প্রবালের রাজ্যে প্লাস্টিকের আগ্রাসন
মেহেরুন নাহার মেঘলা, নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 15 Nov 2021 01:19 AM BdST Updated: 15 Nov 2021 01:21 AM BdST
-
সম্প্রতি সেন্ট মার্টিন থেকে ৭৪০ কেজি প্লাস্টিক এবং পচনশীল নয় এমন বর্জ্য অপসারণ করেছে ফেইসবুকের ভ্রমণ ও পর্যটন বিষয়ক গ্রুপ ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ (টিওবি)।
-
সেন্ট মার্টিনে প্লাস্টিক বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য উৎসাহ যোগাতে ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবীদের বানানো বিন
-
সম্প্রতি সেন্ট মার্টিন থেকে ৭৪০ কেজি প্লাস্টিক এবং পচনশীল নয় এমন বর্জ্য অপসারণ করেছে ফেইসবুকের ভ্রমণ ও পর্যটন বিষয়ক গ্রুপ ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ (টিওবি)।
-
প্লাস্টিক ও পলিথিন ধ্বংস করছে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ
-
প্রতি বছরই স্বেচ্ছাসেবীরা সেন্ট মার্টিন থেকে প্লাস্টিক ও পলিথিন সরাতে কাজ করেন।
প্রতিবছর কয়েক লাখ পর্যটক সমুদ্রস্নানে যান সেন্ট মার্টিনে, তারা সুখস্মৃতি নিয়ে ফেরেন, রেখে আসেন প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন।
ভ্রমণের সেই সুখস্মৃতি সময়ের পরতে ঝাপসা হয়ে আসে, কিন্তু প্লাস্টিক তো পচে না! ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের স্তর জমে এখন হুমকির মুখে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের প্রবাল।
গতবছর আন্তর্জাতিক ওশান সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের এক সমীক্ষা প্রতিবেদেন বলছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে এ দ্বীপে প্রবালের আচ্ছাদন ১ দশমিক ৩২ বর্গকিলোমিটার থেকে কমে শূন্য দশমিক ৩৯ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। প্রবাল প্রজাতি ১৪১টি থেকে কমে ৪০টিতে নেমেছে।
সম্প্রতি পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে দ্বীপটি থেকে ৭৪০ কেজি প্লাস্টিক এবং পচনশীল নয় এমন বর্জ্য অপসারণ করেছে ফেইসবুকের ভ্রমণ ও পর্যটন বিষয়ক গ্রুপ ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ (টিওবি) এর কর্মীরা।
সেন্ট মার্টিন থেকে কুড়িয়ে আনা সেই ৭৪০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য ও অন্যান্য নন-বায়োডিগ্রেডেবল পণ্য দিয়ে এখন তৈরি হচ্ছে একটি ভাসমান বার্জ, যার মূল উদ্দেশ্য সচেতনতা তৈরি করা।
সেন্ট মার্টিন থেকে ১৩শ কেজি আবর্জনা ধ্বংস
সেন্ট মার্টিন সৈকতে পরিচ্ছন্নতা

সেন্ট মার্টিনে প্লাস্টিক বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য উৎসাহ যোগাতে ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবীদের বানানো বিন
“যেগুলো পাঁচ-সাত বছর আগে ফেলা হয়েছে। এর ফলে প্রবালগুলো মরে যাচ্ছে। যদি এভাবে প্রবালগুলো মারা যেতে থাকে, তাহলে এখানে মাছও আসবে না। এর ফলে এই দ্বীপে মানুষের বসবাসও হুমকির মুখে পড়বে।”
সেন্ট মার্টিনের স্থায়ী বসবাসকারীদের একটি বড় অংশের মূল পেশা মাছ ধরা। কিন্তু তারা নিজেরাও এসব বিষয়ে তেমন সচেতন না। তাই সরকারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীদের এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন মোর্শেদ।
তিনি বলেন, “আমাদের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন আস্তে আস্তে দূষিত হয়ে ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। আর কয়েক বছরের মধ্যে এ দ্বীপটিকে আমরা হারিয়েও ফেলতে পারি। কিন্তু কেউই এই ব্যাপারটাতে ফোকাস করছে না।”
সেন্ট মার্টিন বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে সাগরের বুকে ৮ দশমিক ৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। প্রশাসনিকভাবে সেন্ট মার্টিন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। সেখানে গ্রাম আছে সব মিলে নয়টি। স্থায়ী বাসিন্দা প্রায় দশ হাজার। এ দ্বীপ সামুদ্রিক কাছিমের প্রজনন ক্ষেত্র। এছাড়া এখানে ৬৮ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির মোলাস্ট বা কড়ি জাতীয় প্রাণী, ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৩৪ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, পাঁচ প্রজাতির ডলফিন, চার প্রজাতির উভচর প্রাণী, ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ১২০ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৭৫ প্রজাতির উদ্ভিদ, দুই প্রজাতির বাদুড়সহ নানা প্রজাতির প্রাণীর বসবাস ছিল এককালে। এসব প্রজাতির অনেকগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এসব জীববৈচিত্র্য। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৯৯৯ সালে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করেছে সরকার। |
বাড়ছে চাপ, বাড়ছে বিপদ
পর্যটন করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, নয়নাভিরাম এ দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটন মৌসুমে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার পর্যটকের আনাগোনা থাকে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, এত মানুষের চাপ নিতে গিয়ে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে সেন্ট মার্টিনের; ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকেও এ দ্বীপে বছরে দুইশর বেশি পর্যটকের পা পড়ত না। যোগাযোগ সহজ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ায় বছরে এখন আড়াই লাখের বেশি পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যান।
এই সময়ে দ্বীপটির স্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ছয় হাজার। হোটেল, মোটেল ও কটেজের সংখ্যা সাত গুণ বেড়ে একশ ছাড়িয়েছে। পর্যটক বাড়ায় বেড়েছে জাহাজের আনাগোনা।
পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, সেন্ট মার্টিন রক্ষায় পর্যটকদের সংখ্যা এবং তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এমনকি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণও বন্ধ রাখা উচিত।
আর প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণে স্থানীয় জনগণেরও দায় রয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের জনসংযোগ ও বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক জিয়াউল হক হাওলাদার।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “নভেম্বর, ডিসেম্বর আর জানুয়ারির দিকে দিনে তিন থেকে চার হাজার পর্যটক থাকে সেন্ট মার্টিনে। এসময় দিনে চার থেকে পাঁচটা জাহাজ যায় দ্বীপটিতে।
‘সেন্টমার্টিনের পরিবেশ বেদনাদায়ক’
সেন্ট মার্টিন থেকে আবর্জনা সঙ্গে করে নিয়ে আসার আহ্বান
“প্রতি জাহাজে দুই থেকে আড়াইশজন করে যাত্রী হলেও দিনে ১২শর বেশি পর্যটকের আনাগোনা থাকে। কিন্তু বছরের বাকি দিনগুলোতে পর্যটক তেমন একটা যায় না।”
পর্যটন কর্পোরেশনের এই কর্মকর্তা বলেন, “ওই সময়ের বাইরেও তো পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে শুধু পর্যটকেরাই নয়, স্থানীয়রাও দায়ী।”
তবে প্লাস্টিক বর্জ্যের উৎস দ্বীপ থেকে অনেক দূরেও হতে পারে বলে মনে করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক সোলায়মান হায়দার।
“সেন্ট মার্টিন একটি সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপ। এখানে কক্সবাজার থেকে শুরু করে মিয়ানমারের বর্জ্যও ভেসে আসতে পারে। সমুদ্রপথে জাহাজ থেকেও অনেকে বর্জ্য ফেলে, সেগুলোও এখানে আসতে পারে। আবার স্থানীয়রাও পরিবেশ নষ্ট করে।”
প্লাস্টিক বর্জ্যের বিপদ কোথায়?
সোলায়মান হায়দার জানান, কী পরিমাণ বর্জ্য প্রতিবছর সেন্ট মার্টিনে জমা হয়, তা নিয়ে একটি গবেষণা রয়েছে। তাতে দেখা গেছে, নগরাঞ্চলে একজন মানুষ দিনে গড়ে আধা কেজির মতো বর্জ্য তৈরি করে। আর সেন্ট মার্টিনে এর পরিমাণ গড়ে আড়াইশ গ্রামের মত।
কিন্তু এ দ্বীপে পর্যটকদের জন্য ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা বা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্রক্রিয়া গড়ে না ওঠায় ক্ষতি হচ্ছে প্রবাল ও প্রকৃতির।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিটা এক বা দুই দিনে হয় না। অনেক বছর প্লাস্টিক জমে মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়।
“এই প্লাস্টিক কোরালের উপর জমে। তাতে প্রবালের ক্ষতি হয়। ঝুঁকি আরও বাড়ে যখন বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ এগুলো খেয়ে ফেলে এবং সেই মাছ যখন মানুষ খায়।”
প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে সামুদ্রিক মাছের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় মানুষের জীবিকাও ঝুঁকির মুখে পড়বে জানিয়ে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণ বন্ধ রাখা উচিত বলে মত দেন সোলায়মান হায়দার।
তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিনের প্রবাল নির্ভর পরিবেশ-প্রতিবেশ নষ্ট হয়ে গেলে সামুদ্রিক মাছের যোগানই নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে অর্থনৈতিক ক্ষতিও হবে।
“একটা এলাকার ইকোসিস্টেম যখন অতিরিক্ত মানুষের উপস্থিতিতে নষ্ট হবার পথে চলে যায়, সেখানে কিছু দিনের জন্য মানুষের প্রবেশ বন্ধ থাকলে সেই ইকোসিস্টেমটিকে আবারও আগের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।”
সোলায়মান হায়দার বলেন, এ পর্যন্ত বহুবার পর্যটকদের বিভিন্নভাবে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের কথা জানানো হয়েছে।
ছেঁড়াদ্বীপে যেতে বারণ, কড়াকড়ি সেইন্ট মার্টিন’সেও
নিরিবিলি সৈকতে ফিরেছে কচ্ছপ, দিচ্ছে ডিম

সম্প্রতি সেন্ট মার্টিন থেকে ৭৪০ কেজি প্লাস্টিক এবং পচনশীল নয় এমন বর্জ্য অপসারণ করেছে ফেইসবুকের ভ্রমণ ও পর্যটন বিষয়ক গ্রুপ ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ (টিওবি)।
ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ গ্রুপের অ্যাডমিন নিয়াজ মোর্শেদ জানান, এ দ্বীপে পর্যটকদের নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে উদ্বুদ্ধ করতে তাদের স্বেচ্ছাসেবীরা একটি প্রতীকী বিন তৈরি করেছেন।
“যেটি বাঁশ দিয়ে সমুদ্রগামী একটি নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে। আশা করি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারটিকেও গুরুত্ব সহকারে দেখবে এবং পর্যটকদের জন্য ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করা হবে।”
তাদের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী বলেন, সেন্ট মার্টিনের সৌন্দর্য রক্ষায় তাদেরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, “দ্বীপে পর্যটকদের আগমন কমানোর লক্ষ্যে এর আগেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেন্ট মার্টিনে চাইলেই রাস্তাঘাটসহ রিসোর্ট তৈরি করা যায় না। তবুও যেসব অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, সেগুলো অনেকটাই নিয়ম নীতির বাইরে থেকেই।
“এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ পর্যটন মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব রয়েছে। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় এই এলাকার পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা সম্ভব হবে। এজন্য একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার।”
‘নিয়ম ছাড়াই’ অবকাঠামো
সেন্ট মার্টিনে যেসব অবকাঠামো তৈরি হয়েছে তার অধিকাংশই ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং ঢাকার এবং প্রবাসী ব্যবসায়ীদের মালিকানাধীন।
তবে এখন নতুন অবকাঠামো আগের চেয়ে কম হচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের কর্মকর্তা জিয়াউল হক হাওলাদার।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও একটি কমিটি তৈরি করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কোস্ট গার্ড, নৌ বাহিনী, পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং পর্যটন কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কিছু প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে বিশদভাবে কাজ করা হচ্ছে।
সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ রক্ষার জন্য যা করা দরকার সবই এই কমিটি থেকে ‘করার চেষ্টা করা হচ্ছে’ জানিয়ে কিছু সীমাবদ্ধতার কথাও তুলে ধরেন জিয়াউল হক।
“যেসব অবকাঠামো তৈরি হয়ে গেছে, সেগুলো তো ভেঙে ফেলা সম্ভব না। এখানে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিও রয়েছে। পুরো এলাকা সরকারের না।”

প্লাস্টিক ও পলিথিন ধ্বংস করছে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ
দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গতবছর স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান এ পর্যটন কর্মকর্তা।
স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনায় পর্যটকদের সচেতনতার জন্য প্রচার চালানোর কথা বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কঠিন তরল বা যে কোনো বর্জ্য সমুদ্রের পানিতে না ফেলা, মূল ভূখণ্ড থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকবাহী জাহাজ, লঞ্চে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিন স্থাপন ও এর ব্যবহার নিশ্চিত করা।
পানি বা অন্য জলজ প্রাণিকে চিপস বা অন্য কোনো ধরনের খাবার না দেওয়া, দ্বীপে ভ্রমণকারী পর্যটকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অনলাইন নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করার কথাও আছে এর মধ্যে।
মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনায় বলা হয়েছে- সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিরুৎসাহিত করতে হবে, যদি কোনো পর্যটক একান্তই সেখানে রাত কাটাতে চান, তাহলে যেন জাহাজে বা নৌযানে অবস্থান করেন।
পাশাপাশি টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত নৌরুট এবং সেন্ট মর্টিন এলাকাকে অর্থনৈতিক সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করার কথাও বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটক
চার সচিবসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

প্রতি বছরই স্বেচ্ছাসেবীরা সেন্ট মার্টিন থেকে প্লাস্টিক ও পলিথিন সরাতে কাজ করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারি পর্যায়ে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ সংরক্ষণে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক সোলায়মান হায়দার।
তিনি বলেন, একটি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার অনুমোদন দিলেই তা চালু হবে। এর মাধ্যমে পর্যটকরা অনলাইনে টিকেট কেটে ট্যাক্স দিয়ে সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণ করতে পারবেন।
“পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই প্রক্রিয়াটি চালু আছে। যখন পর্যটকরা নির্দিষ্ট পরিমাণে ট্যাক্স দিয়ে পর্যটনস্থলগুলোতে যাবে, তখন তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ থেকেই এক প্রকার সচেতনতা তৈরি হবে।”
পরিবেশ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, “বিগত কয়েক বছরে এই ইকোসিস্টেমটি নাজুক অবস্থায় উপনীত হয়েছে, সুতরাং এ ইকোসেস্টেমটিকে রক্ষায় আমাদের বিভিন্ন পর্যায় থেকে এগিয়ে আসতে হবে।”
-
পাহাড় কেটে সাদামাটি আহরণে ধোবাউড়ায় ‘পরিবেশ বিপর্যয়’
-
সুন্দরবনে ফের দেখা গেল ‘বাংলার বাঘ’
-
জলবায়ু বদলে বাড়ছে শিলাবৃষ্টি, বড় হচ্ছে শিলা
-
বিশ্বে ‘সবচেয়ে দূষিত’ বাংলাদেশের বাতাস
-
সুন্দরবনে একসঙ্গে ৪ বাঘ দেখার গল্প শোনালেন নিয়াজ
-
বিপন্ন প্রাণী, পরিযায়ী পাখি হত্যায় শাস্তি বাড়ছে
-
‘ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ এড়ানোর সময় পেরিয়ে যাচ্ছে’
-
মানুষের খাওয়া ওষুধে অসুস্থ হচ্ছে নদী: গবেষণা
সর্বাধিক পঠিত
- সিটির হোঁচটে লিভারপুলের আশার পালে দোলা
- 'ভয়ঙ্কর' কাদিসে পারল না রিয়াল
- শ্রীলংকায় ফের সংগঠিত হচ্ছে তামিল টাইগাররা, গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা
- বাংলাদেশের ভালো শুরু
- সাকিব যা পারলেন, নাঈমদের যা পারতে হবে
- ‘অস্ট্রেলিয়া হারাল আরেক নায়ককে’
- পি কে হালদারের জের টানছে সেই প্রতিষ্ঠানগুলো
- মেসি-এমবাপের নৈপুণ্যে পিএসজির বড় জয়
- খুলনায় অস্ত্রের মুখে দুই বোনকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’
- পাওয়ারকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, বিজেপি নেতাকে চড় মারলেন এনসিপি কর্মী