জমে উঠেছে দশম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। বুধবার ছিলো এ উৎসবের দ্বিতীয় দিন। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ভরে উঠেছে উৎসবের আঙিনা।
Published : 25 Jan 2017, 09:15 PM
দিনের শুরুতেই উৎসব প্রাঙ্গন জমে ওঠে শিশুদের পদচারণায়। উৎসবের সকালের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করে আগারগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও সিদ্ধেশ্বরী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় এর শিশুরা। এ সময় চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি উৎসবের অংশ হিসেবে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে একটি কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন সাংবাদিক ও উপস্থাপিকাবিলি জে.ডি.পোর্টার এবং কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন ক্ষুদে নির্মাতারা। দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ক্ষুদে নির্মাতাদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহন করেন বিলি জে.ডি পোর্টার।
দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশি ক্ষুদে নির্মাতাদের পরিচালিত প্রতিযোগিতা বিভাগের চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়। চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত জাতীয় গ্রন্থাগারের সেমিনারকক্ষে নিজেদের নির্মিত চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহন করেন ক্ষুদে নির্মাতারা।
চিলড্রেন'স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে একযোগে ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুরের মোট ১১টি ভেন্যুতে ৫৪টি দেশের দুই শতাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। ঢাকায় শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন ছাড়াও উৎসবের চলচ্চিত্রগুলো দেখা যাবে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা, জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, গ্যোটে ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে।
উৎসবে আগামীকাল শওকত ওসমান মিলনায়তনে বিভিন্ন দেশের নির্বাচিত চলচ্চিত্র ছাড়াও প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের দুটি চলচ্চিত্র মিসিং ও পেগাসাস উইদাউট উইংস।