লকডাউনের স্বস্তি মুছে ঢাকার বাতাসে বাড়ছে বিষ

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের ‘কঠোর’ লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার বায়ুমানে যে স্বস্তি ফিরে এসেছিল, তা মুছে দিয়ে আবার বাড়ছে দূষণ।

কাজী নাফিয়া রহমান নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2021, 06:01 PM
Updated : 25 April 2021, 06:01 PM

গত চার দিনে ঢাকার বাতাস আবার ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আর এই পরিস্থিতিতে দূষণের উৎসগুলো বন্ধের পুরনো দাওয়াই সরকারকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে অফিস ও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জনব্যস্ততা কমে এসেছিল রাজধানীতে। তবে সপ্তাহ ঘুরতেই ঢিলেঢালা হয়ে এসেছে বিধিনিষেধ; গাড়ির চাকা ঘোরার পাশাপাশি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসছে ঢাকার চেনা চেহারা।

রোববার থেকে খুলেছে বিপনি বিতানগুলো। কর্মব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রীষ্মের এই তপ্ত দিনে ঢাকার বাতাসেও বিপদ বাড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বায়ুমান পযবেক্ষণ ওয়েবসাইট এয়ারনাও এর তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা ঢাকার বায়ুমান সূচক ছিল বিপদজনক (হ্যাজার্ডাস) সীমায়। আবার রোববার ভোরেও দুই ঘণ্টা একই পরিস্থিতি ছিল। 

বাতাসের মান নির্ভর করে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণের (পিএম ২.৫) ওপর, যা পরিমাপ করা হয় প্রতি ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রাম (পার্টস পার মিলিয়ন-পিপিএম) এককে।

পিএম ২.৫, পিএম ১০ ছাড়াও সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ও গ্রাউন্ড লেভেল ওজোনে সৃষ্ট বায়ুদূষণ বিবেচনা করে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই তৈরি হয়। একিউআই নম্বর যত বাড়তে থাকে, বায়ুমান তত ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হয়।

একিউআই শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে সেই এলাকার বাতাসকে ভালো বলা যায়। ৫১ থেকে ১০০ হলে বাতাসের মান মডারেট বা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ধরা হয়।

একিউআই ১০১ থেকে ১৫০ হলে সেই বাতাস স্পর্শকাতর শ্রেণির মানুষের (শিশু, বৃদ্ধ, শ্বাসকষ্টের রোগী) জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা সবার জন্যই অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয়।

আর একিউআই ২০১ থেকে ৩০০ হলে তা খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ ছাড়িয়ে গেলে সেই বাতাসকে বিপদজনক ধরা হয়।

এয়ারনাও বলছে, শনিবার সকালে ঢাকার একিউআই ৪৬৮ তেও উঠেছিল। আর শনিবার রাত ১১টা থেকে রোববার সকাল ৭টা পর্যন্ত একিউআই ছিল ২০০ এর উপরে, এর মধ্যে দুই ঘণ্টা তা ছিল বিপদজ্জনক সীমার উপরে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ সপ্তম দিন মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নিউ মার্কেটে এলাকায় মিরপুর রোডের চিত্র। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

একিউআই বিপদজনক পর্যায়ে পৌঁছালে পুরো জনগোষ্ঠীর গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়, যা জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে নভেম্বর থেকে বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ এপ্রিলে কমে আসে। তবে এবার এপ্রিলের শুরুতেও ঢাকার ধুলো দূষণ ছিল অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহে ঢাকার গড় একিউআই ছিল ১৬৮।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ৫ এপ্রিল এ বছরের প্রথম দফা লকডাউন শুরু হয়। ঢিলেঢালা সেই লকডাউনের এক সপ্তাহে ঢাকার গড় একিউআই নেমে আসে ১৫৮ তে।

পরে ১৪ এপ্রিল ‘কঠোর’ লকডাউন শুরু হলে গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক পরিবেশ ফিরে আসে নগরীতে।

‘কঠোর’ লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে দেখা যায়, ঢাকার গড় একিউআই ছিল ১০৪। ওই সময়ে দৈনিক সর্বোচ্চ একিউআই ১১৪ উঠেছিল গত ১৫ এপ্রিল।

আর ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পযন্ত টানা তিন দিন একিউআই ছিল একশ এর নিচে, গত ২ নভেম্বরের পর সাড়ে পাঁচ মাসে এবারই প্রথম রাজধানীর একিউআই একশর নিচে নেমে আসে।

তবে এরপর আবার বাড়তে শুরু করে ঢাকার বাতাসের ধুলো। আইকিউএয়ারের হিসাবে ২১ এপ্রিল থেকে বাড়তে থাকা ঢাকার একিউআই শনিবার ১৯৩ এ দাঁড়ায়।

কয়েকদিনের স্বস্তির পর আবার আগের চেহারায় ফিরছে ঢাকার দূষণ। গত তিনদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছে ঢাকার একিউআই। আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের শেষ এক মাসের পরিসংখ্যান।

 

লকডাউনে কতটা কমেছে বায়ুদূষণ?

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরের গড়ের তুলনায় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রায় ৭ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৭ শতাংশ, মার্চে প্রায় ১৮ শতাংশ এবং এপ্রিলে প্রায় ১৩ শতাংশ বায়ুদূষণ বেড়েছে।

চলতি বছরে দূষণের এই মাত্রাবৃদ্ধির মধ্যেই লকডাউন যে বায়ুমানে কিছুটা স্বস্তি এনেছিল, তা ক্যাপসের পর্যবেক্ষণওে ধরা পড়েছে।

সেখানে দেখা যায়, লকডাউনের এই সময়ে বাতাসে ২০১৬ সালের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০ দশমিক ৩ শতাংশ, ২০১৮ সালের তুলনায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০১৯ সালের তুলনায় ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ দূষণ কম ছিল।

তবে গতবছর লকডাউনের মধ্যে একই সময়ের তুলনায় এবারের লকডাউনে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ দূষণ বেশি ছিল বলে তথ্য দিচ্ছে ক্যাপস।

তাদের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি এপ্রিলের অন্যান্য দিনগুলোর তুলনায় লকডাউনের মধ্যে বায়ুদূষণ কমেছে ৪৫ শতাংশ।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) পর্যবেক্ষণ বলছে, ২০২০ সাল ছাড়া গত পাঁচ বছরের মধ্যে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিলে সবচেয়ে কম দূষণ ছিল চলতি বছর। লকডাউনের এই সাতদিনের পর আবার বাড়ছে দূষণ।

 

এই সময়ে রাস্তায় অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকা, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ থাকা, যানবাহন বন্ধ থাকায় রাস্তার ধুলো ওড়া কমে যাওয়া, বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ থাকার কারণে তুলনামূলকভাবে নির্মল বায়ু পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

তিনি বলেন, “লকডাউন কোনো সমাধান না। এটার প্রভাব ক্ষণস্থায়ী। গত বছরও আমরা দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলে বায়ুদূষণ কমেছিল, জুন-জুলাইয়ে আবার বাড়তে শুরু করে। অগাস্টে তা আগের অবস্থায় চলে যায়। গতবছর অক্টোবরে সেটা ২০১৯ সালের তুলনায় ১০ থেকে ১৬ শতাংশ বেড়ে যায়।”

এবারও লকডাউনে শিথিলতা আসার পর বায়ুদূষণ বাড়ছে জানিয়ে অধ্যাপক কামরুজ্জমান বলেন, “লকডাউনে আগের তুলনায় বায়ুদূষণ কমেছে। কিন্তু শনিবার বায়ুমান খুব খারাপ ছিল।”

বিপদ যেখানে

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহর।

আইকিউএয়ারের ২০১৯ ও ২০২০ সালের বায়ুমান প্রতিবেদনে সবচেয়ে দূষিত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সবার উপরে।

প্রতিষ্ঠানটির ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, মহামারীর এই বছরে মাত্র ২৪টি দেশে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম ২.৫) পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাত্রা ছাড়িয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

বছরজুড়ে বাংলাদেশে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম ২.৫) পরিমাণ ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্য মাত্রার ৭ গুণ বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকায় প্রতি ঘনমিটারে ১০ মাইক্রোগ্রাম পিএম ২.৫ কে গ্রহণযোগ্য সীমা ধরা হয়। গত বছর বাংলাদেশে বাতাসে পিএম ২.৫ এর মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৭ দশমিক ১০ মাইক্রোগ্রাম।

বায়ুদূষণের কারণে জনজীবনে যে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে, তা উঠে এসেছে বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও গবেষণায়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট অব গ্লোবাল এয়ারের ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২০ শতাংশ অকাল মৃত্যুর কারণ ছিল বায়ুদূষণ। বায়দূষণের শিকার হয়ে এক বছরে প্রায় ১ লাখ ৭৪ হাজার মানুষ মারা গেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ২০ শতাংশ নবজাতকের মৃত্যুর জন্য বায়ুদূষণ দায়ী। ২০১০ সালের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে যে আরও বেশি পরিমাণ অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা দেশের বাতাসে ঘুরছে, সে তথ্য দেখিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের শতভাগ মানুষই দূষিত বায়ুর শিকার।

বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে যে গর্ভপাত বাড়ছে, সে তথ্য এসেছে জানুয়ারিতে ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটরি হেল্থ জার্নালে’ প্রকাশিত এক গবেষণায়।

বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে ১৯৯৬ থেকে ২০১৬ সাল পযন্ত গর্ভপাত হওয়া নারীদের সাথে বায়ুদূষণের যোগ থাকার যে ফলাফল গবেষণায় পাওয়া যায়, তাতে বাংলাদেশে কমপক্ষে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ নারীর গর্ভপাত হয়েছে দূষণের কারণে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ তৃতীয় দিন শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মেয়র হানিফ উড়াল সড়কের চিত্র। ছবি: মমিনুল ইসলাম মমিন

 

যা করতে হবে

আইকিউএয়ারের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ঢাকার বাতাসকে ভয়াবহ করে তুলছে মূলত যানবাহন, শিল্প-কারখানা, নির্মাণ কাজ ও নির্মাণ কাজের দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং ইটভাটার ধোঁয়া।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুদূষণে যে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে, তাতে লাগাম টানতে দূষণের উৎসমুখ বন্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার নির্বাহী সহ-সভাপতি ডা. আব্দুল মতিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গাড়ি, কল-কারখানাতে ইটিপি থাকবে না, থাকলেও নষ্ট থাকবে বা খরচের ভয়ে চালাবে না, ইটের ভাটা চলবে, এগুলোতে বিষাক্ত কয়লা দেওয়া হয়- তাতে ইটিপি লাগানো হবে না- এগুলো হলে বায়ুদূষণ হবেই।

“লকডাউনে এগুলো হয়ত কম ছিল বা বন্ধ ছিল, এ কারণে দূষণ কমেছিল। এখন আবার চালু হয়েছে, তাই দূষণও বাড়ছে। লকডাউনের সময় তো প্রমাণিত হলই যদি যানবাহন না চলে, তাহলে দূষণ কমে যাবে। অকেজো, ধোঁয়া নির্গমণ হয়- এমন যানবাহন বন্ধ করে দিতে হবে। ইটিপি লাগাতে খরচ হবে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে সবার লাভ হবে। চিকিৎসা ব্যয় কমে আসবে।”

বায়ুদূষণের উৎসমুখ বন্ধের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “সরকারকে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বায়ুদূষণ বন্ধ করতে চান কিনা। সরকার চায় কিন্তু হয়নি, এমন তো কখনো হয়নি। সরকার চাইলেই বায়ুদূষণ বন্ধ হয়ে যাবে। দূষণের সাথে জড়িত জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার না কমালে, দূষণ না কমালে, টেকসই উন্নয়ন হবে না।”

কল-কারখানা, যানবাহন, নির্মাণকাজ পুরোদমে চালু হলে আবার যে বায়ুদূষণ বাড়বে সেটি মনে করিয়ে সরকারকে উদ্যোগী হতে বলেছেন ক্যাপসের পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারও।

তিনি বলেন, হাই কোর্টের নির্দেশনাগুলো মেনে চললে বায়ুদূষণ কমানো যেতে পারে। রাস্তায় পানি দেওয়া, নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে বহন করা- এগুলো মানতে হবে।

“পুরানো গাড়িগুলো বায়ুদূষণের বড় উৎস। এসব গাড়ি বাদ দিয়ে পাবলিক বাসকে আমরা বাড়াতে বলছি এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি কমিশন গঠনের কথা বলছি। কারণ পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত রাজধানীর একটি ঢাকা। এমন একটি দেশের নাগরিকদের নির্মল বাতাস দেওয়ার জন্য একটি কমিশন যৌক্তিক দাবি।”