বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, “বর্তমানে দেশে বিলাসবহুল পাখি আমদানি হচ্ছে। উক্ত পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে।
”পাখিগুলো বিলাসবহুল বিধায় আলোচ্য ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।”
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি বিলাসবহুল পাখি পোষার বিষয়টি জনপ্রিয় হতে থাকার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ একজোটিক লাইভ বার্ডস ইমপোর্টার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনজুর হাসান রিজনও।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এখন দেশে পোষা পাখির বিপুল চাহিদা রয়েছে। কারণ, আগে পোষা পাখি নিয়ে কোনো আইন ছিল না, এখন হয়েছে। সে কারণে পাখি পালন সহজ হয়েছে, জনপ্রিয় হচ্ছে।
২০২০ সালে ‘পোষা পাখি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা’ প্রণয়ন করে সরকার। এর ফলে পাখি পোষার বিষয়টি নিয়মবদ্ধ হওয়ার কথা জানান খাত সংশ্লিষ্টরা।
বিধিমালা অনুযায়ী, ১০টি পর্যন্ত পাখি পুষতে কোনো লাইসেন্স নিতে হয় না। তবে এর বেশি হলে খামারির পর্যায়ে চলে যায় এবং লাইসেন্স নিতে হয়।
দেশে বর্তমানে এক হাজারের বেশি প্রজাতির পাখি আমদানি হয় বলে জানান ওসপ্রে ইন্টারন্যাশনালের এ স্বত্ত্বাধিকারী।
তিনি বলেন, দেশে বিলাসবহুল পাখির পাশাপাশি অনেক কম দামি পাখিও আমদানি হয়। সেক্ষেত্রে শুল্ক বাড়লে আমদানির পরিমাণ কমে আসতে পারে।
দেশে বর্তমানে কত পরিমাণ পোষা পাখি আমদানি হয় এবং এ বাজারের বিস্তৃতির সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।