেকে চক্রান্ত করছে?
জাস্ট এটাকে ইউজ করা হয়েছে। দিদিকে ভুল বোঝানো হয়েছে। একই সাথে আমি এটাও বলছি, আমি যতটুকু জানি, আমি দুজনকেই জানি, বাবা হিসেবে বলেন, যা যা করার দরকার ছিলো তিনি তা এমনিতেই করেছেন। এখানে স্টার হওয়ার কারণেই, স্টারদের লাইফ অনেক কারণেই আলাদা রাখতে হয়, অনেক হিডেন ব্যাপার থাকে। এ কারণেই হয়তো বিষয়টা পাবলিকলি আনা যায় নাই। আনা হয়তো হতো, সেটা হয়তো আরও কিছুদিন পর। কেউ শাকিব ভাইয়ের কেরিয়ার নষ্ট করার জন্য এটা করেছে। কেননা শাকিব খান জয়ের জন্য এভরিথিং করেছে। টাকা পয়সা থেকে শুরু করে যা যা দরকার সব করেছে, যা দিদিও অস্বীকার করতে পারবে না। দিদিকে প্রশ্ন করা হোক উনিও এটা বলবেন।
শাকিব-বুবলিকে নিয়ে ‘রংবাজ’ কবে শুটিংয়ে যাচ্ছে?
আগামী ১৪ তারিখ শুটিং শুরু করছি। পহেলা বৈশাখের দিনটিকে বেছে নিয়েছি শুটিংয়ের জন্য। আগামী ঈদে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে চাই আমরা।