আগামী ৬ ডিসেম্বর ‘প্রাণ প্রকৃতি ও মানুষ রক্ষার’ এই কনভেনশন হবে বলে বুধবার জাতীয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, “গত ১০ বছরে শুধু সুন্দরবনবিনাশী রামপাল নয়,পুরো উপকূলজুড়ে করা হচ্ছে একের পর এক কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুন্দরবন ও উপকূলবিনাশী কয়লা বিদ্যুৎ বন্ধ, গ্যাস রপ্তানিমুখী ‘পিএসসি ২০১৯’ বাতিল এবং সুলভ-টেকসই-পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বিকল্প মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে এই জাতীয় কনভেনশন হবে।”
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ ও সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জলবায়ু পরিবর্তনে সবচাইতে ঝুঁকির মধ্যে থাকা বাংলাদেশের এই ঝুঁকি মোকাবিলায় একদিকে যেমন বিশ্বে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হ্রাসে জোর ভূমিকা পালন দরকার, তেমনি দেশের ভেতর উন্নয়ন পরিকল্পনাও এমনভাবে সাজানো দরকার যাতে আমরা নিজেদের বিপদ কমাতে পারি, নিরাপদ উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে পারি।
“এই সব অগ্রাহ্য করে রূপপুরে বাংলাদেশের সবচাইতে ব্যয়বহুল পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প করা হচ্ছে। সরকার উন্নয়নের নামে দেশি-বিদেশি গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষায় যেভাবে একের পর এক প্রাণ প্রকৃতি বিনাশী প্রকল্প গ্রহণ করছে, তাতে শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ বাড়বে না, দেশের ভেতর প্রাণ প্রকৃতি মানুষ এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে।”