কপ-২৬ এ যথাযথ প্রাপ্তি না হলেও অনেক দাবি পূরণ হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন  বলেছেন, এবারের জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে প্রত্যাশা অনুযায়ী যথাযথ প্রাপ্তি না হলেও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অনেক দাবি পূরণ হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2021, 07:15 PM
Updated : 1 Dec 2021, 07:15 PM

বুধবার ‘বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ ২৬): প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো শহরে ৩১ অক্টোবর হতে ১৩ নভেম্বর কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজের (কপ) ২৬তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ে খসড়া চুক্তি নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় বাড়তি সময়ের আলোচনা শেষে ‘গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তি’ সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির আলোকে আমাদের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা এখনই ঠিক করতে হবে। সম্ভাব্য সব ধরনের ঝুঁকি চিহ্নিতপূর্বক তা মোকাবেলায় আমাদেরকে কাজ শুরু করতে হবে। কেবল বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের উপর নির্ভর না করে আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়েই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর অভিযোজন এবং প্রশমনমূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।”

পরিবেশমন্ত্রী  জানান, এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো ‘গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন’ সংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য ‘গ্লাসগো-শার্ম আল শেখ ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন দি গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন’  প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে সদস্য দেশগুলোকেকে উচ্চাভিলাষী ও শক্তিশালী পরিকল্পনা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্যারিস চুক্তির রুল বুক সম্পন্ন হয়েছে এবং এ চুক্তির আওতায় ‘আর্টিকেল ৬ (মার্কেট এন্ড নন মার্কেট মেকানিজম)’ এর মোডালিটিজ, প্রোসিডিউরস এন্ড গাইডলাইন্স গৃহীত হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, “উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলোর অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করার পাশাপাশি কপ-২৬ এর বিভিন্ন ডিসিশন টেক্সটে অভিযোজন ও প্রশমন অর্থায়নের মধ্যে ৫০:৫০ সমতা আনার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।”

এছাড়াও উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু অর্থায়নে নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে ২০২২-২৪ সময়ের জন্য একটি এডহক ওয়ার্ক প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ধনী দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিলে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ অন্তত দ্বিগুণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশ ‘গ্লাসগো লিডার্স ডিক্লারেশন অন ফরেস্টস এন্ড ল্যান্ড ইউজ’ অনুমোদন করেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও স্থানান্তর বিষয়ক বিভিন্ন বৈঠকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং সম্মেলনে এ সংক্রান্ত আলোচনায় কার্যকর অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।