গ্লিটজ-এর এমন প্রশ্নে ইতিবাচক সাড়াই মিললো সেলিম-এর কাছ থেকে। দীর্ঘদিন পর দর্শককে হলে ফিরতে দেখে আনন্দিত তিনি। অমিতাভ রেজাকে জানালেন স্যালুট। বললেন, দর্শকের ওপর এখনও পূর্ণ আস্থা আছে তার।
‘আয়নাবাজি’র সাফল্যে দারুন উচ্ছ্বসিত সেলিম।
তার ভাষ্যে, “লোকেরা ঠিক সিনেমা পেলে হলে আসে। তামিল-তেলেগু ছবির রেপ্লিকা হলেই যে মানুষ হলে যায় তা নয় শুধু। গল্প ঠিক থাকলে, লোকাল সিনেমা হলে, ঠিকঠাক সিনেমা হলে, দর্শক যে এখনও সিনেমা দেখতে হলে যায় অমিতাভ এটা দেখিয়েছে।”
শুধু তাই নয়, এফডিসি ঘরানার চলচ্চিত্রকেই শুধু মুলধারা বলার যে রেওয়াজ আছে তা মানতেও খুব নারাজ এ নির্মাতা।
বললেন, “অলটারনেট ফিল্ম বলতে কিছু নাই। আমরাই মেইনস্ট্রিম। ‘মনপুরা’ মেইনস্ট্রিমের সিনেমা ছিলো, ‘আয়নাবাজি’ও মেইনস্ট্রিমের সিনেমা এবং আমার দ্বিতীয় ছবি ‘স্বপ্নজাল’ও মেইনস্ট্রিমের সিনেমাই হবে।”
সার্বিকভাবে চলচ্চিত্রের পরিস্থিতি নিয়েও আশাবাদি এ গুণী নির্মাতা।
‘মনপুরা’র পর গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মাণ করছেন তার নতুন সিনেমা ‘স্বপ্নজাল’।
নদীতীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠা ইলিশ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে চলচ্চিত্রটির গল্প। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নদীবেষ্টিত চাঁদপুরে শুটিং শুরু হয় সিনেমাটির। টানা শুটিংয়ের পর কয়েকমাস বিরতি নিয়ে ফের শুরু হচ্ছে চলচ্চিত্রটির শুটিং। এবার কলকাতায়।
‘স্বপ্নজাল’ ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি ও নবাগত রোহান। এতে অন্যান্য চরিত্রে আরো অভিনয় করছেন- ফজলুর রহমান বাবু, শাহানা সুমী, শহীদুল আলম সাচ্চু, শিল্পী সরকার, ইরফান সেলিম, মিশা সওদাগর, ফারহানা মিঠু, ইরেশ যাকের, মুনিয়া, শাহেদ আলী, আহসানুল হক মিনু প্রমুখ।