রোববার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় এ দাবি জানান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে রুমস্ত আলী ফরাজী বলেন, “মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রী বারবার মালয়েশিয়া গেলেন। মালয়েশিয়া শ্রমিক নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। সিন্ডিকেট করে বিশেষ গোষ্ঠীকে সুযোগ দেওয়া হলে কর্মীদের বিদেশ যেতে খরচ বেড়ে যাবে। এক থেকে দেড় লাখ টাকার জায়গায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লাগবে।”
মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “তালবাহানা না করে আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। সবাইকে ছেড়ে দেন।”
পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে এরইমধ্যে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ঢাকা ও কুয়ালালামপুর।
কৃষি, শিল্প, সেবা, খনি, নির্মাণ ও গৃহস্থালী সেবাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। আর কর্মী নেওয়ার খরচ নিয়োগকর্তাই বহন করবে।
এর আগে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, প্রবাসে চাকরি করতে ইচ্ছুক সবাইকে বিএমইটির ডেটাবেইজে অবশ্যই নিবন্ধিত হতে হবে।
কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া দেশে দেখভাল করবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। তবে, বাংলাদেশের কোন কোন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী যাবে, তা ঠিক করবে মালয়েশিয়ার সরকার।
আরও খবর