অর্থনীতির দশায় আতঙ্ক নয়, দরকার সতর্কতা: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সিইও
অরুণ দেবনাথ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 18 Jun 2022 12:12 AM BdST Updated: 18 Jun 2022 09:35 AM BdST
-
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বলছেন, বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কা কিংবা পাকিস্তানের মত নয়।
-
“মুদ্রার অবমূল্যায়ন সবসময় খারাপ- এমনটা বলা যায় না,” বলছেন নাসের এজাজ
-
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ মনে করেন, সেতুর বাস্তবায়ন বাংলাদেশের সক্ষমতারই প্রতিফলন।
দেশের অর্থনীতি এখন যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে নীতিনির্ধারকদের খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আছে বলে মনে করেন না বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের (এসসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ।
পেশাদার এই ব্যাংকার বললেন অর্থনীতির সূচকগুলোর কথা, বিশেষ করে ঋণমান সূচকের (ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা) কথা, যেখানে সার্কের প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ কিছুটা ভালো অবস্থানে আছে।
নাসের এজাজ বলেন, “আমাদের অবস্থা শ্রীলঙ্কা কিংবা পাকিস্তানের মত (খারাপ) নয়। কেন নয়, সেটাও বলছি। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক নিজেদের মত করেই বেশ অনেকটা সময় ধরে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসছে। সেখানে যেটা ঘটেছে, তা রাতারাতি হয়নি।
“এমন পরিস্থিতি যে হতে পারে- সেই ইঙ্গিত অনেক দিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল। আপনি যে কোনো রেটিং কোম্পানির সঙ্গে আলাপ করে দেখুন, তারা এটাই বলবে। (শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের) এই পরিস্থিতি তিন মাস, ছয় মাস বা এক বছরের মধ্যেই হয়নি।”
বাংলাদেশের টাকা ডলারের বিপরীতে যেভাবে মান হারাচ্ছে, সেটাকেও খারাপ লক্ষণ হিসেবে দেখতে নারাজ বাংলাদেশে বহুজাতিক ব্যাংক এসসিবির নেতৃত্বে থাকা এজাজ।
তার মতে, অবমূল্যায়নটা কীভাবে করা হচ্ছে এবং অর্থনীতিতে তার কী প্রভাব পড়ছে, সেটেই বিবেচনায় নেওয়া দরকার। অর্থনীতির বর্তমান স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মুদ্রার মান ‘সবচেয়ে সুবিধাজনক’ পর্যায়ে রাখা গেল কিনা, সেটাই বিবেচ্য তার কাছে।
নাসের এজাজ বলেন, “টাকার মান অনেক বেশি কমানো হলে তা মূল্যস্ফীতিকে প্রভাবিত করবে। কিন্তু অন্যদিকে, সেটা রপ্তানিকারকদের সহায্যও করবে। ফলে টাকার মান কোন পর্যায়ে থাকলে সবচেয়ে বেশি লাভ হবে তা বুঝতে একটি মডেল আমরা অনুসরণ করি। আর সেটাই আসলে কার্যকর বিনিময় হার।
“মুদ্রার অবমূল্যায়ন সবসময় খারাপ- এমনটা বলা যায় না। এটা কীভাবে করা হচ্ছে এবং অর্থনীতিকে কীভাবে প্রভাবিত করছে - সেটাই আসল। এখানে আপনাকে ভারসাম্যটা ধরে রাখতে হবে।”
বিদেশি ঋণ
বিদেশি ঋণের পর্যালোচনায় বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে আশাবাদী নাসের এজাজ। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশকে বরং একটু স্বস্তির জায়গায় রেখেছে, যদি বাংলাদেশ বিদেশ থেকে আরও বেশি ঋণ নিতে চায়।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের সঙ্গেও বাংলাদেশের তুলনা টানেন নাসের এজাজ। এ প্রসঙ্গে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তিনি তুলে ধরেছেন।
প্রথমত, বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিদেশি ঋণ ‘ম্যাচিওর’ বা (পুরোপুরি পরিশোধের জন্য) পরিণত হবে ২০৫৭ সাল নাগাদ। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের নেওয়া ঋণের সুদ হার তুলনামূলকভাবে কম, ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তৃতীয়ত, বাংলাদেশকে যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে তার পরিমাণ আগামী দুই বছরে ২৫০ কোটি ডলার থেকে ৪০০ কোটি ডলার হবে, আর আই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকারের মোট ঋণ ছিল ১৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের জিডিপির (মোট জাতীয় উৎপাদন) ৪১ মতাংশের মত। এর মধ্যে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৬২ বিলিয়ন ডলার, যা জিডিপির ১৮ শতাংশ।
নাসের এজাজ বলেন, “আমার যতটুকু মনে পড়ে, বাংলাদেশ শুরু করেছিল জিডিপির প্রায় ১৬ শতাংশ বৈদেশিক ঋণ নিয়ে। এটা পরে দুই শতাংশ পয়েন্টের মত বেড়েছিল। তবে অর্থনীতির সম্প্রসারণ শুরু হওয়ার পর তা আবার ১৫ থেকে ১৬ শতাংশে নেমে আসে। সুতরাং, আমি মনে করি এটা বাংলাদেশকে বরং কিছুটা বাড়তি সুযোগ করে দিয়েছে যে তারা চাইলে আরও কিছু ঋণ নিতে পারে এবং এরপরেও এ নিয়ে তেমন সমস্যা হবে না।”
তবে সরকার বিলাস পণ্য আমদানি ও অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা এবং উন্নয়ন প্রকল্পের খরচে লাগাম টানার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তার সঙ্গে একমত এসসিবি সিইও।
তার মতে, জনগণ যাতে ডলার বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া কিংবা আমদানি থামিয়ে দেওয়ার মত ‘অযৌক্তিক আচরণ’ থেকে বিরত থাকে, সে বিষয়ে তাদের সচেতন করা উচিত সরকারের, কারণ এ ধরনের আচরণ বাজারে ‘আতঙ্ক’ সৃষ্টি করে।
নাসের এজাজ বলেন, “আমাদের অবশ্যই সতর্ক হওয়া দরকার, কিন্তু ভয় পেলে চলবে না। কারণ আপনি যদি ভয় পান, তাহলে আপনি হয়ত আতঙ্কিত হয়ে বাড়তি কেনাকাটা করবেন, যার প্রয়োজন নেই। আপনি দেখুন, অনেকে কিন্তু এখন আর ডলার বিক্রি করছে না, তারা আমদানিও করছে না।
“এ ধরনের অযৌক্তিক আচরণ পরিস্থিতিকে শুধু খারাপের দিকেই নিয়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি পরিস্থিতি বুঝতে ও সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন এবং যৌক্তিকভাবে কাজ করেন... হয়ত তা তাৎক্ষণিক ফল দেবে না, তবে দীর্ঘ মেয়াদে এর সুবিধাজনক প্রভাব থাকবে।”
মূল্যস্ফীতির প্রভাব
বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে অতীতের যে কেনো সময়ের চেয়ে বেশি যুক্ত। ফলে বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার কারণে অর্থনীতিতে যে চাপ বাড়ছে এবং এ কারণে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, এসসিবি সিইও সেটা মানছেন।
তিনি বলেন, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি বেড়েছে, যার প্রভাব অর্থনীতিতেও পড়েছে। রপ্তানি ও আমদানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং আর্থিক খাতেও এর প্রভাব পড়েছে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার যেসব হস্তক্ষেপ করেছে, তা অর্থনীতির চলমান শ্লথগতি কাটিয়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট কিনা জানতে চাইলে এই ব্যাংকার রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের চক্র এক বছর থেকে বদলে আগের মত ছয় মাস করার পরামর্শ দেন, যাতে বৈদেশিক মুদ্রার আসা-যাওয়ার ঘাটতি কমে আসে। মহামারীর সময় লেনদেনকারীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এই বিনিময় হার পর্যালোচনা চক্র ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করা হয়েছিল।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু উদ্যোগের প্রশংসাও করেন তিনি। যার মধ্যে আছে- জনগণকে বেশি বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে নিরুৎসাহিত করা, যা বাজেটে সুদের বোঝা বাড়িয়ে দেয়; একটি কেন্দ্রীয় ট্রেজারি অ্যাকাউন্ট চালু করা, যা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর, তাদের ঋণসহ, আয় ও সঞ্চয়ের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করবে এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করা থেকে বিরত রাখবে; এবং সরকারি পেনশন প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় করা, যার কারণে বাজেটে সুদ বাবদ ব্যয় ২০ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নেমেছে।
ইউরোপে যুদ্ধ চলায় আমদানি করা সারের দাম বাড়া নিয়েও খুব বেশি উদ্বেগের কারণ দেখছেন না এসসিবির সিইও, কারণ দেশের বাজারে এমনিতেই বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে সার বিক্রি করা হয়। তবে সারের দাম বাড়ার কারণে সরকারের দায় আরও বাড়তে পারে, সে বিষয়ে তিনি একতম।
নাসের এজাজ অবশ্য মনে করেন, জ্বালানির চাহিদা এবং এর সহনীয় দামের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা দরকার, বিশেষ করে জ্বালানি তেল ও উৎপাদিত বাড়তি বিদ্যুতের ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, “ব্যবসায়ী মহলের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, বাজারের ওপর এর একটি প্রভাব আছে, যার ফলে দাম বেড়ে চলেছে। কিন্তু আমরা যদি (বিদ্যুতের দাম) সর্বোচ্চ পর্যায়ে বাড়িয়ে দিই, দেশের প্রবৃদ্ধির ওপর তার প্রভাব পড়বে এবং কর্মসংস্থানের ওপর এর প্রভাব পড়বে, যেহেতু সব কিছুই সংযুক্ত। তাই আমাদের একটি নিখুঁত ভারসাম্য অর্জন করতে হবে, যাতে অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।”
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির হার নিয়ে চলমান বিতর্কে যোগ দিতে আগ্রহী নন এই ব্যাংকার। তবে তিনি মূল্যস্ফীতির খুচরা বাজার খাতের দিকটি বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শহরে যারা বসবাস করছে এবং যারা গ্রামে বসবাস করছে, সবার জন্য মূল্যস্ফীতির হার একরকম হওয়ার কথা নয়।
নাসের এজাজ বলেন, “মূল্যস্ফীতির হিসাব করার যে পণ্য বাস্কেট, সেদিকে তাকালে আপনি দেখবেন, মূল্যস্ফীতি এবং এর হিসাব করার ক্ষেত্রে ওই বাস্কেটের একটা প্রভাব রয়েছে। আমার কাছে এ মুহূর্তে বিস্তারিত তথ্য নেই, তবে আমি বলতে পারি, এসব বিষয় প্রভাব ফেলে।”
রেমিটেন্স, ইউএস ডলার বন্ড ও সার্বভৌম বন্ড
রেমিটেন্স প্রবাহ কমার বৈশ্বিক প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ দেখছেন কিনা জানতে চাইলে নাসের এজাজ বলেন, “আমি মনে করি কর্মীদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর সনদের বিষয়ে আরও কাজ করতে হবে, যাতে আমরা আরও বেশি পরিমাণে দক্ষ কর্মী বিদেশে পাঠাতে পারি। আরেকটা বিষয় হল, আমাদের উপায় বের করতে হবে কীভাবে আমরা আরও বেশি ‘হোয়াইট-কলার জব’ বা ভালো পদে চাকরিজীবী অনাবাসী বাংলাদেশিদের অর্থ (রেমিটেন্স) দেশে পাঠাতে উৎসাহিত করতে পারি।”
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সরকারের উচিত ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে সুদের হার বাড়ানো, যাতে অনাবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) কাছে এটা আরও আকর্ষণীয় হয়।
বর্তমানে অনাবাসী বাংলাদেশিরা যদি আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার তুলনা করেন, তাহলে এই বন্ড তাদের কাছে আকর্ষণীয় হবে না বলেই এই ব্যাংকারের ধারণা।
তিনি বলেন, “এনআরবিরা জানেন, তারা এখন বিনিয়োগ করলে তিন বছরের জন্য তাদের বিনিয়োগ আটকে থাকবে। এবং এখন পর্যন্ত দৃষ্টিভঙ্গিটি হচ্ছে যে, [আন্তর্জাতিক বাজারে বিনিয়োগ বন্ডে] সুদ হার আগামী দুই বছরে দেড় শতাংশ বেশি বেড়ে যেতে পারে [বর্তমানে আড়াই শতাংশ] এবং ৪ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। সেক্ষেত্রে কেন একজন ব্যক্তি তার ডলার তিন বছর ধরে আড়াই থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ সুদ হারে আটকে রাখতে চাইবেন যখন সুদ হার ৪ শতাংশে ওঠার সুযোগ থেকে যাচ্ছে?”
অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সার্বভৌম বন্ড ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে এসসিবি সিইও বলেন, বর্তমানে অর্থনীতির এই নাজুক পরিস্থিতিতে এ ধরনের বন্ড ছাড়ার উপযুক্ত সময় এটা নয়।
তবে বাংলাদেশের সার্বভৌম বন্ড ছাড়ার পক্ষে এসসিবির দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, তার বিশ্বাস এই বন্ড ছাড়া হলে বর্তমানে ঋণপত্র নিশ্চিত করার খরচ কমে যাবে, যেহেতু বাংলাদেশ এর সম্পদের বিপরীতে বেশি পরিমাণে তারল্য সংগ্রহ করতে পারবে এবং এটা দেশে আরও বেশি সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আনতে সহায়ক হবে।
“আমরা যখন বন্ড ছাড়ার কথা বলি, তার মানে এই নয় যে আমরা শত শত কোটি ডলারের বন্ড ছাড়ার কথা বলছি। আমরা এক থেকে দুই বিলিয়ন ডলারের বন্ড ছাড়ার কথা বলছি, এমন একটি দেশে, যে দেশের বৈদেশিক ঋণ ৬৮ বিলিয়ন ডলার এবং জিডিপির পরিমাণ ৪২৪ বিলিয়ন ডলার। সার্বভৌম বন্ড একটি ভিত্তিমূল্য গঠন করবে।”
এই ব্যাংকার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিং নিয়ে খুব দৈন্য দশায় আছে। বিদেশে শুধু এদেশ নিয়ে নেতিবাচক খবরগুলোই ফলাও করে প্রচার হয়, কারণ বিশ্লেষকেরা বাংলাদেশকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেন না।
“যদি আপনি সার্বভৌম বন্ড ছাড়েন, সেক্ষেত্রে এসব বিশ্লেষক বাজার অনুসরণ করতে শুরু করবে, এবং তারা প্রান্তিক প্রতিবেদন তৈরি করবে, যেখানে সবকিছুই তুলে ধরা হবে, ভালো-খারাপ সবকিছু। তখন আপনি আরও আগ্রহী বিনিয়োগকারী পাবেন।”
পদ্মা সেতু
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মা সেতু অর্থনীতিতে কতটা অবদান রাখতে পারে জানতে চাইলে নাসের এজাজ বলেন, “এই সেতুর বাস্তবায়ন বাংলাদেশের সক্ষমতারই প্রতিফলন। সত্যি বলতে কি, ওই সময় আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যতটা আত্মবিশ্বাস ছিল, ততটা আত্মবিশ্বাস অন্য অনেকের মধ্যেই ছিল না। কিন্তু বাস্তবতা হল, বাংলাদেশ একটি ভালো জবাব দিতে পেরেছে। সুতরাং, আমি মনে করি, এটা অবশ্যই অর্থনীতিতে অবদান রাখবে, কারণ দেশের দক্ষিণাঞ্চল এখন যুক্ত হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বাস করি, এই সেতু দেশের ওই অঞ্চলটি যুক্ত করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে। দেশের জিডিপির ৫০ শতাংশই আসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে। এই চিত্রটি ধীরে ধীরে বদলে যাবে, যদি আমরা আগামীতে সেতুর অন্য প্রান্তের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে পারি।”
[সাক্ষাৎকার থেকে প্রতিবেদনটি ইংরেজিতে লিখেছেন আদিল মাহমুদ, সম্পাদনা করেছেন সৌমিক হাসিন]
-
ঢাকায় পাতাল রেল নির্মাণে জাপানের সঙ্গে ঋণ চুক্তি
-
শহরের সব রেল ক্রসিংয়ে ওভারপাস তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
-
বন্যা: ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ঋণ শোধে ছাড়
-
বাইক বন্ধের পর টোল আদায় কমেছে পদ্মা সেতুতে
-
আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও অভিযোগের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দিতে হবে
-
‘প্রান্তিক মানুষের জন্য ওয়াশখাতে বরাদ্দ অপ্রতুল’
-
পদ্মা সেতুর ব্যয় উঠে আসবে ২০৫৭ সালে: মন্ত্রী
-
শত বছরে প্রথমবার ঋণখেলাপি রাশিয়া
-
বন্যা: ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ঋণ শোধে ছাড়
-
ঢাকায় পাতাল রেল নির্মাণে জাপানের সঙ্গে ঋণ চুক্তি
-
‘প্রান্তিক মানুষের জন্য ওয়াশ খাতে বরাদ্দ অপ্রতুল’
-
শহরের সব রেল ক্রসিংয়ে ওভারপাস তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
-
বাইক বন্ধের পর টোল আদায় কমেছে পদ্মা সেতুতে
-
আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও অভিযোগের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দিতে হবে
সর্বাধিক পঠিত
- পদ্মা সেতু: ফাঁকা ফেরি ঘাটের সুবিধা নিতে চায় ঝিনাইদহ
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ওয়েন মর্গ্যান
- রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়িচালককে মারধর: জগন্নাথ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
- শারীরিক সম্পর্কও যখন ক্লান্তিকর
- বাইক বন্ধের পর টোল আদায় কমেছে পদ্মা সেতুতে
- হুডার বিধ্বংসী সেঞ্চুরি, জুটির বিশ্ব রেকর্ড
- ফেইসবুকে বাঙালি শিক্ষার্থী, বেতন পৌনে ২ কোটি রুপি
- পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে নিউ জিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
- সাঁতরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বললেন তরুণী?
- কোভিড: সংক্রমণ বাড়ছে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, মানতে হবে বিধিনিষেধ