কোরবানির ঈদের আগে ধর্ম মন্ত্রণালয়ও ঈদ উপলক্ষে কোনো আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা দিয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে জ্বালানির বাজার অস্থির হওয়ায় বাংলাদেশেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে।
এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোকসজ্জা না করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তার এক দিন বাদে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক নির্দেশনায় বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আলোকসজ্জা করা যাবে না।
নির্দেশনা অনুসারে সামাজিক অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, দোকানপাট, অফিস ও বাসাবাড়িতে আলোকসজ্জা করা যাবে না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই নির্দেশনা সব জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) পাঠানো হয়েছে।
এদিনই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না।
যুদ্ধের জেরে জ্বালানি স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি হওয়ায় লোড শেডিং হচ্ছে দেশজুড়েই।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে বিদ্যুতের যে চাহিদা রয়েছে, উৎপাদন হচ্ছে তার চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ কম, যা লোড ব্যবস্থাপনার (লোড শেডিং) মাধ্যমে সমন্বয় করতে হচ্ছে।
সঙ্কট সমাধানে আপাতত মহামারীকালের মতো হোম অফিস চালু করা, অফিসের কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে বলে বৃহস্পতিবারই এক সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।