প্রকল্পের আওতায় সচিবালয়সহ সরকারি সব অফিসের জন্য প্রায় ২৫ হাজার ট্যাবলেট কম্পিউটারও দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নতুন অর্থবছরের প্রথম বৈঠকে এই প্রকল্পসহ চার হাজার ২২৮ কোটি টাকার মোট নয়টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
‘ইনফো সরকার’ প্রকল্পে চীন এক হাজার ৮৭ কোটি টাকা ঋণ দেবে। অর্থায়নের বিষয়ে ইতোমধ্যে চীনের সঙ্গে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি এবং ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সচিবালয়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, সাতটি বিভাগীয় দপ্তর এবং সব জেলা ও ৪৮৫টি উপজেলার সরকারি অফিসে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। আর ১৭ হাজারেরও বেশি সরকারি অফিস পাবে ওয়াইফাই-এর স্বাদ।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস ও ট্রেনিং সেন্টারসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে ৮০০টি ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমও স্থাপন করা হবে একই প্রকল্পের আওতায়।
চলতি জুলাই মাসেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। শেষ হবে ২০১৫ সালের জুনে।
এছাড়া সভায় ‘পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি’ নামে অপর একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের চার হাজার ৫৪৮টি ইউনিয়নের ৬০ হাজার অতিদরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং এক লাখ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক বছরব্যাপী রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী রাখা এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বলে কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা সচিব ভূইয়া শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সভায় নয়টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এতে চার হাজার ২২৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে দুই হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে। বাকি এক হাজার এ ৬৭০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য থেকে মেটানো হবে।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারসহ অন্যান্য মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ৮৬ কোটি টাকার বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি প্রকল্প, ১৬২ কোটি টাকার বাংলাদশে ফলতি পুষ্টি গবষেণা ও প্রশক্ষিণ ইনস্টিটিউট এর অবকাঠামো নির্মাণ ও র্কাযক্রম শক্তিশালীকরণ, ৭২ কোটি টাকার চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী ও রাউজান উপজলোর র্কণফুলী নদী, বোয়ালখালী ও রাইখালী খাল এবং এর বাম ও ডান তীররে বিভিন্ন অংশে প্রতিরক্ষা প্রকল্প।
এছাড়া এক হাজার ২২ কোটি টাকার ক্যাপিটাল ড্রেজিং অবরিভার সিস্টেম ইন বাংলাদেশ প্রকল্প, ৩৭ কোটি টাকার কুমিল্লা-বিবির বাজার স্থল বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, ৩৮৬ কোটি টাকার প্রকিউরমেন্ট অব ডবল ডেকার, সিঙ্গল ডেকার এসি এন্ড আর্টিকুলেটেড বাস ফর বিআরটিসি এবং ২৮ কোটি টাকার খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা সড়কের চেইনেজ ৩৮ প্লাস ৫০০ মিটার পর্যন্ত সড়ক উঁচুকরণ প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে।