বৃহস্পতিবার এসব বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের গত ২৯ জুন নেওয়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, “কাঁচাপাট রপ্তানিকারক ঋণগ্রহীতাদের গত ৩১ মার্চ ভিত্তিক ঋণ হিসাবের মোট দায় ব্লক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে দুই বছরের মরাটরিয়াম সুবিধাসহ ১০ বছরে পরিশোধের সুবিধা প্রদান।
“ঋণ হিসাবের অনারোপিত সুদের শতভাগ ও আরোপিত সুদের বিষয়ে বিধি মোতাবেক মওকুফ বিবেচনা করা। ব্লক সুবিধা প্রদানে ন্যূনতম ২ শতাংশ হারে ডাউনপেমেন্ট আদায় করা ও ঋণের তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয় আদায় করা।’’
নতুন ঋণ অনুমোদন ও জামানতের বিষয়ে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ওপর সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
পরিপত্র জারির ছয় মাসের মধ্যে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে আবেদন জমা দিতে হবে ব্যাংকে।
আর ডাউনপেমেন্ট দিতে ব্যর্থ হওয়াদের ব্যাংক হিসাবে রাখা এফডিআর নগদায়ন করে ঋণ আদায় করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ আদায়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
ব্লক হিসাবে যাওয়ার পরে ওই ঋণ বিচারাধীন থাকলে মামলা নিষ্পপ্তিতে সোলেনামার সুযোগও রাখা হয়।
কাঁচাপাট রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ) এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট রপ্তানি হয় ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ব্রাজিলসহ অন্তত ১৪টি দেশে।
সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে এসব দেশে মোট ১ হাজার ৯০৭ কোটি টাকার কাঁচাপাট রপ্তানি হয়েছে, আগের অর্থবছরে যা ছিল মাত্র ৬৬০ কোটি টাকা।