রোববার, ৩১ অক্টোবর থেকে স্কটল্যান্ডের বৃহত্তম শহর গ্লাসগোতে শুরু হচ্ছে কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজের (কপ) ২৬তম এ আয়োজন; যা ১২ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা।
এতে অভিযোজন ও ক্ষতি প্রশমনে সমান (৫০:৫০) অর্থ বরাদ্দের দাবিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোরালো দাবি তুলে ধরবে বাংলাদেশ।
এই জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, প্যারিস চুক্তির ‘আর্টিকেল ৬’, অভিযোজন, অর্থায়ন, লোকসান ও ক্ষতিকে মূল আলোচ্য রেখে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনের জন্য ‘পজিশন পেপার’ (অবস্থানপত্র) প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ।
সম্মেলনে বাংলাদেশ একটা গ্রুপ হিসেবে অংশ নেবে, জোট করে বক্তব্য তুলে ধরবে।
“এজেন্ডাভিত্তিক অবস্থানে জোর দেব আমরা। যেমন- ফিন্যান্সের বিষয়ে জোর দেব…৫০% অ্যাডাপটেশনের জন্য, ৫০% মিটিগেশনের জন্য বরাদ্দ নিশ্চিত করতে চাই আমরা,” বলেন এক কর্মকর্তা।
প্রাক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনস্থলে পৌঁছেছেন। বিভিন্ন গ্রুপ ও জোটের বৈঠক করছে সেখানে।
বাংলাদেশের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও বৈঠক করা শুরু করেছে। আরেকটি দল রওনা দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে সরাসরি অংশ নেবেন। রোববার তার রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। সিভিএফ (ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম) এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ফোরামে বক্তব্য দেবেন।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত রাখতে দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি কার্যকর, জলবায়ু তহবিলের কার্যকর বাস্তবায়নসহ তিনটি প্রস্তাব তিনি শীর্ষ সম্মেলনে দেবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন।
বিশাল এ সম্মেলনে জড়ো হবেন বিশ্ব নেতারা। এতে অংশ নিতে যাওয়া ২০০ দেশের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন কমানোর ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা কী তা জানতে চাওয়া হবে।
বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, প্রত্যাশা পূরণে তারা নিজেদের দাবিগুলোও তুলে ধরবে।
গ্লাসগোতে মূল সম্মেলন শুরুর আগে ‘প্রি সেশনাল’ বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের একটি বিশেষজ্ঞ দল। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুল হক নেতৃত্ব দিচ্ছেন চার সদস্যের অগ্রবর্তী এ দলের।
এ দলের একজন মির্জা শওকত আলী গ্লাসগো থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২৫-২৬ অক্টোবর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) গ্রুপের বৈঠক হয়েছে। ইউএনএফসিসিসির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারির সঙ্গে এলডিসি গ্রুপের বৈঠকও বেশ সফলভাবে শেষ হয়েছে। আফ্রিকান গ্রুপের বৈঠক হয়েছে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার থেকে জি ৭৭ ও চীন এর বৈঠক শুরু হবে।
বাংলাদেশ এ সম্মেলনে যে যে গ্রুপ বা জোট হিসেবে অংশ নিচ্ছে, তার একটা হচ্ছে-এলডিসি গ্রুপ, আরেকটি হচ্ছে গ্রুপ ৭৭ ও চীন।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়া আরেকটি প্রতিনিধি দলের সদস্য জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন-১) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটা দেশ তো এককভাবে কথা বলতে পারে না। এক বছর যাবত তাদের সঙ্গে সভা করে আমাদের পজিশন যেটি, সেটি এলডিসি পজিশন, আমরা সেভাবে অগ্রসর হচ্ছি।”
প্রাক অধিবেশন ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন
সম্মেলনের প্রাক অধিবেশনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা মির্জা শওকত জানান, এখন বিভিন্ন গ্রুপের প্রস্তুতিমূলক আলোচনা চলছে। নিজেদের মধ্যে গ্রুপের সমঝোতা চূড়ান্ত করছেন তারা। মূল আলোচনা শুরু হবে ৩১ অক্টোবর থেকে।
“এখানকার মিটিংগুলো ভালোই হয়েছে। বাংলাদেশের যে চার সদস্যের অ্যাডভান্স টিম এসেছে, অ্যাকটিভলি মিটিংগুলোতে অংশ নিচ্ছে। পুরো বাংলাদেশ ডেলিগেশনের জন্য একটি পজিশন পেপার তৈরি করা হয়েছে। কী বিষয় নিয়ে আমরা এখানে কথা বলব, তা এ অবস্থানপত্রে রয়েছে।”
দেশের ‘পজিশন পেপারে’ অগ্রাধিকার পাচ্ছে যা
এর আগে ২০১৫ সালের সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যেন না বাড়ে, যেন এর চেয়ে ‘অনেক কম’; সম্ভব হলে প্রাক শিল্পায়ন যুগের তাপমাত্রার চেয়ে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশির মধ্যে রাখা যায়, তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিতে রাজি হয়েছিল দেশগুলো।
এটাই প্যারিস চুক্তি নামে পরিচিত; এ চুক্তির ফলে কার্বন নিঃসরণ ২০৫০ সালের মধ্যে কার্যত শূন্যে নামিয়ে আনতে বিভিন্ন দেশকে কার্বন নিঃসরণ ব্যাপক হারে কমাতে হবে।
বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার করে তহবিল তৈরি করে সেটা কার্বন নির্গমন হ্রাসের ক্ষেত্রে কাজ করবে বলে প্যারিস সম্মেলনে প্রতিশ্রুতি এসেছিল।
এ প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অগ্রবর্তী প্রতিনিধি দলের সদস্য মির্জা শওকত জানান, বাংলাদেশের অবস্থানপত্রে প্রধান এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে- প্যারিস চুক্তির আর্টিকেল ৬; অভিযোজন ও অর্থায়ন এবং লোকসান ও ক্ষতির কিছু বিষয়।
“এসব এজেন্ডা আইটেমে বাংলাদেশের কী অবস্থান হবে, কোন বিষয় নিয়ে কথা বলবে; সে বিষয়গুলো নিয়ে ঢাকাতে আলোচনার মাধ্যমে অবস্থানপত্র ঠিক করা হয়েছে। আমরা এই বিষয়গুলোকে হাইলাইট করব। সেটাই আমাদের অবস্থানপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এজেন্ডাভিত্তিক কিছু অবস্থান নির্ধারণ করে বিষয়টাতে জোর দেব।“
ব্যাখ্যা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের এই পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন) বলেন, “যেমন- ফিন্যান্সের বিষয়ে জোর দেব, আর্টিকেল ৬ এ কিছু বিষয় রয়েছে, লস অ্যান্ড ড্যামেজে কোন বিষয়কে আমরা এম্পেসাইজ করব, মূলত এ নিয়ে অবস্থানপত্র তৈরি করা হয়েছে।”
তিনি জানান, এতে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার করে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত উন্নত দেশগুলো এ পরিমাণ অর্থ ছাড় দেয়নি।
তিনি বলেন, “আমরা এটা এম্পেসাইজ করব, তারা যেন এ সম্মেলনেই ১০০ বিলিয়ন ডলার করে প্রতিবছর দেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়। সেটা একটা মেজর সিদ্ধান্ত। আশা করছি এবার একটা সিদ্ধান্ত হবে।”
অভিযোজন-প্রশমনে সমান অর্থ বরাদ্দ দাবি
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, বাংলাদেশের একটা জোরালো অবস্থান থাকবে তা হল- অভিযোজনে যেন অর্থ বেশি যায়। কারণ, এখন পর্যন্ত বেশি টাকা প্রশমনের জন্য খরচ হচ্ছে।
মির্জা শওকত বলেন, “আমরা চাচ্ছি, ৫০% অ্যাডাপটেশনের জন্য, ৫০% মিটিগেশনের জন্য যেন বরাদ্দ হয়, এটা নিশ্চিত করতে। এমন বিষয়গুলো বেশ জোরের সঙ্গে তুলে ধরব। ইতোমধ্যে ২৫-২৬ অক্টোবর এলডিসি মিটিংয়ের মধ্যে আলোচনা করেছি। কারণ, এলডিসির অবস্থান তো ঠিক করতে হবে। এলডিসির মাধ্যমে আমরা কথা বলব।”
মির্জা শওকত বলেন, “বাইলেটারেল মেকানিজমের মাধ্যমে হতে পারে, গ্রিন টেকনলজির মাধ্যমে হতে পারে, গ্রিন ফান্ডের মাধ্যমে বেশ কিছু টাকা আসবে। এলডিসি ফান্ডের মাধ্যমে বেশ কিছু আসবে, এডাপটেশন ফান্ডের মাধ্যমে আসবে।
“এ টাকাগুলো কোথায় খরচ হচ্ছে, এটা সত্যিই ক্লাইমেট চেঞ্জে খরচ হচ্ছে কি না, সেটা এনশিউর করার জন্য আমরা চাচ্ছি এগুলো যেন একটা রেজিস্ট্রির মাধ্যমে খরচ হোক। মনিটরিং আর মেকানিজমের মাধ্যমে খরচ হয়, যেন বুঝতে পারি সত্যি সত্যি টাকাগুলো ডেভেলপিং কান্ট্রিতে যাচ্ছে, নাকি কোথায় যাচ্ছে।”
লোকসান ও ক্ষতির স্থায়ী কাঠামো
লোকসান ও ক্ষতির বিষয়টি একটু ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। এটা ‘জিরো’ ভিত্তির উপর দাঁড়াতে পারছে না। লোকসান ও ক্ষতির জন্যও অর্থ বরাদ্দ নেই। অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।
মির্জা শওকত বলেন, “জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা করা, কাজগুলো চিহ্নিত করা হবে, বাস্তবায়নের জন্য টাকা পয়সা বরাদ্দ পাওয়া যাবে। কিন্তু লস অ্যান্ড ড্যামেজের জন্য কোনো টাকা নেই।
‘৫ বছর পরপর এনডিসি আপডেট জরুরি’
জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশ ডেলিগেশনের আরেকটি দল রওনা দিচ্ছে।
এ দলের সদস্য অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, উষ্ণায়ন বিষয়টি বৈশ্বিক। এর সমাধান বাংলাদেশের একার নয়। সমাধান মানেই সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
“আমরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছি বলেই আমাদের জন্য বেশি গুরুত্ব বহন করে। এবারের সম্মেলনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সিভিএফের প্রেসিডেন্ট। ৪৮টি দেশের এ ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে’ তিনি ফোরামের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে স্টেটমেন্ট দেবেন। ফোরামের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা থাকবে।”
অতীতের মতো জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতার জন্য কাজ করেছেন। তাদের অনেকগুলো বৈঠক হয়েছে।
এ কর্মকর্তা জানান, এবারের সম্মেলনের গুরুত্ব এজন্য যে, প্যারিস চুক্তির পরে একটা বিষয়টি ছিল ‘পেন্ডিং’। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল-আর্টিকেল ৬; কার্বন ট্রেডিং মেকানিজম।
“আশা করা হচ্ছে, এবার নিষ্পত্তি হবে। এটি নিষ্পত্তি হলে আমরা প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হব। এতদিন কিন্তু এ চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে যাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, রুল বুক চূড়ান্ত হয়নি। এখন এটা আমাদের জন্য, পৃথিবীর জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।”
তার মতে, সবশেষ আইপিসিসি রিপোর্টে বলা হয়েছে বিশ্ব যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, তার চেয়ে আরও বেশি কার্বন নির্গমন কমাতে হবে। কারণ, তা না হলে আরেকটা জটিল পরিস্থিতিতে পড়বে বিশ্ব।
সঞ্জয় ভৌমিক বলেন, “বিশ্বনেতাদের এ প্রতিবেদন সতর্ক করে দিয়েছে। উন্নত দেশগুলো সবচেয়ে বেশি নির্গমন করে; বাংলাদেশে তো ভেরি ইনসিগনিফিক্যান্ট, বাংলাদেশে সবকিছু করেও ফেললেও বিশ্বের কিছু হবে না।”
সম্মেলনে নিজেদের অবস্থানের বিষয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, “এলডিসিসহ আমাদের একটা বক্তব্য থাকবে- পাঁচ বছর পর পর ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) আপডেট করতে হবে। অনেক দেশ চায় ১০ বছর পর পর আপডেট হোক।
‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’, ‘এডাপটেশন অ্যান্ড মিটিগেশন’ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অবস্থান তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
‘দ্রুত অর্থায়নে জোর’
অর্থনীতিবদি ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, “সম্মেলনে আমাদের কথাগুলো বলব, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল জানবে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরব, উদ্বাস্তু হচ্ছে, নদী ভাঙছে, উপকূলে লবণাক্ততা, ঝড় বাড়ছে, উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব বেশি বেশি হচ্ছে; তাদের কাছে অর্থায়ন চাইব।”
তিনি জানান, উন্নত দেশগুলোর ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা বললেও অর্থ দিচ্ছে না।
“যদিও বাংলাদেশ নিজেরাই অনেক টাকা ব্যয় করছে। গ্রুপ হিসেবে চাইব।…দেশ সরাসরি পায় না, পায় আন্তর্জাতিক গোষ্ঠিভিত্তিক। সেখানে দক্ষতা থাকলে ভালো করবে, প্রজেক্ট করতে পারলে পাবে; এ প্রক্রিয়া অনেক লম্বা, দীর্ঘ। আমরা চাইব যত দ্রুত দেওয়া যায়। ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে আমাদের অবস্থানটা পরিষ্কার করতে যদি পারা যায়। ওরা তো টাকা দেবে ওখানে, সেখান থেকে টাকা আনা কঠিন কাজ।”
সম্মেলন নিয়ে অনেক প্রত্যাশা ও চাপ থাকলেও শেষ পর্যন্ত সবকিছু মিলিয়ে খুব একটা আশাপ্রদ কিছু হবে কিনা তা নিয়ে বরাবরের মতো সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।