চার দশকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

মৌসুমের তৃতীয় শৈত্যপ্রবাহে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে দিনাজপুরের তাপমাত্রা, যা ১৯৬৮ সালের পর সর্বনিম্ন।

মঈনুল হক চৌধুরী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2013, 11:37 PM
Updated : 9 Jan 2013, 00:15 AM

আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার সাকলে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।   

এ সময় রাজধানীর ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৬৪ সালের পর সর্বনিম্ন।

রাশেদুজ্জামান জানান, ১৯৬৮ সালে শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা অরজিৎ রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫, সোমবার ছিল ৭ দশমিক ২ এবং রবিবার ছিল ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রোববার থেকেই চলতি মৌসুমের তৃতীয় দফার এই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। গত ডিসেম্বরে দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গিয়েছিল। তাতে শীতের তীব্রতায় ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ চরমে ওঠে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাদিকুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমানে পাবনা, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, টাঙ্গাইল ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে) এবং রাজশাহী, রংপুর, যশোর, শ্রীমঙ্গল ও ঢাকা বিভাগের কিছু এলাকায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৮-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যাচ্ছে।

শীতের এই প্রকোপ নতুন এলাকায় বিস্তৃত হয়ে আরো দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

শীতের কারণে গত দুদিনে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৪৫ জন, যাদের অধিকাংশই শিশু।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, জানুয়ারি মাসে দেশের ওপর দিয়ে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আগামী ৮ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এ সময়ে রাতের তাপমাত্রা সাড়ে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।

এ সপ্তাহে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানতঃশুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, সিলেট ও রাজশাহী বিভাগে এবং দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা হতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা হতে পারে দেশের অন্যান্য এলাকাতেও।

এই শীতে বোরো বীজতলা ও গোল আলুর আবাদ রক্ষার জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ও কৃষিবিদরা।