জাহাজ ভাঙা শিল্প ‘লালে’ ফিরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ

পরিবেশ দূষণকারী জাহাজ ভাঙা শিল্পকে আবার সর্বোচ্চ দূষণকারী ‘লাল’ শ্রেণিতে ফিরিয়ে নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2022, 06:53 PM
Updated : 10 Feb 2022, 06:53 PM

বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

গত ১০ অক্টোবর পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই) এক সভায় জাহাজ ভাঙা শিল্পের শ্রেণি কমলা (খ) তে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।

লাল শ্রেণিভুক্ত শিল্পের ক্ষেত্রে পরিবেশগত নির্দেশনা মেনে চলার সর্বোচ্চ বাধ্যবাধকতা থাকে। শিল্প এলাকার মাটি, পানি, বাতাস ও মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর শিল্প স্থাপনের প্রভাব সম্পর্কিত বিস্তারিত বর্ণনা করে পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) করতে হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৭ অনুযায়ী ‘কমলা’ শ্রেণিভুক্ত শিল্পের জন্য কোনো ইআইএ র দরকার হয় না।

ইআইএ করা হলে একটি শিল্পের দূষণের প্রভাব কমানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি ধারণা পাওয়া যায়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “পূর্বে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প পরিবেশ দূষণের দিক থেকে অধিক ঝুকিপূর্ণ হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে বিশেষ বিবেচনায় এটাকে কিছুটা কম ঝুঁকিপূর্ণ কমলা ক্যাটাগরিতে নেওয়া হয়।”

“শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ ছিল এটাকে কমলা ক্যাটাগরিতে যেন বিবেচনা করা হয়। সংসদীয় কমিটি মনে করে, এটাকে লাল ক্যাটাগরিতেই ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। এতে ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্য্য ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরকে বিজ্ঞানসন্মতভাবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড যাচাই করে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছি।”

বনের ৭৩৯৫ একর জমি উদ্ধার

বনের বেদখলে থাকা সাত হাজার ৩৯৫ একর জমি উদ্ধার হয়ে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটিকে জানানো হয়েছে। কমিটি আগামী জুনের মধ্যে ১০ হাজার একর জমি উদ্ধারের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করতে বলেছে বলে কমিটির সভাপতি জানান।

বন বিভাগের জমির মধ্যে প্রায় দুই লাখ ৫৭ হাজার একর বেদখলে ছিল। এর মধ্যে গত বছর অগাস্ট পর্যন্ত মাসে পাঁচ হাজার ৬৩৯ একর ভূমি উদ্ধার হয়েছিল। গত ছয় মাসে আরো প্রায় দুই হাজার একর উদ্ধার হয়েছে।

বৈঠকে বৈধ বালুমহলের তালিকা তৈরি, বন বিভাগের জবরদখলকৃত বনভূমি দখলমুক্ত করার পরিমাণ, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের মোট জমির পরিমাণ এবং বেদখলকৃত জমির হালনাগাদ তথ্য পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়।

সাবের হোসেনের চৌধুরী’র সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাফর আলম, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এবং মো. শাহীন চাকলাদার অংশ নেন।