রাষ্ট্রপতির নির্দেশে শনিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হয়েছে।
চার বছরের জন্য তাকে গভর্নর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ জুলাই তার যোগদানের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ সচিব রউফ তালুকদার তার বর্তমান সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে গভর্নরের দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।
বর্তমান গভর্নর মো. ফজলে কবির আগামী ৩ জুলাই বিদায় নেবেন। তিনি ২০১৬ সালে চার বছরের জন্য নিয়োগ পেলেও পরে তার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
হ্যাকারদের হানায় রিজার্ভ চুরি যাওয়ার পর আতিউর রহমান পদত্যাগ করলে ছয় বছর আগে গভর্নরের দায়িত্বে আসেন ফজলে কবির।
২০২০ সালের ৩ জুলাই তার মেয়াদ শেষের কথা থাকলেও দৃশ্যত তার কাজে সন্তুষ্ট ছিল সরকার, যে কারণে আইন সংশোধন করে তাকে ওই পদে রেখে দেওয়া হয়।
এতদিন গভর্নরের পদে থাকার বয়সসীমা ৬৫ বছর হলেও তা বাড়িয়ে ৬৭ বছর করা হয়। আগামী ৩ জুলাই ফজলে কবিরের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হবে বলে তাকে বিদায় নিতে হচ্ছে।
জটিল সময়ে দায়িত্ব নেওয়া ফজলে কবিরের বিদায়ের সময়টা অর্থনীতির জন্য জটিল।
কোভিড মহামারীর পর ইউক্রেইন যুদ্ধ সারাবিশ্বে যে সঙ্কট তৈরি করেছে, তার আঁচ বাংলাদেশেও লেগেছে। এর মধ্যে ডলারের বাজারে অস্থিরতা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে।
এই পরিস্থিতিতেই ফজলে কবিরের উত্তরসূরি হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাংকের দ্বাদশ গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন রউফ তালুকদার।
বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা রউফ তার কর্মজীবনের সবচেয়ে বেশি সময় গত ২২ বছরই অর্থ মন্ত্রণালয়ে রয়েছেন। ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই থেকে তিনি অর্থ সচিব হিসেবে কাজ করছেন।
এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসেও কাজ করেন তিনি।