বাঘ: চোরাশিকার ও পাচার কতটুকু কমেছে?

চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি সুন্দরবন থেকে শিকার করা একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চামড়াসহ গাউস ফকির নামে এক চামড়া পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ও বনবিভাগ। তিন মাস না যেতেই ১১ মার্চ ঢাকায় শাহজালাল বিমান বন্দরে দুই বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চারটি বাঘের হাড়।

মঈনুল হক চৌধুরীশুভ্র শচীন ওবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2021, 06:26 PM
Updated : 28 July 2021, 06:41 PM

কয়েকদিনের মধ্যে আবারও খবর হয় সুন্দরবনের বাঘ, যা নিয়ে সেই আদিকাল থেকে আগ্রহ মানুষের।

মার্চেই সুন্দরবনের ভোলা নদের ধুনচেবাড়িয়ার চর থেকে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃতদেহ উদ্ধার করে বনবিভাগ মার্চ মাসে । ১৫ বছর বয়সী এ বাঘ বার্ধক্যে মারা গেছে।

মে মাসের মাঝামাঝিতে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে বাঘের আক্রমণে এক মৌয়ালের মৃত্যু হয়। বনের দক্ষিণ তালপট্টি এলাকায় মধু সংগ্রহ করার সময় বাঘের আক্রমণের নিহত হন রেজাউল ইসলামে নামের এই তরুণ মোয়াল।

আর ৭ জুন বাংলাদেশ ও ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবর নিয়ে বেশ আলোচনা তৈরি হয়। খবরটি হল- প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সুন্দরবনের একটি বাঘ বাংলাদেশ অংশে পৌঁছে, যেটির ডোরার সঙ্গে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মিল রয়েছে।

চোরা শিকারি, পাচারকারী, বাঘ-মানুষের দ্বন্দ্ব, বাঘের জীবনযাপন নিয়ে গেল ছয় মাসের কয়েকটি ঘটনা এমনই। এসব খবর এবং সুন্দরবন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চোরাশিকারি ও পাচারকারীদের অপতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা, বন বিভাগের প্রশাসনিক পদক্ষেপ এবং সচেতনতা বাড়ানোর কার্যক্রমের পরও বাঘ শিকারের অপচেষ্টা থেমে নেই।

২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসকে ধরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নে সাবেক উপপ্রধান বন সংরক্ষক ড. তপন কুমার দে বলেন, “সাম্প্রতিককালে বন বিভাগ ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত কর্মতৎপরতা বাড়ার ফলে বাঘ-মানুষ দ্বন্দ্বে জীবনহানির ঘটনা কমেছে।

“বিশেষ করে ২০১২ সালের পর থেকে ২০১৪ ও ২০১৫ সাল বাদ দিলে এখন পর্যন্ত লোকালয়ে চলে আসা কোনো বাঘ মারা যায়নি এবং বাঘের আক্রমণে মানুষ মারা যাওয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।”

তবে চোরাশিকারির উৎপাত বাড়ায় র‌্যাব ও পুলিশের হাতে বাঘের চামড়া ধরা পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্যের কাছে একটি খাল পার হচ্ছে একটি বাঘ। ছবিটি ২০১৬ সালের ৯ জুলাই দুপুরে তোলা। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন

যেভাবে সক্রিয় চক্র

দীর্ঘ দুই যুগেরও অধিক সময় সুন্দরবনে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন খুলনার দাকোপ উপজেলার ঢাংমারীর সীতেশ বাওয়ালী।

তিনি বলেন, ‘গডফাদার মহাজন’ এর কাছ থেকে অগ্রিম ‘দাদন’ নিয়ে ছদ্মবেশে বনে ঢোকে একশ্রেণির শিকারি। এরা সুযোগ বুঝে খাদ্যে বিষ অথবা ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অথবা ফাঁদ কিংবা গুলি করে বাঘ হত্যা করে।

তারপর স্থানীয় পদ্ধতিতে চামড়া, মাংসসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করে গোপনে ঢাকা-চট্টগ্রামের চোরাচালানিদের ডেরায় পৌঁছে দেয়।

সীতেশ জানান, সুন্দরবনের চারটি রেঞ্জসংলগ্ন গ্রামগুলোতে দেড়শ এর অধিক সংঘবদ্ধ শিকারি দল রয়েছে।

এদের অবস্থান বরগুনা জেলার পাথরঘাটার চরদুয়ানী, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, রামপাল, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের খুলনা জেলার পাইকগাছা, দাকোপ, কয়রা এবং সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলায়।

সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে অনেক চোরাশিকারিদের মুখোমুখিও হয়েছেন সীতেশ। ওইসব শিকারিরা তাকে জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে একটি বাঘের চামড়ার জন্য তারা ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা পেলেও বিদেশে একটি বাঘের চামড়ার মূল্য এর কয়েকগুণ বেশি।

সুন্দরবনের চাঁদপাই এলাকায় রয়েলবেঙ্গল টাইগার হত্যার শিকার হয় সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ছবি: মুস্তাফিজ মামুন

অপরাধ দমনে সক্রিয় ইউনিট

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট হয় ২০১২ সালে। ২০১৬ সাল থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করে বন অধিদপ্তরের এ ইউনিট।

বাঘ শিকার ও পাচার সংক্রান্ত অপরাধ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এই ইউনিটের পরিচালক এএসএম জহিরউদ্দিন আকন বলেন, “বাঘের পাচারের বিষয়টি আমরা সিরিয়াসলি দেখছি। আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গেও কাজ করছি।

“গত দুই বছরে বাঘ পাচার সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ, তথ্য পাইনি। তার মানে বাঘ সংক্রান্ত অপরাধ বাংলাদেশ পারসপেকটিভে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলা যেতে পারে।”

তবে অপরাধীরা তাদের ধরন পাল্টেছেন বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, “ মহামারীর মধ্যে বন্যপ্রাণী অপরাধ বেড়েছে। কর্মহীন হয়েছে অনেকে; এ সময় অপরাধীরা সহজে  লাভ করতে এসব কাজ করবে। অপরাধ যে করে তারা সুযোগ নেবে;  তারা ডাইমেনশন চেঞ্জ করে।“

নিজেদের ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফরেনসিক ল্যাব’ তৎপরতার কথা তুলে ধরে জহিরউদ্দিন জানান, বিভিন্ন সময়ে হাড় উদ্ধার হচ্ছে বা কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধার হচ্ছে। এসব বাঘের কিনা তাও সঠিকভাবে যাচাই করতে হয়।

“এখানে বেশি কিছু রিপোর্ট রয়েছে, আদালত, কাস্টমস, বিভাগ বা সংস্থা থেকে এসেছে। সবশেষ বিমানবন্দরে উদ্ধার হাড়গুলো জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমাদের কাছে এসেছে স্পেফিসিফিক আইডেন্টিফিকেশন করার জন্য। এটা নিয়ে কাজ চলছে।

“প্রত্যেক প্রাণীর আলাদা বৈশিষ্ট্য। এটা ডিএনএ সিকোয়েন্সিং করে দেখব প্রাণীটা বাঘ কিনা। ... একটা সেম্পল এসেছিল মৃগনাভি। কাস্টমস থেকে। আমরা দেখেছি- এটা ভুয়া, ফেইক। মৃগনাভি না। চক্রটাও ধরা পড়ে।“

বন্যপ্রাণী অপরাধ সংক্রান্ত ‘যে কোনো তথ্য পেলেই অভিযান অব্যাহত’ রাখা হচ্ছে বলে জানান  বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের এই পরিচালক।

জ্যৈষ্ঠের গরম থেকে স্বস্তি পেতে পানিতে নেমেছে ঢাকা চিড়িয়াখানার বাঘ। ছবিটি বৃহস্পতিবার তোলা। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন

পাচারের রুট

বন বিভাগের একাধিক গবেষণায়ও বন্যপ্রাণী পাচারচক্রের প্রধান টার্গেট সুন্দরবনের বাঘ আর বিদেশে পাচারের প্রধান গন্তব্য হিসেবে মিয়ানমার, ভারত ও চীনের কথা বলা হয়েছে।

মূলত স্থল, নৌ ও আকাশপথে এসব বন্যপ্রাণী পাচার হয়। জীবিত ও মৃতপ্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচারের সময় বনবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করেছে।

পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশ সরকারের কাছে সুন্দরবনের বাঘ হত্যা এবং ক্ষুদ্র অস্ত্রের সরবরাহ নিয়ে দুটি প্রতিবেদন জমা দেয়।

‘বাংলাদেশ সুন্দরবনে বাঘের বাণিজ্য’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ৭৬ শতাংশ কমেছে। পেশাদার বন্যপ্রাণী শিকারি একটি চক্র বাঘ হত্যা করে তা ভারতে পাচার করছে।

ভারত থেকে বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

শিকারিরা বাঘ হত্যা করে ছোট্ট নৌকা ও স্পিডবোটে ভারতীয় সীমান্তে পৌঁছে দেয়। সেখানে ভারতীয় চোরাচালান চক্র তা কিনে নেয়।

অন্যদিকে সুন্দরবন থেকে বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গাড়ি ও মোটরসাইকেলে করে ঢাকায় এনে সংরক্ষণ করার ঘটনাও ইন্টারপোলের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

সুন্দরবনের বাঘ হত্যা করে তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির মূলত তিনটি বাজার ভারত, মিয়ানমার ও মালয়েশিয়া। এসব বাজার থেকে বাঘের চামড়া ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চীন ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও পাচার হয়।

দেশের ভেতরেও বাঘের হাড়, দাঁত, নখ ও মাংসের একটি অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে চীন, মালয়েশিয়া, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ায় কাঁকড়া ও মাছের চালানের সঙ্গে লুকিয়ে বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাঠানো হয় বলে ইন্টারপোলের প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে।

বাঘ সংরক্ষণে হুমকি

জিওলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ড. তপন কুমার দে জানান, বাঘের চামড়া, হাড় ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হতে তৈরি পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইন প্রণয়ন করলেও চোরাপথে বাঘের চামড়া পাচার ও কালো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাঘ ও শিকার প্রাণী (হরিণ, বুনো মহিষ, সাম্বার, শূকর ইত্যাদি) গোপনে নিধন ও পাচার হচ্ছে।

বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এখনও সনাতনী ওষুধ, স্যাম্পু ও টনিকের জন্য বিশাল বাজার আছে চীনে। এ বাজার চাহিদা না কমাতে পারলে বাঘ সংরক্ষণ আরও সঙ্কটে নিমজ্জিত হবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্কটে পড়ার ঘটনা দীর্ঘদিনের। এর মধ্যে যেসব কারণ চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-

>> বাঘ শিকার ও দেহাবশেষ (চামড়া, হাড় ইত্যাদি) পাচার;

>> বাঘসমৃদ্ধ বনাঞ্চল ধ্বংস করে রাস্তাঘাট নির্মাণ, খনিজদ্রব্য আহরণ, জবরদখল, জনবসতি ও হাট-বাজার স্থাপন;

>> বাঘের আবাসস্থলে ও আশেপাশে শিল্পকারখানা স্থাপন করে পরিবেশ দূষণ;

>> বাঘ শিকার ও নিধনের জন্য ফাঁদ, বিষ টোপ ইত্যাদি ব্যবহার;

>> বাঘের খাদ্য শিকার প্রাণী নিধন ও মাংস বাজারজাতকরণ;

>> বাঘ-মানুষ দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি;

>> বাঘসমৃদ্ধ বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে যানবাহন ও নৌচলাচল বৃদ্ধি।

>> সুন্দরবনের সর্বত্র যথেচ্ছভাবে মাছ ধরার জন্য পাস ইস্যু ও হাজার হাজার মানুষের অনুপ্রবেশ; এবং

>> বনাঞ্চলে বন বিভাগের জনবল ও জলযানের অভাবে নিয়মিত টহল ব্যাহত হচ্ছে।

ছয় ফিট চার ইঞ্চি দৈর্ঘ্য রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃত শাবকটিকে উদ্ধার করে মোংলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে আনা হয়। ছবি: মেহেদী হাসান

যা বলছেন প্রধান বন সংরক্ষক ও উপমন্ত্রী

সুন্দরবনের বাঘের বাণিজ্য বিষয়ে বন অধিদপ্তরের প্রধান বনসংরক্ষক আমীর হোসাইন চোধুরী বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী বিলুপ্ত প্রজাতির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বন্যপ্রাণীর ধারক ও বাহক হওয়ার পরও এখানে বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য ভৌগোলিকভাবে বিস্তৃত।“

সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালের বাঘশুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬। ২০১৮ সালের শুমারি অনুযায়ী যা এখন ১১৪।

বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার রোধে শিকারী ও বনদস্যুদের গ্রেফতারের জন্য বনবিভাগ, র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করছে। সুন্দরবনে ঢোকা এবং বের হওয়ার নদী-খালগুলোর মুখে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, “দুই হাজারের ওপর খাল রয়েছে আমাদের সুন্দরবনে। এসব খাল পাহারা দেওয়ার লোকবল অপ্রতুল। তারপরও এই অপ্রতুল লোকবল দিয়ে আমরা যতটুকু সম্ভব আইন প্রয়োগ করার চেষ্টা করছি।

পদক্ষেপ যত

নিয়মিতভাবে মাঠ পর্যায়ে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী পাচার, বিক্রি ও প্রদর্শন রোধের কার্যক্রমের পাশাপাশি একটি প্রকল্পের আওতায় কাজ চলছে।

কর্মকর্তারা জানান, এ পর্যন্ত অনেক বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় অসুস্থ বাঘকে সেবাদানের জন্য খুলনায় একটি  ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ স্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাঘ সংরক্ষণ, বাঘ ও শিকারি প্রাণী পাচার বন্ধ, দক্ষতা বৃদ্ধি, মনিটরিংয়ে সমঝোতা স্মারক রয়েছে।

বন্যপ্রাণী দ্বারা নিহত বা আহত মানুষের ক্ষতিপূরণ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি আইন করে বাঘ শিকার নিষিদ্ধ করে জেল জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ আইনের ৩৬ ধারায় “বাঘশিকারি বা হত্যাকারী জামিন অযোগ্য হবেন এবং সর্বোচ্চ ৭ বছর সর্বনিম্ন ২ বছর কারাদণ্ড এবং জরিমানা ১ (এক) লক্ষ থেকে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন”।

একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে “সর্বোচ্চ ১২ (বার) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের” বিধান রয়েছে।

আরও পড়ুন-