নির্বাচনে হার মেনে না নিয়ে লড়াই অব্যাহত রাখার কথা বললেও ক্ষমতাসীন এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ক্ষমতা হস্তান্তর দেখভালকারী কেন্দ্রীয় সংস্থার যা যা করা দরকার, তা অবশ্যই ‘করা উচিত’।
পরে ক্ষমতা হস্তান্তর দেখভালকারী সংস্থা জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (জিএস) বাইডেনকে ‘সম্ভাব্য বিজয়ী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
মিশিগান রাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর জয়কে প্রত্যয়ন করার পর জিএসএ-র এ ঘোষণা আসে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মিশিগানের কর্মকর্তাদের ওই সিদ্ধান্ত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে লড়াই করা ট্রাম্প শিবিরের জন্য বেশ বড় ধাক্কা হিসেবে আবির্ভূত হয়।
আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার প্রস্তুতিরত বাইডেনের শিবির তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
“আজকের এই সিদ্ধান্ত মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতিকে ট্র্যাকে ফেরানোসহ আমাদের দেশ এখন যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, সেগুলোর মোকাবেলা শুরুর একটি জরুরি পদক্ষেপ,” বিবৃতিতে বলেছে তারা।
জিএসএ-র ঘোষণার পরপরই পেন্টাগন জানিয়েছে, তারা বাইডেন শিবিরকে সব ধরনের সহযোগিতায় প্রস্তুত। বাইডেন শিবিরের ট্রানজিশন ওয়েবসাইটও সরকারি ডোমেইন নেম পেয়েছে।
সোমবার বাইডেন তার পররাষ্ট্র নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা দলের নামও ঘোষণা করেছেন; এসব দলে ওবামা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাই স্থান পেয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।