৯ মাসে ৫ হাজার একর বনভূমি উদ্ধার: বন অধিদপ্তর

বেদখলে থাকা বন বিভাগের ৫ হাজার ৬৩৯ দশমিক ১৩ একর ভূমি গত নয় মাসে উদ্ধার করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2021, 02:43 PM
Updated : 23 August 2021, 02:43 PM

সোমবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আগামী দুই বছরে ১০ হাজার করে আরও ২০ হাজার একর ভূমি উদ্ধারের পরিকল্পনা জানানো হয়েছে। কমিটি উদ্ধার কার্যক্রমে সন্তুষ্ট প্রকাশ করলেও দুই বছরের উদ্ধার পরিকল্পনা ২০ হাজারের স্থলে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করার পরামর্শ দিয়েছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংসদীয় কমিটির তৎপরতায় বনবিভাগ বেদখলে থাকা জমি উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। গত বছর অক্টোবর থেকে এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত তারা এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার একরের মত ভূমি উদ্ধার করেছে।

“পাশাপাশি তারা উদ্ধার করা ভূমি বনায়ন করেছে। এজন্য আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি। তবে, তারা আগামী দুই বছরে ২০ হাজার একর উদ্ধাদের একটি কর্মপরিকল্পনা আমাদের দিয়েছে। আমরা সেটাকে অন্তত: ৫০ হাজার একর করতে বলেছি। এজন্য কোন কোন ধরনের লজিষ্টিক সাপোর্ট দরকার হবে তা জানাতে বলেছি।”

কমিটি বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, বন বিভাগের মোট বেদখল জমি দুই লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ দশমিক ৮৪ একর। এর মধ্যে স্থায়ী স্থাপনাসহ প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠান/কলকারখানা এক হাজার ৭২১ দশমিক ৮৯ একর, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান (হাটবাজার, দোকান-পাট, রিসোর্ট/কটেজ, কৃষি ফার্ম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) ১৩ হাজার ৪৩৫ দশমিক ১৯ একর, ঘরবাড়ি, বসতভিটা এক লাখ ৮ হাজার ৪৫৭ দশমিক ৮৯ একর এবং স্থায়ী স্থাপনাবিহীন (কৃষি জমি, চারণ ভূমি, বাগান, লবণ চাষ, পতিত ভূমি ইত্যাদি) এক লাখ ৩৩ হাজার ৫৪৩ দশমিক ৮৭ একর।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটিতে জানানো হয়, বর্তমানে বন বিভাগের জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ মামলা ১৩টি, নিম্ন আদালতে দেওয়ানি মামলা ৮৫২টি, উচ্চ আদালতে রিট ১১২টি, উচ্চ আদালতে আপিল/মিস মামলা ৮৭টি চলমান রয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনে পাঠানো উচ্ছেদ প্রস্তাব ৭ হাজার ৯টি, পিওআর মামলা সাত হাজার ৫৩২টি, অন্যান্য ব্যবস্থায় ছয় হাজার ১৩০টি মামলা রয়েছে।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে কমিটির সদস্য পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাফর আলম, মো. রেজাউল করিম বাবলু, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এবং মো. শাহীন চাকলাদার অংশ নেন।