২৫০ সিসির মোটরসাইকেলের দাম বাড়বে

দেশি মোটরসাইকেল শিল্পকে উৎসাহিত করতে ২৫০ সিসি ক্ষমতার বেশি মোটরসাইকেল আমদানিতে বড় আকারের সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2022, 12:25 PM
Updated : 9 June 2022, 12:25 PM

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেন।

এ প্রস্তাব অনুমোদন হলে দেশের বাজারে আমদানি করা বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেলের দাম বাড়বে।

তিনি বলেন, দেশে ২৫০ সিসির ঊর্ধ্বের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল প্রস্তুতের কারখানা গড়ে উঠেছে। বর্তমানে এ ধরনের বাইকে কোনো সম্পূরক শুল্ক নেই।

“তাই ২৫০ সিসির ঊর্ধ্বের ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০০ শতাংশ এবং টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করছি।”

বর্তমানে ২৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা রয়েছে।

সবশেষ আমদানি নীতিতে সর্বোচ্চ ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। গত এপ্রিলে ২০২১-২৪ মেয়াদের আমদানি নীতির গেজেট প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায় এমন মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ১৬৫ সিসি। আর দীর্ঘদিন ধরে কিছু কোম্পানি মোটরসাইকেলের সিসি ক্ষমতার সীমা বাড়ানোর আবেদন করে আসছিল। এ খাতের অনেক কোম্পানি এর বিরোধীতাও করে।

আমদানি নীতিতে বলা হয়েছে, আপাতত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাইলে ১৬৫ সিসির বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল আমদানি করে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। আর ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে আমদানির ক্ষেত্রে এখনও সীমাটি ১৬৫ সিসির ঘরে। তবে কেউ চাইলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উৎপাদনের জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ সিসি মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানি শুরু করতে পারেন।