ডক্টর, ডাক্তার- দুইই আছেন কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে স্বশিক্ষিত থেকে শুরু করে পিএইচডি ডিগ্রিধারীও ভোটে লড়ছেন, রয়েছেন চিকিৎসকও।

মঈনুল হক চৌধুরীজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2020, 04:59 AM
Updated : 16 Jan 2020, 04:59 AM

শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে স্বশিক্ষিত থেকে মাধ্যমিক পাসের মধ্যে রয়েছেন বেশিরভাগ ভাগ প্রার্থী। পেশার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীই বেশি।

আগামী ৩০ জানুয়ারির ভোটে উত্তরে সাধারণ কাউন্সিলর ২৫১ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন লড়াইয়ে রয়েছেন। আর দক্ষিণে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩৫ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সব মিলিয়ে প্রার্থী হয়েছেন সাড়ে সাতশর বেশি।

নিয়ম অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামা আকারে সাতটি তথ্য ও প্রমাণসূচক দলিল জমা দিতে হয় প্রার্থীদের।

শিক্ষাগত যোগ্যতা, কোনো মামলা বিচারাধীন কি না, অতীতের মামলার রেকর্ড, পেশা, আয়ের উৎস, নিজের ও নির্ভরশীলদের সম্পদ-দায়, ঋণ- এই সাতটি তথ্য হলফনামা আকারে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে হয়।

ভোটাররা যাতে প্রার্থীদের সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন, সেজন্য প্রার্থীদের এসব হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।

শিক্ষার দৌড়

অল্প ও স্বশিক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভিড়ে আছেন বেশ কয়েকজন উচ্চশিক্ষিতও।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওমর-বিন-আব্দুল আজিজ হলফনামায় সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘ডক্টরেট’ লিখেছেন। মো. আব্দুল আজিজ ও রাবেয়া আজিজের এ সন্তান লড়ছেন মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে।

৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীকের প্রার্থী সাহানা আক্তার আইনে স্নাতকোত্তর (এলএলএম)। উত্তরের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হুমায়ুন কবীর এমবিবিএস পাস, তার প্রতীকও মিষ্টি কুমড়া।

তাদের মত উচ্চতর ডিগ্রিধারী অর্ধশতর বেশি প্রার্থী এবার কাউন্সিলর পদের প্রার্থী হয়েছেন। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, তাদের মধ্যে ৩৩ জন এমএ, পাঁচজন এমএসসি, ১৩ জন এমএসএস, দুজন এমবিএ, ১০ জন এমকম, পাঁচজন এলএলএম, তিনজন এমবিবিএস এবং দুজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী রয়েছেন।

বিএ পাস ৬৩ জন, বিকম ২১ জন, বিবিএ আটজন, বিএসসি ১৫ জন, ইঞ্জিনিয়ার তিনজন, বিএসএস ১১ জন এবং এলএলবি করা ২১ জন প্রার্থী হয়েছেন।

আর  স্বশিক্ষিত, নিরক্ষর, অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন ও শিক্ষিত নন- এমন তথ্য দেওয়া প্রার্থীর সংখ্যা অন্তত ৩৪১ জন।

এছাড়া পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার সাতজন, ষ্ষ্ঠ শ্রেণি একজন, সপ্তম শ্রেণি চারজন, অষ্টম শ্রেণি ১২৬ জন ও নবম শ্রেণি শিক্ষাগত যোগ্যতার ১২ জন প্রার্থী।

এসএসসি পাস রয়েছেন ১৭১ জন, দাখিল পাস ছয়জন এবং ‘ও’ লেভেল পাস একজন। এইচএসসি পাস করেছেন ১৫১ জন, আলিম একজন এবং ‘এ’ লেভেল একজন, হিফজ একজন।

ট্রেড কোর্স, ইউনানি আয়ুর্বেদিক, ডিপ্লোমা ইন রিয়েল স্টেট, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, হোমিওপ্যাথি, রেস্টুরেন্ট ডিপ্লোমা, মেডিকেল ডিপ্লোমাসহ কয়েকটি কোর্স করার তথ্যও দিয়েছেন কিছু প্রার্থী।

অধিকাংশই ব্যবসায়ী

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সহস্রাধিক প্রার্থীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশির পেশা ব্যবসা।

এর মধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসা, বাড়ি ভাড়া, আড়ত ব্যবসা, ঠিকাদারি, নার্সারি, কৃষক, থাই অ্যালুমিনিয়াম, পোশাক বিক্রেতা, মুদি স্টেশনারি ব্যবসা, পুঁজিবাজার ব্যবসা, বিবিধ ব্যবসা করা প্রার্থী রয়েছেন।

এর বাইরে রয়েছেন চাকরিজীবী, সমাজসেবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, গৃহিনী, রাজনীতিক, চিকিৎসক, ড্রাইভার, মিস্ত্রি ইত্যাদি পেশার প্রাথীও।