মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারে এ নির্দেশনা দিয়েছে।
অপর এক সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গঠিত এ তহবিল থেকে বিটিএমইএ ও বিজিএমইএর সদস্যদের বিশেষ সুবিধায় ঋণ নেওয়ার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।
এতে এ দুই খাতের উদ্যোক্তারা চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিন কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
কোভিড মহামারীর বিবেচনায় তাদের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ আড়াই কোটি থেকে বাড়িয়ে গত জানুয়ারিতে তিন কোটি ডলার করা হয়।
রপ্তানিকারকদের পণ্য রপ্তানি সুবিধা দিতে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নেওয়ার সুযোগ দিয়ে গঠন করা হয় ইডিএফ তহবিল।
পরে রপ্তানি পণ্যের আয় দেশে আসলে তা থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণটি পরিশোধ করতে হয়।
রপ্তানি আয় আসার পরে ব্যাংকই প্রথমে ইডিএফ ঋণের অর্থ কেটে নিয়ে অবশিষ্ট পরিমাণ টাকায় স্থানান্তর করে গ্রাহককে বুঝিয়ে দিয়ে থাকে।
এটি নিয়ম থাকলেও সম্প্রতি দেখা গেছে, উদ্যোক্তারা ইডিএফের ঋণ পরিশোধ করছে ব্যাংক থেকে স্থানীয় মুদ্রায় নেওয়া ঋণের অর্থ দিয়ে।
ব্যাংকগুলো স্থানীয় মুদ্রায় নতুন ঋণ অনুমোদন করে এর বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় দেখিয়ে উদ্যোক্তার ইডিএফ ঋণ পরিশোধ করছে।
এমন প্রবণতা রোধে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নির্দেশনায় রপ্তানি আয়ের বাইরে অন্য কোনো ঋণের অর্থ দিয়ে এ তহবিলের দায় পরিশোধকারী উদ্যোক্তা ইডিএফের সুবিধা আর পাবেন না।
লন্ডন লাইর রেটের সঙ্গে আড়াই শতাংশ সুদ হারে ইডিএফ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারেন উদ্যোক্তারা।
রপ্তানি আয় ফেরত আসার ১৮০ দিনের মধ্যে ইডিএফ ঋণ পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে তা ২৭০ দিনেও পরিশোধ করা যায়।