কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এল বিপুল বর্জ্য ও জলজ প্রাণী
কক্সবাজার প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 13 Jul 2020 01:09 PM BdST Updated: 15 Jul 2020 07:19 PM BdST
-
নানা ধরনের বর্জ্যের মধ্যে মদের বোতলও রয়েছে
-
কক্সবাজার সৈকতের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে
-
বোতল, স্যান্ডেলসহ নানা ধরনের বর্জ্য সৈকতে ছড়িয়ে থাকে
-
জীবিত ও মৃত কাছিমও ভেসে আসে সৈকতে
-
জীবিত অনেক কাছিম সাগরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে
-
বর্জ্যের মধ্যে নানা ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী রয়েছে
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্লাস্টিক, ছেঁড়া জাল ও রশিসহ নানা ধরনের বর্জ্য ও জলজ প্রাণী ভেসে এসেছে, যা কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবেশ সংশ্লিষ্টদের ধারণা, গভীর সাগরে চলাচলকারী জাহাজ ও মাছধরা ট্রলার থেকে এসব বর্জ্য সাগরে ফেলা হয়েছে; যা ভেসে সৈকতে এসেছে।
আহত শতাধিক কাছিম উদ্ধার করে সাগেরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ’-এর চেয়ারম্যান আ. ন. ম. মোয়াজ্জেম হোসেন জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন জানান, সৈকতে বর্জ্য ভেসে আসার কারণ তদন্তে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।

কক্সবাজার সৈকতের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে
সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এসব বর্জ্য। স্থানীয়দের অনেকে এসব বর্জ্য থেকে সংগ্রহ করছেন প্রয়োজনীয় উপকরণ। সামুদ্রিক কাছিমসহ কিছু জলজপ্রাণীও দেখা গেছে।
বর্জ্যের দূষণ ও মাছ ধরার জালে আটকা পড়ে সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবেশবাদীদের ধারণা।

বোতল, স্যান্ডেলসহ নানা ধরনের বর্জ্য সৈকতে ছড়িয়ে থাকে
“সৈকতে ভেসে আসা বর্জ্যগুলোর ধরন দেখে বোঝা যায় এগুলো বাংলাদেশের নয়। গভীর সাগরে চলাচলকারী বিদেশি জাহাজ এবং মাছ ধরার ট্রলার থেকে এসব বর্জ্য ফেলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, এসব বর্জ্যরে দূষণ ও মাছ ধরার ছেঁড়া জালে আটকা পড়ে সামুদ্রিক কাছিমসহ কিছুসংখ্যক জলজ প্রাণী মারা পড়েছে। অন্তত ৩০ টনের মতো বর্জ্য সৈকতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

জীবিত ও মৃত কাছিমও ভেসে আসে সৈকতে
কোনো জাহাজ বা মাছধরা ট্রলার থেকে এসব বর্জ্য সাগরে ফেলা আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন বলে জানান মোয়াজ্জেম হোসেন।

জীবিত অনেক কাছিম সাগরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে
এ ব্যাপারে পরিবেশে অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুল হুদা এবং উপকূলীয় এলাকার প্রাণী দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপকূলীয় বনবিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় বনকর্মকর্তা গোলাম মওলার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন জানান, সৈকতের বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ভেসে আসার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বর্জ্যের মধ্যে নানা ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী রয়েছে
কমিটিতে জেলা প্রশাসন ছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর করণীয় নির্ধারণ এবং ঘটনায় দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ আকারে চিঠি দেওয়া হবে।
-
প্লাস্টিক-পলিথিনে কর বরং আরও বাড়ানো দরকার: ইএসডিও
-
বায়ু দূষণ বাংলাদেশে আয়ু কমাচ্ছে ৭ বছর: গবেষণা
-
সীতাকুণ্ডের পাহাড় রক্ষার পথ খুঁজছে প্রশাসন
-
‘বৃহত্তম কার্বন বিপর্যয়ের’ মুখে পড়তে পারে চট্টগ্রাম: গবেষণা
-
পাহাড় কেটে সাদামাটি আহরণে ধোবাউড়ায় ‘পরিবেশ বিপর্যয়’
-
সুন্দরবনে ফের দেখা গেল ‘বাংলার বাঘ’
-
জলবায়ু বদলে বাড়ছে শিলাবৃষ্টি, বড় হচ্ছে শিলা
-
বিশ্বে ‘সবচেয়ে দূষিত’ বাংলাদেশের বাতাস
সর্বাধিক পঠিত
- সাঁতরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বললেন তরুণী?
- প্রথম টোল দিয়ে বাইক নিয়ে পদ্মা সেতু পার হলেন যিনি
- পুলিশের সামনে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা: চলছে প্রতিবাদ
- পদ্মা সেতু দিয়ে গাবতলীর বাস কবে চলবে?
- প্রাথমিকে ছুটি ২৮ জুন থেকে, মাধ্যমিকে ৩ জুলাই
- দৌড়েই পদ্মা সেতুতে উঠে পড়লেন তারা
- পাকিস্তানের শেহজাদের অদ্ভুত দাবি
- পদ্মা সেতু খুলেছে, ‘হাত নেড়ে কুল পাচ্ছে না’ ঢাকার ট্রাফিক পুলিশ
- ‘প্রধানমন্ত্রীর পর আমিই প্রথম, অনুভূতিটা অন্যরকম’
- রোববার থেকে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল