চলতি বছরের যে কোনো প্রান্তিক শেষে কিস্তির নির্ধারিত টাকার ৫০ শতাংশ জমা দিলে সে গ্রাহককে আর খেলাপি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যাবে না আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এই সুবিধা শুধু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা পাবেন জানিয়ে মঙ্গলবার একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সকল এনবিএফআই এর প্রধান নির্বাহীদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মহামারীর কারণে ২০২১ সালেও ব্যবসায়ীদের বিশেষ ছাড় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই বছর ঋণের নির্ধারিত কিস্তির ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের আর খেলাপি হিসেবে ধরা হয়নি।
মহামারীর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব, বন্যা এবং ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে গত ২২ জুন বড় গ্রাহকদের বেলায় একই ধরনের ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, এই ছাড় সুবিধা শুধু নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করে আসা উদ্যোক্তারা পাবেন। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শর্ত তাদের ক্ষেত্রে ছিল না।
আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেলায় বলা হয়েছে, ‘প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা’ এই সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি গ্রাহকের নগদ অর্থের প্রবাহ ‘নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা’ করতে বলা হয়েছে ব্যাংককে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, “আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ গ্রাহকের নগদ প্রবাহ নিবিড়ভাবে পর্যালোচনান্তে শুধুমাত্র প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদেরকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ নির্দেশনার আওতায় কিস্তি বিলম্বিতকরণের সুবিধা প্রদান করব।’’
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের সার্কুলারে বলা হয়েছে, “প্রতি ত্রৈমাসিক সমাপনান্তে ঋণ/লিজ/বিনিয়োগ হিসাবসমূহের আদায়যোগ্য অর্থের ন্যূনতম ৫০% ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে আদায় হলে উক্ত ঋণ/লিজ/বিনিয়োগ হিসাবসমূহ অশ্রেণিকৃত হিসেবে প্রদর্শন করা যাবে।”
আর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিহ্নিত বন্যা কবলিত অঞ্চলে সিএমএসএমই ও কৃষি খাতে বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রেও ৫০ শতাংশ হারে জমা হলে ঋণটি খেলাপি হবেন না।
অনাদায়ী কিস্তির অর্থের উপর কোনো প্রকার দণ্ড সুদ বা জরিমানা আরোপ করা যাবে না।
অবশ্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন প্রান্তিকে ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ হারে অর্থ পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।