২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয় যেখানে সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের কনিষ্ঠ পুত্র সাংবাদিক অমিতাভ সিরাজ দাবি করেন, তার বাবার গল্প অনুকরণ করে ‘বৃহন্নলা’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গ্লিটজকে মুরাদ পারভেজ বললেন, “আমি আমার মতো নিভৃতে থেকেই কাজ করতে বেশি পছন্দ করি। আসলে এ ব্যাপারে কথা বলতে আমার খুবই বিব্রত লাগছে। তারপরও বলছি, একটি গল্পের সাথে আরেকটি গল্পের স্বভাবগত মিল থাকতেই পারে। কিন্তু আমার সিনেমার গল্পের সাথে তো মূল গল্পের কোনো মিল নেই। মূল গল্পের ফিলোসফি ও কনসেপ্ট সম্পূর্ণই আলাদা। এখানে আমার সহজ সরল স্বীকারোক্তি হলো কিছু দুষ্টু লোকজন আমাকে বিব্রত করার অপচেষ্টা করছে। এর বেশি আমার কিছু বলার নেই।”
প্রয়াত লেখক সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের গল্প অবলম্বনেই মুরাদ নির্মাণ করেন তার প্রথম সিনেমা ‘চন্দ্রগ্রহণ’। অনুমতি নিয়েই তিনি সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন।
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের পরিবার তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলার প্রসঙ্গে মুরাদ বললেন,“একেবারেই মিথ্যা কথা। সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের সঙ্গে আমার সব সময় খুবই ভালো সম্পর্ক ছিলো। তার গল্প নিয়ে তো আমি আগেও কাজ করেছি। আমি দেশের বাইরের কোনো লেখকের গল্প নিয়ে কাজ করছি কি না, সেই বিষয়ে যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমাকে সরকারের কাছে জমা দিতে হয়। আমার কাছে এ সংক্রান্ত সব ধরনের অনুমোদনের কাগজপত্র রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আমি বেশি দূর যেতে চাইছি না।”
গত বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে ২০১৪ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকায় ‘বৃহন্নলা’ সিনেমাটি একাধিক বিভাগে পুরস্কৃত হয়। শ্রেষ্ঠ সিনেমা, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার ও শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমাটি।