ডলারের দর: ব্যাংকারদের বৈঠকে ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

আন্তঃব্যাংকে নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি দরে ডলার কেনা-বেচা করায় ব্যাংকারদের দুই সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের বৈঠকে ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2022, 07:30 PM
Updated : 26 May 2022, 11:56 AM

টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণকারী সংগঠন বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলার’স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশ (এবিবি) এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এই বৈঠক হবে।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে বৈঠকটি হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে।

বাফেদার নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস্-উল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ও সরবরাহ নিয়ে ব্যাংকারদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

“আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে সময়ের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে দর নির্ধারণের বিষয়টি তুলে ধরব। বাফেদার পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাবও দেওয়া হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈঠকে আন্তঃব্যাংকে টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ, বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ, ঘোষিত বিনিময় হারের চেয়ে বেশি দরে আমদানি মূল্য পরিশোধের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

ব্যাংকারদের সঙ্গে বৈঠকের আগে গত সপ্তাহে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

চলতি বছরের আমদানি চাপে ইতোমধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমানো হচ্ছে সময়ে সময়ে। সর্বশেষ টাকার মান আরও ৮০ পয়সা কমিয়ে প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে গত ২৩ মে।

কিন্তু ব্যাংকগুলো এর চেয়ে বেশি দরে ৯৭ থেকে ৯৯ টাকা পর্যন্ত দরে ডলার লেনদেন করছে বলে অভিযোগ করে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে খোলা বাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা চলছে ৯৭ টাকায়; যা এক সপ্তাহ আগে ১০২ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া, আমদানি দায়ের তুলনায় কম হারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হওয়ায় ডলারের সঙ্কট তীব্র হয়।

এজন্য ডলারের ব্যবহার কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিলাসী ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত নগদ মার্জিন আরোপ করে।

পাশাপাশি কৃচ্ছ্রের পথে হাঁটছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করা হয়েছে।