বিভিন্ন সময় উদ্ধার হওয়া লজ্জাবতী বানর তিনটি এতদিন ছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। সোমবার বিকেলে সেগুলোকে আবার বনের পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে ফটিকছড়ির উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আরেফিন জানান।
“উপজেলা প্রশাসন বানরের সুচিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করে। বন বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিলে আমাকে নির্দেশনা দেওয়া হয় লজ্জাবতী বানর তিনটি অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করতে।”
এর মধ্যে একটি বানর উদ্ধার করা হয় গত ৭ জুন ফটিকছড়ি উপজেলার বাগান বাজার ইউনিয়নের রাবার বাগান এলাকা থেকে। ২ এপ্রিল উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের পূর্ব সোনাই গ্রাম থেকে আরেকটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার হয়।
“তাদের সুস্থ অবস্থায় উন্মুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দিতে পেরে ভালো লাগছে।”
হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও হাজারিখিল অভায়রণ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বন বিভাগের কর্মকর্তারার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ৯ জুলাই ফটিকছড়ি উপজেলায় আরো একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার হয়। পরে বন বিভাগ সেটি বনে নিয়ে ছেড়ে দেয়।
লরিসিডি পরিবারের সদস্য ছোট আকারের এই বানর বাংলাদেশের বন্য প্রাণী আইনের তফসিল-১ ভুক্ত সংরক্ষিত প্রাণী। সিলেট ও চট্টগ্রামের গভীর পাহাড়ি বনে এদের দেখা যায়।
নিশাচর এই বানর দিনের বেলায় গাছের উঁচু ডালে নিজেদের আড়াল করে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে। কচি পাতা, পোকা-মাকড় ও পাখির ডিম এদের খাবার।
পুরনো খবর