আউশ আবাদে ৩০ কোটি টাকা প্রণোদনা

চলতি আউশ মৌসুমে ধান চাষের জন্য দুই লাখ ১০ হাজার কৃষককে ৩০ কোটি ২১ লাখ টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2015, 12:26 PM
Updated : 22 April 2015, 02:59 PM

বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যে কৃষকের হাতে প্রণোদনার অর্থ পৌঁছে যাবে।

তিনি জানান, চলতি অর্থ বছরে দেশের ৪৮ জেলায় ২ লাখ ১০ হাজার কৃষকের এক বিঘা করে জমি উচ্চফলনশীল আউশ চাষের আওতায় আনা হয়েছে।

এর মধ্যে এক লাখ ৮০ হাজার বিঘায় উফশী এবং ৩০ হাজার বিঘায় নেরিকা জাতের আউশ ধানের  চাষ হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, উফশী আউশের ক্ষেত্রে মাথাপিছু প্রণোদনা দেওয়া হবে এক হাজার ৩৫০ টাকা। আর নেরিকা আবাদের ক্ষেত্রে কৃষক পাবেন এক হাজার ৯৭০ টাকার সার ও বীজ।

“উফশী ও নেরিকা চাষে সেচ সহায়তা হিসাবে জনপ্রতি ৪০০ টাকা এবং নেরিকা চাষে আগাছা দমনের জন্য আরও ৪০০ টাকা করে দেওয়া হবে।”

উফশী আউশ চাষের ক্ষেত্রে প্রত্যেক কৃষককে পাঁচ কেজি বীজ এবং নেরিকা চাষের ক্ষেত্রে ১০ কেজি বীজ দেওয়া হবে।

এছাড়া উভয় ধরনের ধানে প্রত্যেক কৃষক ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএপি সার পাবেন।

“উফশী আউশ চাষে ২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং নেরিকা চাষের জন্য ৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা, অর্থাৎ সর্বমোট ৩০ কোটি ২১ লাখ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে”, বলেন মন্ত্রী।

এ প্রণোদনার ফলে অতিরিক্ত ৭০ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের আশা প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই চালের দাম পাওয়া যাবে ২২৪ কোটি টাকা; খড়ের মূল্য হবে ৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যয় ও আয়ের অনুপাত হবে ১:৮।

তিনি জানান, রবি ফসল কাটার পর অল্প সেচেই আউশ আবাদ করা যায়, খরচও কম। এ কারণে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এ ধানের আবাদ বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।

চলতি বছর প্রণোদনার জন্য শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ২১ জেলা; উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও বরেন্দ্র এলাকার যেসব স্থানে সেচ সুবিধা অপ্রতুল এবং দক্ষিণাঞ্চলের আউশ নির্ভর ১২টি জেলাকে এ কর্মসূচির আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে মতিয়া চৌধুরী জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংশ্লিস্ট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি মনোনীত উপজেলা পযায়ের একজন কর্মকর্তা, সংশ্লিস্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যের উপস্থিতিতে নির্বাচিত কৃষকের তালিকা করা হবে।

উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির অনুমোদনের পর উপজেলা সদর থেকে তালিকাভুক্ত কৃষকের ছবি সম্বলিত মাস্টার রোলের মাধ্যমে কৃষি পুর্নবাসন সহায়তার উপকরণ বিতরণ করা হবে।

কৃষি উপকরণ গ্রহণের সময় কৃষক স্বাক্ষর বা টিপসই দেবেন। নগদ টাকা দেওয়া হবে ব্যাংকের মাধ্যমে।