সোমবার আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস উপলক্ষে ওই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “আমাদের গবেষণার মাধ্যমে বায়ু দূষণের তথ্য-উপাত্ত বের করা দরকার। তা করতে না পারলে মূল সমস্যা চিহ্নিত করতে পারব না।
“এ কারণে দূষিত বায়ুর উৎসটা কি সেটা চিহ্নিত করুন এবং পরে তাতে সাড়া দিন- এই দৃষ্টিভঙ্গিতে এগোতে হবে।”
বাংলাদেশের নির্মল বায়ু আইন নিয়ে ওই আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা) ও কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন)।
জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে না উঠলেও শীতকালীন অধিবেশনে আইনটি উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন সাংসদ সাবের।
তিনি বলেন, কেবল খোলা জায়গার নয়, কল-কারখানার মতো অভ্যন্তরীণ যেসব জায়গায় বায়ু দূষণ হয় তাও চিহ্নিত করা দরকার।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “এটা যেহেতু জনস্বাস্থ্য ইস্যু, সেহেতু আইনটাকে যত সহজ করা সম্ভব তা করতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছেও পঠনযোগ্য, বোধগম্য হওয়া দরকার।”
বায়ু দূষণের কারণে মৃতের সংখ্যা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও আলোচনা সভায় সুপারিশ করেন তিনি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে খসড়া আইনের কিছু ঘাটতির বিষয় তুলে ধরে বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “গণপরিবহন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। গণপরিবহনকে কীভাবে ক্রীয়াশীল করা হবে, সে বিষয়ে কিছু বলা নাই। জ্বালানির বিষয়ও আছে। জ্বালানির মান তো ইউরোপীয় মান থেকে বহু দূরে।”
নির্মল বায়ু আইনে দূষণ রোধে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোকেও পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রমে সংযুক্ত করার সুপারিশও আলোচনা সভায় করেন রিজওয়ানা হাসান।
রিজওয়ানার বক্তব্যের সূত্র ধরে সাবের হোসেন বলেন, “গণপরিবহন ব্যবস্থাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।”
আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেস বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাইফুদ্দিন বেননুর।
অন্যদের মধ্যে ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী ঋত্বিক দত্ত ও ক্লিনের প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী এ সময় বক্তব্য দেন।