সময় বাড়িয়েছে বার্কলেস ব্যাংক

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে আরো কিছুদিন পর্যন্ত সেবা দেবে যুক্তরাজ্যের বার্কলেস ব্যাংক।

শেখ আবদুল্লাহবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2013, 03:15 AM
Updated : 12 August 2013, 03:15 AM

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে রেমিটেন্স সেবাসহ সব ধরনের খুচরা হিসাব পরিচালনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার্কলেস ব্যাংক।

গত ১০ জুলাই থেকে তা কার্যকর  হওয়ার কথা থাকলেও ব্যাংকগুলোর আবেদনে তা এক মাস বাড়িয়ে ১০ অগাস্ট করা হয়।

কিন্তু এ সময়ের মধ্যে অন্য কোনো ব্যাংকের সঙ্গে এই ধরনের ব্যবসায়িক চুক্তি করতে না পারায় বার্কলেসের মুখাপেক্ষী বাংলাদেশের ১১টি ব্যাংক আরো সময় চায়।

তার পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা বাড়িয়ে আরো তিন মাস পর্যন্ত করা হয়েছে বলে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।

এই ১১টি ব্যাংক বার্কলেস ব্যাংকে রেমিটেন্স পাঠানোসহ বিভিন্ন ধরনের খুচরা হিসাব পরিচালনা করে।

পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা আমাদের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে।”

“আমরা বার্কলেস ব্যাংককে আরো কিছু বিষয়ে অনুরোধ করেছি। আমরা বলেছি, বার্কলেস ব্যাংকে আমাদের হিসাব রাখার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব শর্তই মানতে রাজি আছি। প্রয়োজন পড়লে আমরা আরো নিরাপদ ও কমপ্ল্যায়ান্ট সফটওয়্যার বসাব।”

এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ হায়দার আলী মিঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বার্কলেস ব্যাংক আমাদের আরো তিন মাস সময় দিয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “মৌখিকভাবে এমন আশ্বাস পাওয়া গেছে যে সমস্যাকবলিত ব্যাংকগুলো যতদিন অন্য কোনো ব্যাংকে একাউন্ট করতে না পারবে, বার্কলেস ব্যাংক ততদিন সেবা দেবে।”

আরো একমাস সময় পেয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এবং আগামী ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত সময় পেয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক।

বার্কলেস ব্যাংকের সঙ্গে হিসাব পরিচালনাকারী অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রিমিয়ার, ব্যাংক এশিয়া, এবি, মার্কেন্টাইল, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, সাউথইস্ট ও এনসিসি ব্যাংকও বর্ধিত সময় পেয়েছে বলে জানা গেছে।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ ফারুকী আশা করছেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলীর প্রচেষ্টায় বার্কলেস ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখা যাবে।

“বাংলাদেশের মেয়ে, যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য রুশনারা আলী এ বিষয়ে বার্কলেস ব্যাংকসহ যুক্তরাজ্যের সেন্ট্রাল ব্যাংকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আশা করছি, শেষ পর্যন্ত বার্কলেস ব্যাংক আমাদের সঙ্গে খুচরা হিসাব পরিচালনা অব্যাহত রাখবে।”

গত জুনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেমিট্যান্স সেবাসহ সব ধরনের খুচরা হিসাব পরিচালনা বন্ধের ঘোষণা দেয় বার্কলেস ব্যাংক।

এতে ব্যাংকটিতে হিসাব থাকা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর মাধ্যমে রেমিটেন্স আনায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো।

ওই সময় বার্কলেস ব্যাংক বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়, ১০ জুলাইয়ের পর আর এ ধরনের খুচরা কোনো হিসাব পরিচালনা করা হবে না।

যুক্তরাজ্য থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১০০ কোটি ডলার রেমিটেন্স আসে, যা দেশের বার্ষিক রেমিটেন্সের ১৫ ভাগের এক ভাগ। রেমিটেন্স আসা দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ পাঁচটি দেশের একটি যুক্তরাজ্য।