এনডিটিভি লিখেছে, রুপির এই দরপতনের পর বিনিময় হারে আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে তাদের নজর এখন ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগামী সপ্তাহের বৈঠক ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের দিকে।
ব্লুমবার্গের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার দিনের শুরুতে প্রতি ডলারের জন্য ৭৯ দশমিক ৯৮ রুপি গুণতে হচ্ছিল। পরে তা বেড়ে ৮০ দশমিক ০১ রুপি হয়।
পিটিআই জানিয়েছে, আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়সা বেড়ে এদিন ডলারের দর পৌঁছায় সর্বকালের সর্বোচ্চ ৮০ দশমিক শূন্য ৫ রুপিতে।
রয়টার্স জানিয়েছে, টানা সাত দিন ধরে ডলারের বিপরীতে দর হারাচ্ছে রুপি। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে ডলার ছেড়ে রুপির আরও পতন কিছুটা হলেও ঠেকিয়ে রেখেছে।
রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সোমবার লেনদেনের শেষ মুহূর্তে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার মান রেকর্ড কমে ৭৯ দশমিক ৯৮ রুপিতে গিয়ে ঠেকে। তার আগে শুক্রবার শেষ লেনদেনে প্রতি ডলারের দর ছিল ৭৯ দশমিক ৮৮ রুপি।
এ বছরে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার মান ৭ শতাংশ পড়ে গেছে। গত সাত লেনদেন দিবসেই রেকর্ড দরপতন হয়েছে ভারতীয় মুদ্রার।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সরে দাঁড়ানো, বাণিজ্য ও চলতি হিসাবের ঘাটতি এবং বিশ্বব্যাপী মন্দার ঝুঁকির কারণে ডলারের বাজারে অস্থিরতায় রুপির দরপতন ঘটছে।
গত দুই বছরে ভারতে বিদেশি তহবিল আসার চেয়ে বাইরে চলে গেছে বেশি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় সম্পদ থেকে রেকর্ড ২৯ বিলিয়ন ডলার তুলে নিয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাত আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিনিময় হারের তুলনার জন্য যে ডলার ইনডেক্স ব্যবহার করা হয়, তাতে মঙ্গলবার ডলার ছিল সূচকের ১০৭ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে। ডলারের এই অবস্থান সোমবারের ১০৬ দশমিক ৮৮ এর চেয়ে বেশি হলেও আগের সপ্তাহের ১০৯ দশমিক ২৯ এর চেয়ে কম। ২০০২ সালের পর ওটাই ছিল সূচকে ডলারের সর্বোচ্চ অবস্থান।
কমনওয়েলথ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়ার বিশ্লেষক ক্যারল কং বলছেন, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির দুর্বল পূর্বাভাসের মধ্যে ডলারের সঙ্গে অন্য কোনো মুদ্রা প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছে না। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার দর বাড়ছেই।
সোমবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলে ৫ ডলার দাম বৃদ্ধির পর মঙ্গলবার কমে আসায় বিশ্ববাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ফিউচার মার্কেটে সেপ্টেম্বরের চালানের ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬৯ সেন্ট কমে প্রতি ব্যারেলে ১০৫ দশমিক ৫৮ ডলার হয়েছে মঙ্গলবার।