ঢাকার পূর্ব ও পশ্চিম অংশকে যুক্ত করতে মেট্রোরেল লাইন-৫ এর আওতায় ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল রেল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড রেললাইন করা হবে।
৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার যোগান দেবে জাপান সরকার।
এর মধ্যে ৪৩তম ইয়েন ঋণচুক্তির আওতায় ১৩ হাজার ৩৩৯ কোটি ৯০ লাখ ইয়েন বা ৯ হাজার ২০৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ঋণ পাবে বাংলাদেশ।
সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই করেন।
সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী-মিরপুর ১০-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান-২ হয়ে ভাটারা পর্যন্ত এই মেট্রোরেল পথের দৈর্ঘ্য হবে ১৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার।
এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিন বাজার এবং নতুন বাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার হবে এলিভেটেড, বাকি সাড়ে ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার হবে পাতাল রেল।
এই মেট্রোরেলের পথে ১৪টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে নয়টি স্টেশন হবে মাটির নিচে। আর বাকি পাঁচটি স্টেশন থাকবে মাটির ওপরে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই রুটটি চালু করার প্রাথমিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
৪৩তম ইয়েন ঋণচুক্তির আওতায় মেট্রোরেলের বাইরে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পের নোট বিনিময় চুক্তিও হয়েছে মঙ্গলবার।
চট্টগ্রামের এই প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ২৪৬ কোটি ৬২ লাখ ইয়েন বা ২ হাজার ২৩৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার মত।
জয়দেবপুর ও রংপুরে আবহাওয়া রেডারসহ অন্যান্য সুবিধা নির্মাণের জন্য ১২ কোটি ৮০ লাখ ইয়েন বা ৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান। মঙ্গলবার এ বিষয়েও একটি চুক্তি করেছে দুদেশের সরকার।