লক্ষ্যাপারের সংগঠক অসিত কুমারের সঞ্চালনায় সুধীজন পাঠাগারের কর্মাধ্যাক্ষ ইমতিয়াজ ফারুক মঈন ও লক্ষ্যাপারের প্রধান উপদেষ্টা ও পাঠাগার পরিচালক কাসেম জামালের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে তিন পর্বের অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
প্রথমে ছিল সুর-আলাপন নামে একটি পর্ব। এর বিষয় ছিল শাস্ত্রীয় সংগীতের সঙ্গে লোক সংগীতের সম্পর্ক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. অসিত রায় লোক সংগীতের সঙ্গে শাস্ত্রীয় সংগীতের গভীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
কথার ফাঁকে ফাঁকে ঝিঁঝিট, খাম্বাজ ও ভৈরবী রাগ পরিবেশন ও এই রাগগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সংগীতের এ দুটি শাখার প্রগাঢ় আত্মীয়তা তুলে ধরেন শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী অধ্যাপক ড. অসিত রায় ও তার সুযোগ্য ছাত্র লোকসংগীত শিল্পী কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আরিফুর রহমান। তবলায় সঙ্গত করেন বিশিষ্ট বাদক সবুজ আহমেদ।
ভাটিয়ালি, বাউল গানের সঙ্গে শাস্ত্রীয় সংগীতের সম্পর্কের দিকটি উন্মোচন করেন গুণী এই শিল্পীদ্বয়।
মাঝের বিরতির পর শেষ পর্বে মঞ্চে আসেন কলকাতার সরোদ শিল্পী ত্রৈলী দত্ত। ঠিক রাত সাড়ে ৮টা থেকে মীর নাকিবুল ইসলামের তবলা সঙ্গতে ত্রৈলীর সরোদে সুরের আরেক মায়াজাল ছড়িয়ে পড়ে সুধীজন পাঠাগারের পাঠকক্ষটিতে।
পরবর্তী দুই ঘণ্টা রাগ পটদ্বীপ ও রাগ হেমন্ত এবং সবশেষে পিলু রাগে ধুন পরিবেশন করে এই তরুণ সরোদিয়া মুগ্ধ করেন সকলকে।
সবশেষে লক্ষ্যাপারের পরবর্তী আয়োজন সপ্তম বার্ষিক শাস্ত্রীয় সংগীত অধিবেশনে সবাইকে আমন্ত্রণ জানান লক্ষ্যাপার সংগঠক অসিত কুমার।