বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অরবিটাল স্লট ইজারায় চুক্তি

দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু’ উৎক্ষেপণের জন্য অরবিটাল স্লট ইজারা নিতে চুক্তি করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2015, 12:49 PM
Updated : 15 Jan 2015, 01:14 PM

বৃহস্পতিবার বিটিআরসি সম্মেলন কক্ষে এ সংস্থার কমিশনার এটিএম মনিরুল ইসলাম এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারস্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব স্পেস কমিউনিকেশনস এর মহাপরিচালক ভাদিম ই বেলভ এই চুক্তিতে সই করেন।

১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অরবিটাল স্লট পাওয়ার জন্য এ প্রতিষ্ঠানকে দুই কোটি ৮০ লাখ ডলার দেবে বিটিআরসি। সেখানে স্থাপন করা হবে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’, যাতে টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার সেবা দেওয়ার জন্য ৪০টি ‘ট্রান্সপন্ডার’ থাকবে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুই হাজার ৯৬৮ কোটি টাকার এ প্রকল্প অনুমোদন করে, যার মধ্যে এক হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে যোগানো হবে।

এছাড়া প্রকল্প সাহায্য থেকে আসবে এক হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এই ‘প্রকল্প সাহায্যের’ ব্যবস্থা হবে ‘বিডার্স ফাইন্যান্সিং’ এর মাধ্যমে।

যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল’ ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবে উপগ্রহের নকশা তৈরির কাজ শুরু করেছে।

ভূমি থেকে উপগ্রহটি নিয়ন্ত্রণের জন্য গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নিজস্ব জমিতে দুটি ‘গ্রাউন্ড স্টেশন’ নির্মাণ করা হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, “বুদ্ধিবৃত্তিক প্রযুক্তির সমাজ গড়ে তুলতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। কেবল অপ্রশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত জনশক্তি রপ্তানি করে ধনী রাষ্ট্র হওয়া যাবে না।”

তিনি বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যেসব দেশের স্যাটেলাইট নেই তাদেরও সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২০টি দেশের ব্যবহারের জন্য রেখে বাকিগুলো অন্যান্য দেশের কাছে বিক্রি করা হবে।

২০১৭ সালের জুন নাগাদ দেশের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

“চলতি বছরের শেষ দিক থেকে আমরা স্যাটেলাইটের মার্কেটিং শুরু করব। এতে করে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর আর অলস বসে থাকবে না। আমরা এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি।”

পর্যায়ক্রমে আরো স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে একটি কোম্পানি দাঁড় করানোর। একটি মাত্র স্যাটেলাইট দিয়ে কোম্পনি চলতে পারে না। প্রাথমিকভাবে আমরা আরো দুটি স্যাটেলাইট তৈরির চষ্টা চালাব।”

অন্যদের মধ্যে ইন্টারস্পুটনিকের বাণিজ্যিক পরিচালক তিমোফে আব্রামভ এবং কারিগরি পরিচালক গ্রেগরি বাইতসুর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।