‘আয়নাবাজি’ সিনেমাটি নাকি বহুদিন পরে প্রেক্ষাগৃহ বিমুখ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির দর্শকদের ফিরিয়ে এনেছে- এমনটাই বললেন রাজধানীর বলাকা সিনেমা হলের ব্যবস্থাপক মোঃ আক্তার হোসেন।
গ্লিটজকে তিনি বলেন, “আমাদের হলে ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার টিকেট বিক্রি ভালো হচ্ছে। প্রতিদিন চারটি করে শো হচ্ছে। মুক্তির প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত সবগুলো শোই হাউজফুল। সব শোতেই দর্শকের অনেক বেশি চাপ থাকছে, যা সিনেমা মুক্তির পর থেকেই নিত্য দিনের ঘটনা।”
তিনি আরও জানালেন, টিকেট কাটতে অনেকে আগ থেকেই বুকিং দিয়ে রাখছেন। তারপরও
টিকেটের জন্য হাহাকার লেগেই আছে।
বলাকা সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যতদিন দর্শকদের কাছে এই সিনেমার চাহিদা থাকবে তত সপ্তাহ হলটিতে এই সিনেমা চলবে।
বক্সঅফিসে ‘আয়নবাজি’র রাজত্বের একই ধরনের চিত্র ফুটে উঠল রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের ম্যানেজার মাসুদ পারভেজের কথায়।
গ্লিটজকে তিনি বলেন, “মুক্তির প্রথম সপ্তাহের প্রথম দিন (২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার) আমরা ‘আয়নাবাজি’র তিনটি শো প্রদর্শিত করেছিলাম। দশর্কের বিপুল চাহিদার কারনে শো-য়ের সংখ্যা বাড়িয়ে দ্বিতীয় দিন (শনিবার) থেকে শো-য়ের সংখ্যা করা হয় চারটি। এরমধ্যে এই সিনেমার প্রতি দশর্কের আগ্রহের দিকটি বিবেচনা করে আমরা দ্বিতীয় সপ্তাহে শুক্রবারে শো-য়ের সংখ্যা সাতটি ও শনিবার থেকে আটটি করে শো চালাচ্ছি। পরে এই সংখ্যা আরো বেড়ে মঙ্গলবার ও বুধবার এই দুইদিনে এগারটি হয়েছে। এখন আমাদের চারটি হলে আয়নাবাজি চলছে।”
একই সুরে কথা বললেন রাজধানীর রাজমণি প্রেক্ষাগৃহের ব্যবস্থাপক ওয়াহিদ।
‘আয়নাবাজি’র ভেলকিবাজি রাজমণির মতো মধুমিতা প্রেক্ষাগৃহকেও ছুঁয়েছে। গ্লিটজকে এমন কথাই শোনালেন প্রেক্ষাগৃহের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, “এই (আয়নাবাজি) সিনেমাটি দেখার জন্য আমাদের প্রেক্ষাগৃহে দর্শক বেশ ভালো আসছেন। বিশেষ করে যারা বহুদিন ধরে বাংলা সিনেমা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, তারাই বহুদিন পরে এই সিনেমার মাধ্যমে আবারো প্রেক্ষাগৃহমুখী হলেন। যদিও এটা সকল শ্রেণির দর্শকের সিনেমা নয়, বলা যেতে পারে একটি নিদিষ্ট ঘরানার দর্শকদের জন্য, কিন্তু তারপরেও প্রতিটি প্রদর্শণীতে হাউজফুলের প্রায় কাছাকাছি দর্শক থাকছে।”
অন্যদিকে রাজধানীর শ্যামলী সিনেপ্লেক্সের চলতি সপ্তাহের প্রতিটি প্রদর্শনীর টিকেট নাকি এরমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। গ্লিটজকে এমনটাই জানালেন শ্যামলী সিনেপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আহসানুল্লাহ হাসান।
তিনি বলেন, “চলতি সপ্তাহের প্রতিটি শোয়ের টিকেট ইতমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। মুক্তির দিন থেকেই প্রতিদিনের চারটি প্রদর্শণী হাউজফুল। এখন টিকেটের এমন অবস্থা আগামী সপ্তাহের শনিবার কিংবা রবিবারের টিকেটও যদি কেউ অগ্রিম ক্রয় করতে চায় সেই টিকেট হয়ত কাউকে দেওয়া যাবে না!”
‘আয়নাবাজি’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী এবং মডেল ও উপস্থাপিকা মাসুমা রহমান নাবিলা। সিনেমায় অন্যান্যদের মধ্যে অভিনয় করেছেন পার্থ বড়ুয়া, লুৎফর রহমান জর্জ, গাউসুল আলম শাওন, এজাজ বাপ্পী, হীরা চৌধুরী সহ আরও অনেকে।
কনটেন্ট ম্যার্টাসের প্রযোজনায় র্নিমিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার মূল কাহিনি ও ভাবনা গাওসুল আলম শাওনের। এছাড়াও অনম বিশ্বাস-এর সঙ্গে সিনেমার চিত্রনাট্যও লিখেছেন শাওন।