বাংলাদেশে মুক্তি পেতে পারে ‘রাজকাহিনী’

পশ্চিমবঙ্গের পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন সিনেমা ‘রাজকাহিনী’ মুক্তির আগেই অনেক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এবার শোনা যাচ্ছে সিনেমাটিকে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে মুক্তি দেয়ার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2015, 10:23 AM
Updated : 12 Oct 2015, 10:23 AM

সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা জি নিউজকে বলেন, “বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে সেখানেও ‘রাজকাহিনী’ রিলিজ করার চেষ্টা করছেন ভাটরা। ‘চোখের বালি’ প্রযোজনার পর এই ধরনের আনন্দের অভিজ্ঞতা আগে আমার হয়নি।”

৫ অক্টোবর ঢাকা এসেছিলেন ‘শোলে’ খ্যাত ভারতীয় পরিচালক রমেশ সিপ্পি এবং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রডিউসার্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মুকেশ ভাট। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে পর দিন বৈঠক করেন তারা।

বৈঠক সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকসী গ্লিটজকে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ সফররত প্রযোজক ও পরিচালকসহ ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুই দেশের চলচ্চিত্রের বাজার, চলচ্চিত্র বিনিময়ের নানা প্রেক্ষাপট ও সমস্যা, সমস্যা সমাধানে করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।

আবদুল লতিফ আরও জানান, চলচ্চিত্র বিনিময়, যৌথভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনী বিষয়েও কথা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল ভারতে প্রচারের বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।

‘রাজকাহিনী'র প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা আরও জানান, সিনেমাটি মুক্তির আগেই রিমেইকের প্রস্তুতি নেয়া হয়ে গেছে। এর প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছে ভাটদের প্রযোজনা সংস্থা ভিশেষ ফিল্মস। হিন্দি ভাষায় সিনেমাটি নির্মিত হবে পাঞ্জাবের পটভূমিতে।

১৯৪৭ সালের দেশভাগের পটভূমিতে সিনেমার গল্প। ট্রেইলারে দেখা যায়, র‌্যাডক্লিফ লাইন চিরে দিচ্ছে দেশ ও মানুষকে। সেই রেখা ভাগ করার চেষ্টা করে একটি বাড়িকেও, যে বাড়ির বাসিন্দা পতিতারা। অবিভক্ত ভারতবর্ষের নানা অংশ থেকে আসা এই নারীরা রুখে দাড়ায় এই বিভাজনের বিরুদ্ধে। তাদের কর্ত্রী বেগম জানের ভূমিকায় ঋতুপর্ণা মনে করিয়ে দেন শ্যাম বেনেগালের সিনেমা `মান্ডি'র শাবানা আজমির কথা। এছাড়া বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসানকে দেখা যায় বাঙাল নারীর ভূমিকায়। দাপটের সঙ্গে যাকে বলতে শোনা যায়, “এই লড়াইয়ের শ্যাষ না দেইখে, আমি নড়বো না।” ‘আবর্ত’র পর টালিগঞ্জের সিনেমায় জয়ার একটি বড় পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে সিনেমাটি।