বন আর চলার পথ ফিরে পাবে হাতি?

বন্য হাতির আক্রমণে রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে এক বৌদ্ধ ভিক্ষু প্রাণ হারান গত ১৮ জুলাই সকালে। বান্দরবানের আলীকদমে ২৩ জানুয়ারি হাতির পায়ে নিহত হন দুই যুবক।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2021, 06:30 PM
Updated : 11 August 2021, 06:31 PM

আবার গতবছর ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে মেলে মৃত একটি বুনো হাতি; যার গায়ে ছিল গুলির দাগ, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার জখম।

মানুষের আগ্রাসনে আবাস হারানো হাতি তার চলার পথে যেমন জনবসতিতে এসে আক্রমণ করছে, তেমনি মস্ত এ প্রাণী কখনও মানুষের লোভের, কখনও ভয়ের শিকার হচ্ছে। কক্সবাজারের পাহাড়ে রোহিঙ্গাদের বসতি গড়ে ওঠার কারণেও বাধাগ্রস্ত হয়েছে হাতির বিচরণ।

গতবছর ৬ সেপ্টেম্বর শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাহাড়ের ঢাল থেকে বয়স্ক এক হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মিয়ানমার থেকে নাফ নদী সাঁতরে গত ২৬ জুন কক্সবাজারের টেকনাফে চলে আসে দুটি বন্য হাতি।

আবাসস্থল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভাব এবং চলাচলের ‘কোরিডোর’ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কঠিন সময়ের মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশের হাতি। এমন প্রেক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাতি দিবস। এ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য: ‘হাতি করলে সংরক্ষণ, রক্ষা পাবে সবুজ বন’।

সরকারি হিসাবে, দেশে এখন ২৫০ থেকে ৩০০ হাতি টিকে আছে, যাদের রক্ষায় বিদ্যমান পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোর দিতে বলছেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, হাতির চলার পথ দখলমুক্ত করতে হবে, সেই সঙ্গে রক্ষা করতে হবে বনের স্বাস্থ্য। না হলে কেবল হাতি নয়, অনেক বন্যপ্রাণীর অস্তিত্বই আর টেকানো যাবে না। 

হাতি বৃত্তান্ত

বাংলাদেশে পাওয়া যায় মূলত এশীয় হাতি, বৈজ্ঞানিক নাম: Elephas maximus

এশিয়ার স্থলচর প্রাণীদের মধ্যে এশীয় হাতিই সবচেয়ে বড়। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

ঘাস, কলাগাছ, বাঁশ, গাছের পাতা ও ছাল, ফুল ও ফল এদের প্রধান খাদ্য।

সাধারণত ৫ থেকে ২০টি দল বেঁধে বসবাস ও চলাচল করে। দলে থাকে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ হাতি, কয়েকটি স্ত্রী হাতি ও কিছু শাবক।

পুরুষ হাতিরা ১৫ বছর বয়সে এবং স্ত্রী হাতিরা আরও আগে প্রজননক্ষম হয়। হাতির গর্ভধারণকাল ২০-২২ মাস। মাত্র একটি বাচ্চা প্রসব করে।

হস্তিশাবকের দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ০.৯ মিটার, ওজন হয় প্রায় ৯০ কেজি। এরা দ্রুত বাড়ে।

হাতির আয়ুষ্কাল হয় ৬০-৭০ বছর। চার থেকে পাঁচ বছর পর পর স্ত্রী হাতি বাচ্চা প্রসব করে। পুরো জীবদ্দশায়  ১০ থেকে ১২টি শাবকের জন্ম দেয় একটি হাতি।

ফাইল ছবি

হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেশে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার চুনতি, টেকনাফ, ফাসিয়াখালি ও পাবলাখালী অভয়ারণ্য; কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান; বাঁকখালি, রেজু, ফুলছড়ি, ঈদগড় ও মরিসা এলাকার বনাঞ্চলে এখনও হাতির বিচরণ রয়েছে।

অস্থায়ীভাবে কিছু কিছু হাতি মিয়ানমার, ভারতের মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয় রাজ্য থেকে বাংলাদেশের জামালপুরের ঝিনাইগাতি, ময়মনসিংহের হালুয়া ঘাট, দুর্গাপুর, সিলেটের বড়লেখা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু কিছু এলাকায় নেমে আসে। কিছুদিন থেকে আবারও তারা চলে যায়।

আমীর হোসাইন বলেন, “সর্বশেষ জরিপে ২৫০-৩০০টি হাতি রয়েছে বলে ধারণা পাওয়া গিয়েছিল। তারপর বেশ কিছু হাতি মারা গেছে; পরে কাপ্তাই, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে কিছু এলাকায় হাতির পালের সঙ্গে ছোট বাচ্চাও দেখা গেছে। এখন কম-বেশি আড়াইশ হাতি রয়েছে দেশে।”

কিন্তু আবাস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাতি সঙ্কটে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কক্সবাজার-উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদের কারণে হাতির আবাস্থল এবং করিডোর নষ্ট হয়েছে, বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

“হাতি মারা যাচ্ছে বিভিন্ন কারণে। এর পেছনে যেমন অপরাধ প্রবণতা রয়েছে, তেমনি হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বও একটি কারণ। তবে হাতির দাঁত পাচারের জন্য হাতি মেরে ফেলার প্রবণতা এখন কমেছে।”

হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব কীভাবে কমানো যায়, এ প্রাণীর জন্য নিরাপদ আবাস কীভাবে বাড়ানো যায়, হাতির চলাচলের জন্য কীভাবে জায়গা ছেড়ে দেওয়া সম্ভব- এ তিনটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে বন বিভাগ হাতি রক্ষায় কাজ করছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান

কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, শেরপুর ও জামালপুর এলাকায় হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে বড় আকারে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন নেচার কনজারভেশন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক উপ-প্রধান বন সংরক্ষক তপন কুমার দে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আসার পর তাদের জন্য ক্যাম্প স্থাপনে কক্সবাজর জেলার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় ৬ হাজার একর বনভূমি, হাতির আবাসস্থল ও চলাচল পথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে হাতি চলাচলের করিডোর হিসেবে পরিচিত টেকনাফ-উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সাবেক এ বন কর্মকর্তা জানান, শেরপুর ও জামালপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০-৩০টি হাতি প্রায় সারা বছর বনাঞ্চলে বিচরণ করছে। সেখানেও মানুষ-হাতির দ্বন্দ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফল হচ্ছে জীবনহানি।

হাতি সংরক্ষণের জন্য চুনতি, পাবলাখালি, টেকনাফ, সাংগু, দুধপুকুরিয়া, ধোপাছড়ি ও ফাসিয়াখালী- এই সাত এলাকাকে অভয়ারণ্য এবং কাপ্তাইয়ের একটি এলাকাকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করেছে সরকার।

কিন্তু হাতি সমৃদ্ধ অভয়ারণ্যগুলোর ভেতর এবং চারপাশে বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কিছু জনবসতি গড়ে উঠেছে। বনের ভেতরে কৃষিকাজও হচ্ছে।

হাতি ফসলি জমিতে চলে এলে কখনও উন্মুক্ত বৈদ্যুতিক তারে পেঁচিয়ে, কখনও মানুষের হাতে তাদের মৃত্যু হচ্ছে। সেই সঙ্গে হাতির চলাচলের পথ সঙ্কুচিত হওয়ায় মানুষের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়ছে বলে মনে করেন তপন কুমার দে।

তিনি জানান, ২০২০ সালের ১২ মাসে দেশে ২১টি হাতি এবং ৩৩ জন মানুষের প্রাণ গেছে এই দ্বন্দ্বে।

সেইভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আনম মোয়াজ্জেম হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক সময় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে হাতিদের অন্যতম অভয়ারণ্য ছিল মধুরছড়া, বালুখালী, পালংখালী, শফিউল্লাহকাটা, জামতলা, বাঘঘোনা, কারাংখালী, উনসিপ্রাং। এখন তাদের সেই চলার পথে রোহিঙ্গা বসতি।  

ওই অঞ্চলের ৬৮টি হাতি এখন দুই ভাগ হয়ে গেছে। প্রায় ৪০টি আছে দক্ষিণ টেকনাফ অঞ্চলে, বাকিগুলো হিমছড়ি বনাঞ্চলের আশপাশে। রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছে বন্য হাতি আক্রমণে।

দুই অগ্রাধিকার

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাতি দল বেঁধে চলে; তাদের প্রচুর খাবার লাগে, জায়গা লাগে।

“বুনো হাতিগুলো আমাদের দেশের যে জায়গাগুলোতে রয়েছে, সেখানে তারা প্রতিদিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। হাতির বর্তমান সংখ্যাটা দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে, এটা একটা আশার দিক। কিন্তু তা কতদিন থাকবে, কীভাবে থাকবে তা আমাদের উপরই নির্ভর করবে।”

ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এ বিষয়ে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার রয়েছে, সদিচ্ছাও দেখা যায়। বন বিভাগ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চেষ্টা করছে। কিন্তু সংরক্ষণের কাজটি স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে।

আর সেজন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন মন্তব্য করে বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) আবাসিক প্রতিনিধি রকিবুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফোকাস দরকার। বন রক্ষা করা, করিডোর দখলমুক্ত ও রক্ষা করা এসব তো আছেই। হাতি যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, সেজন্য বনের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হবে। এটা একা বনবিভাগ করতে পারবে না, সবার সম্পৃক্ততা লাগবে।”

তিনি বলেন, হাতি চলাচলের জন্য আগে দেশে ১২টি করিডোর ছিল। রোহিঙ্গাদের কারণে একটি বন্ধ হয়ে গেছে।

“বাকি ১১টা করিডোরে তো রোহিঙ্গা নেই, আমরাই তো আছি। এগুলো উন্মুক্ত রাখা, সংরক্ষণ করা, দখল যেন না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রায়োরিটি ভিত্তিতে দুটো কাজ করতে হবে- ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট এবং হাতিগুলোর করিডোর ঠিক রাখা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের এলাকায় হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিসরন এবং সংরক্ষণে কাজ করছে আইইউসিএন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।

রকিবুল আমিন জানান, ইতোমধ্যে প্রায় ছয়শ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০ জন রাঙালিও রয়েছেন। সাড়ে তিন বছরে ২৮৪ বার হাতি লোকালয়ের কাছাকাছি এসেছে বা ঘোরাফেরা এসেছে। দুয়েকটা ঘরবাড়ি ভাঙা ছাড়া বড় কোনো ক্ষতি করেনি।

“হাতিও প্রোটেক্ট করা গেছে, মানুষও রক্ষা পেয়েছে। হাতি বিপদে পড়লে মানুষের ক্ষতি হত। আমাদের ট্রেনিং আর সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়ার পর একজনও মারা পড়েনি ক্যাম্পে। তবে বনের ভেতরে মারা গেছে তিনজন। এখন স্বেচ্ছাসেবীরা রাতে পাহারা দেয়, হাতি এলে তাদের সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সম্ভাব্য সংঘাত যাতে এড়ানো যায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”

করিডোর ফেরাতে নতুন প্রকল্প

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জায়গা ছেড়ে দিয়ে রোহিঙ্গাদের এখন একটি জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু ২০১৭ সালে তারা যখন আবাস গড়ে, তখন প্রচুর গাছ কাটা হয়েছে, ক্ষতি যা হওয়ার তখনই হয়ে গেছে। এখন নতুন করে গাছ লাগানো হলেও বন আর ফেরেনি।

“রোহিঙ্গা বসতির কারণে বন্যপ্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাতি। সেখানে হাতির দুটো করিডোর ছিল; এখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন করে জায়গাটি ফেরত পেলে উন্নয়ন করে করিডোর ফেরানো সম্ভব।“

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-বান্দরবান-রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি এলাকায় হাতির চলার পথ নিয়ে একটি সমীক্ষা চলছে জানিয়ে প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, তিনটি বিষয় সামনে রেখে বন অধিদপ্তর একটি নতুন প্রকল্প নেওয়ার কথাও ভাবছে।

“হাতি তো সবসময় নির্দিষ্ট এলাকায় থাকে না। কক্সবাজারের হাতি কোন জায়গায় আসা-যাওয়া করে, রাঙ্গামাটির হাতির কতটুকু আসে, কোন এলাকার হাতি কতদূর যায়- ওই করিডোরটা আইডেন্টিফাই করতে হবে। তাদের যে এলাকায় মুভমেমন্ট, সেটা বিবেচনা করে আবাস্থলের জন্য যে ধরনের গাছপালা দরকার, খাবারের জন্য যা দরকার, ওই করিডোর এলাকায় সেরকম প্ল্যান্টেশন করতে হবে। আর বিভিন্ন এলাকায় এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) গঠন করা হবে।”

আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো সম্ভব হবে আশা প্রকাশ করে আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, “চলমান সমীক্ষা প্রকল্পটি শেষ হলে দ্বন্দ্ব নিরসন, হাতির আবাসস্থল উন্নয়ন ও  করিডোর সংরক্ষণে নতুন প্রকল্প নেব। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে সংকট উত্তরণ ঘটবে।”

আরও পড়ুন