তিনি বলেছেন, “সারা পৃথিবীতেই মধ্যস্বত্বভোগী আছে। এর বাইরেও আরও কিছু আছে অপ্রত্যাশিত। বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক বা… তাদের এক্সট্রা খরচ করতে হয়।
“এটাকে কীভাবে কমানো যায়, প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা বলেছি, এটা কতটুকু? প্রত্যেক ডিসি বলেছেন, তারা দায়িত্ব নেবেন। বিষয়টি আজ তুলে ধরে ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছি।”
বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের কথা বলছিলেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “কেবিনেট সচিব বলেছেন, তারা একটি গবেষণা আমাদের সঙ্গে করাবেন- একটা ট্রাক ইশ্বরদী বা দিনাজপুর থেকে যে এল, এটি ঢাকায় এসে অ্যাকচুয়ালি কত দাম পেল।
“দিনাজপুরে কিংবা ইশ্বরদী কিংবা সাতক্ষীরায় চাষীরা মাঠ পর্যায়ে ফসল বিক্রি করে ১৫ টাকা পাচ্ছে প্রতি কেজিতে। ঢাকায় এসে সেটা কেন ৪০-৪৫ টাকা হবে? এটা হলো মধ্যস্বত্বভোগী বা ফরিয়া।
মন্ত্রী বলেন, “ট্রাকের খরচ বা কোথাও চাঁদাবাজির শিকার যদি তারা হয়ে থাকে, তাহলে কত টাকা কোথায় দিল? সেটা আমরা বের করি। বের করে তারপর আমরা চেষ্টা করব জাতীয় পর্যায়ে একটি ব্যবস্থা নিতে, যাতে এটি বন্ধ করা যায়।”
বাংলাদেশের জলবায়ু কৃষি উৎপাদনের উপযোগী হলেও আধুনিক কৃষিতে যেতে না পারার কারণে বাংলাদেশ সব সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ হয়েই থেকেছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
এখন বিদেশ কৃষিপণ্য রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে যাওয়ার জন্য আমের ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট করতে আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব স্থাপনের। সেখান থেকে তারা একটি সার্টিফিকেট দেবে।
“পূর্বাচলে প্রধানমন্ত্রী ২ একর জমি দিয়েছেন। সেখানে ল্যাবরেটরি এবং প্যাকিং হাউজ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য আমরা বিদেশে নিতে পারি।”