গিটারে তার চার বারের (কর্ড) সূচনা আর দ্রুত লয়ের লিরিক ১৯৫০ এর দশকে হয়ে উঠেছিল তারুণ্যের দ্রোহের প্রতীক।
দীর্ঘ সাত দশকের ক্যারিয়ারে চাক বেরি দিয়ে গেছেন ‘জনি বি গুড’ আর ‘রোল ওভার বিটোফেন’ এর মত গান, যা ইংরেজি গানের শ্রোতাদের মনে থাকবে বহুদিন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার মিজৌরির বাড়িতে মৃত্যু হয় এই শিল্পীর। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
সেইন্ট চার্লস কাউন্টি পুলিশ জানিয়েছে, দুপুরে তাকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। ঘণ্টাখানেক পর মারা যান তিনি।
বলা হয়, চাক বেরি হলেন সেই শিল্পীদের একজন, যারা কৃষ্ণাঙ্গ জীবনের ছন্দ আর বিষাদকে সংগীতের মধ্যে দিয়ে সব কিশোর-তরুণের লাইফস্টাইলে পরিণত করেছেন।
কৈশোরেই স্কুলের কনসার্টে নিয়মিত বাজানো শুরু করেছিলেন চাক বেরি। কিন্তু একটি ডাকাতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছর তাকে সংশোধনাগারে কাটাতে হয়।
পরে আরও কয়েকবার তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ১৯৬২ সালে এক কিশোরীকে ‘অনৈতিক উদ্দেশ্যে’ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে নেওয়ার অভিযোগে তার দুই বছর সাজা হয়। কর ফাঁকির অভিযোগে ১৯৭৯ সালে তাকে জেলে কাটাতে হয় ১০০ দিন। ১৯৮৮ সালে এক নারীকে ঘুষি মেরে মামলার মুখে পড়লেও পরে তিনি রফায় আসেন।
চাক বেরির রেকর্ডিং ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৫৫ সালে।‘মেবেলিন’ নামের ওই অ্যালবাম তাকে খ্যাতি এনে দেয়। পরের কয়েক বছরে তার গান কিশোর তরুণদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
একবার তিনি বলেছিলেন, “আমি সেই গান করি যা তারা শুনতে চায়। যা তারা শুনতে এসেছে, তা যেন তারা পায়।”
সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে তাকে গ্র্যামিতে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে তার নাম যুক্ত হয় রক অ্যান্ড রোলের হল অফ ফেইমে।
চাক বেরির পরের প্রজন্মের বহু খ্যাতিমান শিল্পী তার গান গেয়েছেন। বিটলস আর রোলিং স্টোনস এর মত ব্যান্ড চাক বেরির গান পৌঁছে দিয়েছে তাদের সময়ের শ্রোতাদের কাছে।
জন লেনন একবার বলেছিলেন, “তুমি যদি রক অ্যান্ড রোলকে অন্য কোনো নামে ডাকতে চাও, তুমি একে চাক বেরি ডাকতে পার।”