একই সঙ্গে নগদ টাকা, ব্যাংক আমানত, বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়ী স্কিমে গচ্ছিত অর্থও আর প্রশ্ন ছাড়া বৈধ করা যাবে না।
২০২১ সালের অর্থ বিলের অপ্রদর্শিত অর্থ শর্ত সাপেক্ষে আয়কর রির্টানে দেখানোর এ সংক্রান্ত দু’টি ধারা নতুন অর্থ বিল থেকে বিলুপ্তির প্রস্তাব বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন তিনি।
ওই দুই ধারা বাতিল করে নতুন ধারা সংযুক্ত করে বিদেশে থাকা অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী নতুন বিলে এনেছেন।
গতবছর ৩ জুন বাজেট ঘোষণার সময় পুঁজিবাজারসহ বেশ কয়েকটি খাতে কালো টাকা হিসেবে অধিক পরিচিত ‘অপ্রদর্শিত অর্থ’ বিনাপ্রশ্নে সাদা করার অবাধ সুযোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে কিছু বলেননি অর্থমন্ত্রী।
তবে পরে ২৯ জুন পাস হওয়া অর্থ বিলে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য শুধু পুঁজিবাজারে প্রশ্নাতীতভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ২০২২ সালের ৩১ জুন পর্যন্ত রাখা হয়েছিল।
সেখানে বলা হয়েছিল, তালিকাভুক্ত শেয়ার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটসহ পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ইনস্ট্রুমেন্টে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ কর এবং মোট করের ওপর ৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে এ হার ছিল ১০ শতাংশ।
অন্যদিকে ২৫ শতাংশ কর এবং করের ওপর ৫ শতাংশ জরিমানা দিয়ে নগদ টাকা, ব্যাংক ডিপোজিট, ফিনান্সিয়াল স্কিম ও ইন্স্ট্রুমেন্ট, সব ধরনের ডিপোজিট ও সেভিংস ডিপোজিট, সেভিং ইনস্ট্রুমেন্ট অথবা সেভিং সার্টিফিকেট (সঞ্চয়পত্র) বৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা যাবে বলে অনুমোদিত ওই সংশোধনীতে বলা হয়।
এছাড়া জায়গা অনুপাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর ও জরিমানা দিয়ে অপ্রদর্শিত জমি, ভবন, ফ্ল্যাট অ্যাপার্টমেন্ট প্রশ্নাতীতভাবে বৈধ করার সুযোগ রাখা হয় ২০২১ সালের অর্থ আইনে।
নতুন অর্থ বিলের প্রস্তাব সংসদে অনুমোদন করা হলে এখন থেকে এসব ক্ষেত্রে আর প্রশ্ন ছাড়া কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকল না।