স্মিতা পাতিল ও রাজ বাব্বরের একমাত্র সন্তান প্রতীক বাব্বর। ১৯৮৬ সালে প্রতীকের জন্মের পরই মাতৃত্বকালীন জটিলতায় ভুগে মারা যান স্মিতা। তার ছেলে প্রতীকও পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অভিনয়কে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রতীক বলেন, “আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে আমার মা স্মিতা পাতিল দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। প্রতিবছর এ দিনটিতে আমি তাকে মনে করি। শুধু আমি নই, গোটা দেশবাসীই করেন। তার স্মৃতি এতো সহজে ভুলে যাওয়ার নয়।”
এ সময় স্মিতা পাতিলকে ‘ঈশ্বরের সন্তান’ বলে অবহিত করে প্রতীক বলেন, “আমার মা ছিলেন ‘ঈশ্বরের সন্তান’। ঈশ্বরের তাই হিংসে হয়েছিলো তাকে আমাদের মাঝে রেখে দিতে। এ কারণেই তিনি তার প্রিয় সন্তানকে কাছে টেনে নিলেন। অল্প বয়সেই তাকে চলে যেতে হলো দুনিয়া ছেড়ে।”
মায়ের অকালমৃত্যু সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রতীক।
তিনি বলেন, “তবে ঈশ্বর যা করেছেন নিশ্চয় ভালোর জন্যই করেছেন। মা যেখানেই আছেন নিশ্চয় অনেক ভালো আছেন। মা, তোমার সন্তান হতে পেরে আমি গর্বিত। আমি যেন অভিনেতা হিসেবে তোমার সুনাম ধরে রাখতি পারি এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।”
১৯৮৬ সালে মাত্র একত্রিশ বছর বয়সে মারা যান স্মিতা পাতিল। স্বল্প সময়ের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ‘মন্থন’, ‘ভূমিকা’, ‘আক্রোশ’ ও ‘চক্র’সহ বিখ্যাতসব সিনমায় অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।