মঙ্গলবার থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে সোমবার সার্কুলার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে সোমবার থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব অফিস অর্ধেক জনবল দিয়ে পরিচালনা করতে বলা হয়।
এর আগে ভাইরাস দ্রুত ছড়াতে শুরু করলে গত শুক্রবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।
সরকারি এ সিদ্ধান্ত অনুসরণের পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ব্যাংকে কর্মরতদের টিকা সনদ গ্রহণ এবং সেবাগ্রহীতাসহ সবাইকে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, কাজে থাকাদের বাইরে বাকি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই বাসায় অবস্থান করবেন এবং ভার্চুয়ালি দাপ্তরিক কাজ করবেন।
অপরদিকে ব্যাংকে আসা সেবাগ্রহীতাদের মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সার্কুলারে বলা হয়, “সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিসসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করতে হবে।”
যারা অফিসে যাবেন না, তাদের কর্মস্থল এলাকায়ই অবস্থান করে দাপ্তরিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) চালাতে বলা হয়েছে।
আদালতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট এবং ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট ইতোমধ্যে ভার্চুয়াল বিচার কার্যক্রমে গেলেও নিম্ন আদালতে ভার্চুয়ালি ও সরাসরি দুভাবেই বিচার চলছে।
সোমবার এ নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ধেক জনবল দিয়ে কার্যক্রম চালাতে সার্কুলার দিল।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর ২০২০ সালের মার্চে অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশে।
দুই মাস পর অফিস খুললেও অর্ধেক জনবল নিয়ে চলেছিল বেশ কয়েক মাস। গত বছর করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে আবারও ফিরেছিল লকডাউন। তখনও অফিস অর্ধেক জনবলে চলেছিল কিছু দিন।
এরপর গত বছরের শেষ দিকে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে এই বছরের শুরুতেই ফেরানো হচ্ছে পুরনো বিধি-নিষেধগুলো।
অতি সংক্রামক ওমিক্রনের কারণে এখন দেশে কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। দিনে শনাক্ত রোগীর হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে আগের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে, যা এক মাস আগেও ছিল মাত্র ২ শতাংশ।
এই পরিস্থিতিতে গত ১১ জানুয়ারি সরকার ১১টি ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করে।