মেগা প্রকল্প বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্যে প্রভাব ফেলবে না: প্রধানমন্ত্রী
সংসদ প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 15 Jun 2022 08:35 PM BdST Updated: 15 Jun 2022 08:35 PM BdST
-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: পিআইডি
বিদেশি অর্থায়নে বাস্তবায়িত মেগা প্রকল্পগুলো দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে না বরং গতি বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এসব প্রকল্পে বৈদেশিক অর্থায়ন থাকায় প্রকল্প সংক্রান্ত আমদানি ব্যয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্যে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।”
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
শেখ হাসিনা জানান, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নকালে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পকেন্দ্রিক অনেক ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প কিংবা ব্যবসা- বাণিজ্য গড়ে উঠেছে। ফলে পরোক্ষভাবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা মূলতঃ ব্যাহত হওয়ার পরিবর্তে তরান্বিত হচ্ছে।
মেগা প্রকল্প অনুমোদনের আগে যথাযথভাবে আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের বিরূপ প্রভাবের সম্ভাবনা নেই, যে কারণে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে।”
অধিকাংশ বৈদেশিক ঋণের প্রকৃতি ‘নমনীয়’ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “ঋণের সুদের হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম এবং ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ও গ্রেস প্রিরিয়ডও অনেক। ঋণের অর্থ অবমুক্তির ক্ষেত্রে বড় কোনো জটিলতা পরিলক্ষিত হয়নি।”
ফখরুল ইমামে প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত পদ্মা সেতুসহ চলমান ১৬টি মেগা প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এর মধ্যে তিনি ১৪টির ব্যয়ের তথ্যও উপস্থাপন করেন।
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় চার লাখ ৮৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন প্রায় এক লাখ ৫৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণ তিন লাখ ৩৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।
অবৈধ মজুদ ও মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টায় অসাধুরা
এ কে এম রহমতুল্লাহের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অতিমারী ও রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার অবনতি ঘটে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি দেখা দেয় এবং নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে দ্রব্যসামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধি ও সরবরাহ অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে।
“দুঃখের বিষয় হল দেশের অভ্যন্তরে কিছু অসাধু ব্যক্তি এই সুযোগ নিয়ে নিত্যপণ্যের অবৈধ মজুদ ও মূল্যবৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”
এ অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, অবৈধ মজুদ, বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্যমন্ত্রীকে উপদেষ্টা করে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্কফোর্স গঠন করার কথা জানান শেখ হাসিনা।
এজন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সরকারের পদক্ষেপের পর কেউ অবৈধভাবে কোনো পণ্য মজুদ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের চেয়ে রেমিটেন্স ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা কিছুটা কমে জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ১৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এসেছে।
কোভিড পূর্ববর্তী তিনটি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের গড় রেমিটেন্স প্রবাহের তুলনা করে তিনি বলেন, “চলতি অর্থবছরে রেমিটেন্স হ্রাস পেয়েছে না বলে বলা যেতে পারে রেমিটেন্স প্রবাহ কোভিড পূর্ববর্তী স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে।”
প্রবাসী আয় কমার কিছু কারণ তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে শুরুতে কোভিড অতিমারিতে প্রবাসীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তা থেকে তাদের জমানো টাকা দেশে পাঠিয়েছিলেন। অনেকে চাকরি হারিয়ে কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে সব অর্থ দেশে নিয়ে এসেছেন।
“এখন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অনেক প্রবাসী নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে দেশে রেমিটেন্সে পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কোভিড-১৯ অতিমারিকে সফলভাবে মোকাবিলা করে স্বাভাবিক ধারায় ফিরে এলেও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগকারী প্রধান প্রধান দেশের অর্থনীতিসমূহ এখনও স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসেনি। ফলে ওই দেশসমূহে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের প্রবাস আয় তুলনামূলকভাবে কম থাকায় রেমিটেন্স প্রেরণ কম হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি ও বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানো সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি জানান, এখন ১৭০টি দেশে এক কোটি ২০ লাখের বেশি কর্মী কর্মরত আছে।
জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে মোট ৭৬ কোটি ৯৮ লাখ ডলার মূল্যের চুক্তি হয়েছে।
জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার ধরণ পরিবর্তনের কারণে অস্বাভাবিক হারে বজ্রপাতের সংখ্যা ও তীব্রতা বেড়েছে।
-
ঢাকায় পাতাল রেল নির্মাণে জাপানের সঙ্গে ঋণ চুক্তি
-
শহরের সব রেল ক্রসিংয়ে ওভারপাস তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
-
বন্যা: ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ঋণ শোধে ছাড়
-
বাইক বন্ধের পর টোল আদায় কমেছে পদ্মা সেতুতে
-
আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও অভিযোগের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দিতে হবে
-
‘প্রান্তিক মানুষের জন্য ওয়াশখাতে বরাদ্দ অপ্রতুল’
-
পদ্মা সেতুর ব্যয় উঠে আসবে ২০৫৭ সালে: মন্ত্রী
-
শত বছরে প্রথমবার ঋণখেলাপি রাশিয়া
-
বন্যা: ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ঋণ শোধে ছাড়
-
ঢাকায় পাতাল রেল নির্মাণে জাপানের সঙ্গে ঋণ চুক্তি
-
‘প্রান্তিক মানুষের জন্য ওয়াশ খাতে বরাদ্দ অপ্রতুল’
-
শহরের সব রেল ক্রসিংয়ে ওভারপাস তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
-
বাইক বন্ধের পর টোল আদায় কমেছে পদ্মা সেতুতে
-
আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও অভিযোগের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দিতে হবে
সর্বাধিক পঠিত
- পদ্মা সেতু: ফাঁকা ফেরি ঘাটের সুবিধা নিতে চায় ঝিনাইদহ
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ওয়েন মর্গ্যান
- রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়িচালককে মারধর: জগন্নাথ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
- শারীরিক সম্পর্কও যখন ক্লান্তিকর
- বাইক বন্ধের পর টোল আদায় কমেছে পদ্মা সেতুতে
- হুডার বিধ্বংসী সেঞ্চুরি, জুটির বিশ্ব রেকর্ড
- ফেইসবুকে বাঙালি শিক্ষার্থী, বেতন পৌনে ২ কোটি রুপি
- পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে নিউ জিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
- সাঁতরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বললেন তরুণী?
- কোভিড: সংক্রমণ বাড়ছে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, মানতে হবে বিধিনিষেধ