নদী ইজারা দেওয়ার পক্ষে নন পরিকল্পনামন্ত্রী

নদী-খালসহ অন্যান্য জলাশয়গুলো ইজারা দেওয়ার সমালোচনা করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2019, 03:40 PM
Updated : 4 Dec 2019, 03:40 PM

বুধবার ঢাকার ফার্মগেইটে জাতীয় নদী রক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘নদীর উন্নয়নে পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার দায়-দায়িত্ব’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে ইজারার বিপক্ষে অবস্থান জানান তিনি।

খাল-বিল, নদী-নালা ইজারা না দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত রাখার পক্ষে অবস্থান জানিয়ে মান্নান বলেন, “ইজারা না দেওয়া আমি পুরোপুরি সমর্থন করি।”

তিনি বলেন, “নদী আঘাত পেলে আমাদের জীবনের ওপরেও ব্যথা আসবে। সেজন্য নদীর সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

“নদীর ক্ষতি করলে বা তার ওপর আঘাত আসলে তা নিজেদের ওপরই আসে। যাই করি না কেন, নদী নিজেকে ঠিকই বাঁচাবে। পরিবেশ ঠিকই নিজেকে বাঁচাবে। তবে ক্ষতিটা হয়ে যায়।”

বাংলাদেশে নদীর বিভিন্ন অংশ মাছ ধরার জন্য যেমন ইজারা দেওয়া হয়, তেমনি বালু তোলার জন্যও ইজারা দেওয়া চলে।

 প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণের সময় নদীসহ সার্বিক পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যেসব কাজ করি, তার কিছু সরাসরি নদী-পানি ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত।

“যারা প্রকল্প তৈরি করেন তাদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া থাকে, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সময় পরিবেশ বিশেষ করে নদী-খাল, নালা-বিল, জলাশয় ইত্যাদির ওপর যেন কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে তার নিশ্চিয়তা থাকতে হবে।”

পরিবেশ দূষণ না করার নিশ্চয়তা শুধু কথায় নয়, কীভাবে সেই নিশ্চয়তা রক্ষা করা হয় সেটাও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ব্যাখ্যা করতে হয় বলে জানান মান্নান।

অনুষ্ঠানে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ার‌ম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নদী ধ্বংস করে বাংলাদেশ বাঁচানো যাবে না। তাই ডেল্টা প্ল্যানের মতো একটি মহাপরিকল্পনার আওতায় সারা দেশব্যাপী নদী রক্ষা অভিযান চলছে।

এই অভিযানে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, “ন্যায়বিচারের মাধ্যমেই নদী রক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এটি সফল করে দেশের পরিবেশ বিপর্যয় সামাল দেওয়া হবে।”

অনুষ্ঠানে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে প্রথমে ‘সমস্যা চিহ্নিত করে’ পরে তা সমাধানের পরামর্শ দেন প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ।