সিটি ভোট: ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেলে মানা

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে বরাবরের মতই যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2020, 05:24 AM
Updated : 21 Jan 2020, 05:24 AM

নির্বাচনী এলাকায় ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত কোনো মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।

আর ভোটের আগের দিন মধ্যরাত অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ভোটের দিন ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় অটোরিকশা, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, বাস, ট্রাক, টেম্পো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

নির্বাচন কমিশনের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ও যানবাহনের ওপর এই কড়াকড়ি শিথিলযোগ্য হবে।

ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের প্রাইভেটকার (রেন্ট-এ-কার, ট্যাক্সি বা অ্যাপভিত্তিক ভাড়ার গাড়ি ছাড়া) এবং প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহায়তায় নিয়োজিত গাড়ির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।

পাশাপাশি  নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ও  নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগের মত জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ও যানবাহনের বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না। 

জাতীয় মহাসড়কে বা বন্দরগামী জরুরি পণ্য, ওষুধ, খাদ্য ইত্যাদি সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবে। 

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মহাসড়ক ছাড়াও আন্তঃজেলা বা মহানগর থেকে বের হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়কে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল রাখতে হবে।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ চলবে। 

আইন-শৃঙ্খলা সভা বুধবার

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের দশ দিন আগে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন।

আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে বুধবার এই বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত থাকবেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বিজিবি মহাপরিচালক, র‌্যাব-আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই মহাপরিচালক; এসবির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক, দুই রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সব সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

ঢাকা সিটির নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এর আগে রোববার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

সেখানে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সহযোগিতা করা হবে। ঢাকার ১৭২টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৪৮৬টি ভোটকেন্দ্রে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।