বেড়েছে গড় আয়ু, উন্নতি সামাজিক সূচকে: বিবিএস

বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু এক বছর বাড়ার পাশাপাশি সামাজিক সূচকেও উন্নতি ঘটেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2015, 03:41 PM
Updated : 14 July 2015, 04:12 PM

মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবিএসের এক হালগানাদ জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

এই জরিপ অনুযায়ী, ২০১২ সাল থেকে ২০১৩ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু এক বছর বেড়ে ৭০ বছর ৪ মাস হয়েছে, যার মধ্যে পুরুষের গড় আয়ু ৬৮ বছর ৮ মাস আর নারীর গড় আয়ু ৭১ বছর ২ মাস।

এছাড়া দেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে এবং বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে বলেও জরিপে উঠে এসেছে।

বিকালে শেরেবাংলা নগরের পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে ‘মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যটিসটিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি)- ২০১৩’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনটি অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।  জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক একেএম আশরাফুল হক।

বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা।

কানিজ ফাতেমা বলেন, “দেশের সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য তথ্যের প্রয়োজন হয়। জরিপের ফল অনুযায়ী দেশে এখনো অসমতা রয়েছে।”

২০১৪ সালের হালনাগাদ জরিপটি ঈদের পরে প্রকাশ করা যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

জরিপের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৩ সালে দেশে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত আগের বছরের চেয়ে দশমিক শূন্য ৬ কমে ১ দশমিক ৯৭ হয়েছে।

এছাড়া গত এক বছরে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে একজন কমে ৪১ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহারের হার ৬৩ দশমকি ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৩ দশমকি ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

জরিপ অনুযায়ী, দেশে স্বাক্ষরতার হারও কিছুটা বেড়েছে। ১৫ বছর বা তর্দূধ্ব বয়সীদের স্বাক্ষরতার হার ২০১২ সালের ৬০ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬১ শতাংশ হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতা ৬৪ দশমিক ২ শতাংশ, আর নারীর স্বাক্ষরতা ৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ।  

তবে এক বছরে বিয়ের গড় বয়স ৭ মাস কমে বর্তমানে ২৫ বছর ৫ মাসে দাঁড়িয়েছে।

জরিপে দেখা যায়, দেশে বিদ্যুৎ ব্যবহারের হার ২০১২ সালের ৬৫ দশমকি ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৩ সালে ৬৬ দশমকি ৯ শতাংশে দাঁড়েয়েছে।

কেরোসিনের আলো ব্যবহারকারী মানুষের হার কমে ২০১২ সালের ৩৩ দশমকি ১ শতাংশ থেকে ৩২ দশমকি ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে সৌর বিদ্যুৎসহ অন্যান্য উৎস থেকে আলো ব্যবহার করছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।